শেয়ারবাজার :::: শেয়ারবাজারের কার্যক্রম বিন্যস্তকরণের (ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন) জন্য সামগ্রিক পরিকল্পনা বা রোড ম্যাপ উপস্থাপন করেছে দুই স্টক এঙ্চেঞ্জ।সোমবার অর্থ মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে দুই স্টক এঙ্চেঞ্জের পক্ষ থেকে রোড ম্যাপ উপস্থাপন করা হয়। বৈঠক থেকে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত জানান, আইনি কাঠামো চূড়ান্ত করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে জাতীয় সংসদে এ-সংক্রান্ত বিল উত্থাপন করা হবে। অর্থমন্ত্রী দুই স্টক এঙ্চেঞ্জের নেতাদের ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশনের আইনি কাঠামো তৈরির জন্য ধারণাপত্র বা কনসেপ্ট পেপার জমা দিতে বলেন। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে এ কনসেপ্ট পেপার জমা দেওয়ার জন্য সময় বেঁধে দেন তিনি। বৈঠকে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ছাড়াও ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শফিকুর রহমান পাটোয়ারি, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এঙ্চেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেনসহ চার সদস্য, এসইসির সাবেক চেয়ারম্যান ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা মির্জা আজিজুল ইসলাম, সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ সিদ্দিকী, দুই স্টক এঙ্চেঞ্জের কর্মকর্তারা ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে বিন্যস্তকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য কোন ধাপে কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন হবে_সে বিষয়ে দুই স্টক এঙ্চেঞ্জের পক্ষ থেকে অর্থমন্ত্রীর কাছে সামগ্রিক পরিকল্পনা বা রোড ম্যাপ উপস্থাপন করা হয়। স্টক এঙ্চেঞ্জের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দেশের দুটি স্টক এঙ্চেঞ্জের (ডিএসই এবং সিএসই) কার্যক্রমই বর্তমানে আংশিকভাবে বিন্যস্ত (সেমি-ডিমিউচ্যুয়ালাইজড) রয়েছে। পরিচালনা পর্ষদে সদস্যদের (ব্রোকারেজ হাউস) সরাসরি ভোটে নির্বাচিত পরিচালকের পাশাপাশি বিভিন্ন পর্যায় থেকে মনোনীত ব্যক্তিরাও রয়েছেন। ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের কাজে পরিচালনা পর্ষদ সরাসরি কোনো হস্তক্ষেপ করে না। বিন্যস্তকরণ কার্যক্রম সম্পন্ন হলে স্টক এঙ্চেঞ্জের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ সম্পূর্ণভাবে পৃথক হয়ে যাবে।