বাংলাদেশ ব্যাংক বিজ্ঞাপন দিয়ে নতুন ব্যাংকের আবেদন আহ্বান করবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সূত্রগুলো বলছে, আবেদন পাওয়ার পর সেগুলো যাচাই করা হবে। উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের যোগ্যতা যাচাইয়ের পর উত্তীর্ণদের কারিগরি মূল্যায়ন করা হবে দক্ষ ব্যক্তিদের দিয়ে। এরপর উত্তীর্ণদের প্রস্তাবগুলো হাজির করা হবে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একটি কমিটির কাছে। এই কমিটির বিবেচনা করা আবেদনগুলো সর্বশেষ বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের কাছে উপস্থাপন করা হবে। পর্ষদ যাদের অনুমোদন দেবে, তাদের নামে ইচ্ছাপত্র দেওয়া হবে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য।
উল্লেখ্য, এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংক ২০০৬ সালে নতুন ব্যাংক প্রতিষ্ঠার একটি দিকনির্দেশনা প্রকাশ করে। আর গতকাল প্রকাশ করা হয় নতুন দিকনির্দেশনা। নতুন দিকনির্দেশনায় পরিশোধিত মূলধন, আবেদনের জন্য অফেরতযোগ্য অর্থ, শাখা স্থাপনের শর্ত, কিছু ক্ষেত্রে ঋণ বিতরণের বাধ্যবাধকতার মতো নতুন শর্ত যুক্ত করা হয়েছে।
প্রস্তাবিত ব্যাংকের উদ্যোক্তা ও পরিচালকের সক্ষমতা, যোগ্যতা, সততা বিষয়ে শর্তযুক্ত রয়েছে দিকনির্দেশনায়। এতে বলা হয়েছে, প্রস্তাবিত ব্যাংকের উদ্যোক্তা ও পরিচালকের অতীতের কর্মকাণ্ড কোনো নিয়ন্ত্রক সংস্থা বা আদালত কর্তৃক ভিন্নভাবে বিবেচনা করা হয়েছে কি না, তা যাচাই করা হবে।
নতুন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য সংখ্যা হবে ১৩ জন। প্রস্তাবিত ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীর ১৫ বছরের ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
নতুন ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হলে তার শাখা একটি শহরে হলে অপরটি গ্রামে স্থাপন করতে হবে কিংবা বাংলাদেশ ব্যাংক সময় সময়ে যে নির্দেশনা দেবে, তার ভিত্তিতে শাখা খুলতে হবে। ব্যাংকটিকে অন্তত ৫ ভাগ ঋণ কেন্দ্রীয় ব্যাংক যে নির্দেশনা দেবে, তার ভিত্তিতে বিতরণ করতে হবে। ব্যাংকটির আয়ের অন্তত ১০ ভাগ সামাজিক দায়বদ্ধ খাতে (সিএসআর) ব্যয় করতে হবে।
আবেদনের সঙ্গে প্রস্তাবিত ব্যাংকের সম্পদের ঝুঁকির দিকগুলো যেসব এলাকা বা খাতে ব্যাংকিং সেবা পৌঁছেনি, সেসব ক্ষেত্রে সেবা পৌঁছানো কৌশল, ফি ও মাশুল কমিয়ে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যকে প্রতিযোগিতাশীল করতে কৌশল, রপ্তানি বহুমুখীকরণের কৌশল ও অপ্রচলিত রপ্তানি উৎ সাহিত করার কৌশলপত্রও উপস্থাপন করতে হবে।