শেয়ারবাজার :::: পুঁজিবাজারে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে আগামী বছরের ডিসেম্বর নাগাদ দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন কার্যক্রম চালু করা সম্ভব হতে পারে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
তবে এ ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়নি বলে জানান তিনি।
সোমবার বিকেলে অর্থমন্ত্রণালয়ে ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন কার্যক্রমের অগ্রগতির ওপর দেশের দুই স্টক একচেঞ্জের পক্ষ থেকে এক পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন শেষে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাবেক অর্থ উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম, বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর ড. আতিউর রহমান, এসইসি চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন, এসইসির চার সদস্য, ডিএসই সভাপতি শাকিল রিজভী, সিএসই সভাপতি ফখর উদ্দিন আলী আহমেদ প্রমুখ।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন কার্যক্রমের ওপর দুই স্টক এক্সচেঞ্জের পক্ষ থেকে দুটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করা হয়েছে। আমি দেখেছি , কিন্তু কোনো মন্তব্য করিনি। তবে রোড ম্যাপ অনুযায়ী-ই কাজটি এগুচ্ছে। কিছু আইন-কানুনও করতে হবে।
এছাড়া শেয়ারবাজারের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে তার মতামত জানতে চাইলে ‘এ বিষয়ে নো কমেন্ট’ বলে তিনি তা এড়িয়ে যান।
ডিএসই সভাপতি শাকিল রিজভী সাংবাদিকদের বলেন, ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশনের লক্ষ্যে গত ফেব্রুয়ারিতে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। গঠিত ওই কমিটি কাজ করে যাচ্ছে। আজকের বৈঠকে কাজের অগ্রগতি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। তবে বিষয়টি নিয়ে আরো একাধিকবার অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বসতে হবে।
তিনি বলেন, ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশনের বিষয়ে সরকার, ডিএসই ও সিএসই সকলেই অত্যন্ত আন্তরিক। সুতরাং এটা না হওয়ার কোনো কারণ নেই।
ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশনের ক্ষেত্রে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের স্বার্থের দিকটিই অধিক গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
সিএসই সভাপতি ফখর উদ্দিন আলী আহমেদ বলেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। বিভিন্ন দেশের মডেল ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো হচ্ছে।