শেয়ারবাজার :::: হচ্ছে হবের গতানুগতিক বাজেট: ড. আকবর আলি খান
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ আকবর আলি খান বলেন, ‘মহাজোট সরকার ঘোষিত এবারের জাতীয় বাজেটের বাস্তবায়নটাই বড় চ্যালেঞ্জ।’
এ বাজেটকে এক কথায় তিনি ‘হচ্ছে হবের গতানুগতিক বাজেট’ আখ্যা দেন। সীমিত সম্পদের এদেশে ঘাটতি মেটাতে সরকারকে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে।
এই বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ বৃহস্পতিবার গুলশানে তার বাসায় বাজেটের মাগরিবের নামাজ-বিরতির সময় বলেন, ‘এ পর্যন্ত যতটুকু দেখলাম সরকারের ঘোষিত এ বিশাল বাজেট বাস্তবায়ন করতে বিরাট এক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘ঘোষিত বাজেটের বরাদ্দ সঠিক সময়ে খাতগুলোতে পৌঁছাতে হবে এবং প্রত্যেকটি খাতেরই দক্ষতা ও উৎকর্ষতা বাড়াতে হবে। সব কাজই সরকারকে সঠিক সময়ে করতে হবে।
এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সরকারকে সঠিকভাবে খাতগুলোতে বরাদ্দ দিতে হবে উল্লেখ করে আকবর আলি খান বলেন, এ ব্যাপারে তৃণমূলে যেন বরাদ্দকৃত অর্থ সঠিক সময়ে পৌঁছায় সে দিকেও সরকারকে সর্বোচ্চ খেয়াল রাখতে হবে। ’
অব্যাহত গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকট নিরসনে সরকারকে আরো কার্যকরী উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে ড. আকবর আলি খান বলেন, ‘কর্মসংস্থান বাড়াতে হলে সবার আগে
প্রয়োজন শিল্প-কারখানা স্থাপনে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য গ্যাস-বিদ্যুৎ ও উন্নত যোগাযোগ এবং পণ্য পরিবহনের ব্যবস্থা করতে পারলেই শিল্পায়ন হবে।’
সাবেক এ অর্থ উপদেষ্টা বলেন, গত অর্থবছরের বাজেটে যেখানে সরকার ভালো করেছে, সেই সব উৎপাদনশীল খাতে বরাদ্দ বেশি না থাকলে সমস্যা হবে।
তিনি বলেন, ‘শুধু অর্থ বরাদ্দ দিলেই হবে না। বিদ্যুৎ নিয়ে আমরা শঙ্কিত। বিদ্যুত কি আকাশ থেকে হবে? কারণ বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসসহ অনান্য ্িবষয়ও আছে। এ বিদ্যুত সঙ্কট নিয়ে কাক্সিক্ষত জিডিপি অর্জন করা কঠিন হয়ে যাবে।’
ড. আকবর আলি বলেন, ‘অবকাঠামোগত কি কি সমস্যা রয়েছে, কিভাবে সমাধান করা যায় এসব নিয়ে জাতীয় বিতর্কের দরকার। সত্যিকারের অর্থময় আলোচনা সংসদ ও সংসদের বাইরে হওয়া দরকার। তা না হলে এ বাজেট গতানুগতিক বাজেটই থেকে যাবে।’
আকবর আলি খান বলেন, ‘বর্তমান বাজেট ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত দুর্বল। সংবিধান অনুযায়ী বাজেট জনসাধারণ নিয়ন্ত্রণ করবে কিন্তু ওই সুযোগ নেই। দেখা যায়, দেশের বাজেট প্রণয়নে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদেরও ভূমিকা সীমাবদ্ধ। সংসদে বাজেট নিয়ে এমপিদের সাথে অর্থবহ আলোচনা হয় না। অথচ বিশ্বের অন্যান্য দেশে গত ৩ দশকে বাজেট প্রক্রিয়ায় ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশে এখন বিদ্যুৎ সংকট, গ্যাস সংকট, পানি সংকট, বন্দর সমস্যা, যানজট সমস্যাসহ বিস্তর সংকট-সমস্যা বিরাজ করছে। বাজেটে এসবের সমাধানে সুস্পষ্ট দিক নির্দেশ নেই।’
মূল্যস্ফীতির ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘বর্তমান মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের দীর্ঘমেয়াদী কোনও পরিকল্পনা নেই। স্বল্পমেয়াদী কিছু পরিকল্পনা রয়েছে। মূল্যস্ফীতি বেড়ে গেলে দারিদ্র্যের হার বেড়ে যায়। মূল্যস্ফীতি সবচেয়ে বড় প্রভাব ফেলে দরিদ্রদের ওপর। আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্য বৃদ্ধি, সিন্ডিকেট, বিশ্বব্যাপী কৃষি উৎপাদন কম হওয়া, কম মজুদ ইত্যাদির কারণে মূল্যস্ফীতি হয়।
স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালীকরণের কথা বলা হলেও কোন সরকারই স্থানীয় সরকারকে সাংবিধানিক ক্ষমতা দিচ্ছে না বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের আসল সমস্যা হলো সম্পদের অভাব। কিন্তু সম্পদের অভাবের চেয়েও বড় সমস্যা হলো সম্পদের অপচয়। বাজেট নিয়ে ভালোভাবে বিশ্লেষণ করতে আরো কয়েকদিন সময় প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।
BUDGET IMPLEMENTATIONMuhith sees only 2 major risks
The finance minister sees only two major risks – the fallout of the great recession and political unrest –in implementing the new budget and said the government will form a taskforce to tackle the risks.
"I can't say about the future right now. The taskforce will give us directions to tackle the risks," A M A Muhith told a press conference on Friday, a day after placing the budget in parliament.
On Thursday, the Centre for Policy Dialogue (CPD), a think tank, warned that financing, institutional, macroeconomic and political risks might deter the government from achieving the projected growth targets in the next fiscal year.
"The finance minister projected budget deficit (including grants) of over Tk 400 billion and the government must find out sources to reduce pressure on domestic credit," CPD distinguished fellow Dr Debapriya Bhattacharya said.
Muhith proposed that the government would borrow about Tk 190 billion from domestic banking system and set expected foreign borrowing at Tk 130 billion.
His Tk 1.63 trillion outlay rose by about 25 percent on what the government has spent this year.
The finance minister hoped to see an unprecedented growth of 7 percent in the economy—which remains doubtful given the wobbly economic situation—and mentioned that this year it had been at an impressive 6.7 percent
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ আকবর আলি খান বলেন, ‘মহাজোট সরকার ঘোষিত এবারের জাতীয় বাজেটের বাস্তবায়নটাই বড় চ্যালেঞ্জ।’
এ বাজেটকে এক কথায় তিনি ‘হচ্ছে হবের গতানুগতিক বাজেট’ আখ্যা দেন। সীমিত সম্পদের এদেশে ঘাটতি মেটাতে সরকারকে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে।
এই বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ বৃহস্পতিবার গুলশানে তার বাসায় বাজেটের মাগরিবের নামাজ-বিরতির সময় বলেন, ‘এ পর্যন্ত যতটুকু দেখলাম সরকারের ঘোষিত এ বিশাল বাজেট বাস্তবায়ন করতে বিরাট এক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘ঘোষিত বাজেটের বরাদ্দ সঠিক সময়ে খাতগুলোতে পৌঁছাতে হবে এবং প্রত্যেকটি খাতেরই দক্ষতা ও উৎকর্ষতা বাড়াতে হবে। সব কাজই সরকারকে সঠিক সময়ে করতে হবে।
এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সরকারকে সঠিকভাবে খাতগুলোতে বরাদ্দ দিতে হবে উল্লেখ করে আকবর আলি খান বলেন, এ ব্যাপারে তৃণমূলে যেন বরাদ্দকৃত অর্থ সঠিক সময়ে পৌঁছায় সে দিকেও সরকারকে সর্বোচ্চ খেয়াল রাখতে হবে। ’
অব্যাহত গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকট নিরসনে সরকারকে আরো কার্যকরী উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে ড. আকবর আলি খান বলেন, ‘কর্মসংস্থান বাড়াতে হলে সবার আগে
প্রয়োজন শিল্প-কারখানা স্থাপনে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য গ্যাস-বিদ্যুৎ ও উন্নত যোগাযোগ এবং পণ্য পরিবহনের ব্যবস্থা করতে পারলেই শিল্পায়ন হবে।’
সাবেক এ অর্থ উপদেষ্টা বলেন, গত অর্থবছরের বাজেটে যেখানে সরকার ভালো করেছে, সেই সব উৎপাদনশীল খাতে বরাদ্দ বেশি না থাকলে সমস্যা হবে।
তিনি বলেন, ‘শুধু অর্থ বরাদ্দ দিলেই হবে না। বিদ্যুৎ নিয়ে আমরা শঙ্কিত। বিদ্যুত কি আকাশ থেকে হবে? কারণ বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসসহ অনান্য ্িবষয়ও আছে। এ বিদ্যুত সঙ্কট নিয়ে কাক্সিক্ষত জিডিপি অর্জন করা কঠিন হয়ে যাবে।’
ড. আকবর আলি বলেন, ‘অবকাঠামোগত কি কি সমস্যা রয়েছে, কিভাবে সমাধান করা যায় এসব নিয়ে জাতীয় বিতর্কের দরকার। সত্যিকারের অর্থময় আলোচনা সংসদ ও সংসদের বাইরে হওয়া দরকার। তা না হলে এ বাজেট গতানুগতিক বাজেটই থেকে যাবে।’
আকবর আলি খান বলেন, ‘বর্তমান বাজেট ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত দুর্বল। সংবিধান অনুযায়ী বাজেট জনসাধারণ নিয়ন্ত্রণ করবে কিন্তু ওই সুযোগ নেই। দেখা যায়, দেশের বাজেট প্রণয়নে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদেরও ভূমিকা সীমাবদ্ধ। সংসদে বাজেট নিয়ে এমপিদের সাথে অর্থবহ আলোচনা হয় না। অথচ বিশ্বের অন্যান্য দেশে গত ৩ দশকে বাজেট প্রক্রিয়ায় ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশে এখন বিদ্যুৎ সংকট, গ্যাস সংকট, পানি সংকট, বন্দর সমস্যা, যানজট সমস্যাসহ বিস্তর সংকট-সমস্যা বিরাজ করছে। বাজেটে এসবের সমাধানে সুস্পষ্ট দিক নির্দেশ নেই।’
মূল্যস্ফীতির ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘বর্তমান মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের দীর্ঘমেয়াদী কোনও পরিকল্পনা নেই। স্বল্পমেয়াদী কিছু পরিকল্পনা রয়েছে। মূল্যস্ফীতি বেড়ে গেলে দারিদ্র্যের হার বেড়ে যায়। মূল্যস্ফীতি সবচেয়ে বড় প্রভাব ফেলে দরিদ্রদের ওপর। আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্য বৃদ্ধি, সিন্ডিকেট, বিশ্বব্যাপী কৃষি উৎপাদন কম হওয়া, কম মজুদ ইত্যাদির কারণে মূল্যস্ফীতি হয়।
স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালীকরণের কথা বলা হলেও কোন সরকারই স্থানীয় সরকারকে সাংবিধানিক ক্ষমতা দিচ্ছে না বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের আসল সমস্যা হলো সম্পদের অভাব। কিন্তু সম্পদের অভাবের চেয়েও বড় সমস্যা হলো সম্পদের অপচয়। বাজেট নিয়ে ভালোভাবে বিশ্লেষণ করতে আরো কয়েকদিন সময় প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।
BUDGET IMPLEMENTATIONMuhith sees only 2 major risks
The finance minister sees only two major risks – the fallout of the great recession and political unrest –in implementing the new budget and said the government will form a taskforce to tackle the risks.
"I can't say about the future right now. The taskforce will give us directions to tackle the risks," A M A Muhith told a press conference on Friday, a day after placing the budget in parliament.
On Thursday, the Centre for Policy Dialogue (CPD), a think tank, warned that financing, institutional, macroeconomic and political risks might deter the government from achieving the projected growth targets in the next fiscal year.
"The finance minister projected budget deficit (including grants) of over Tk 400 billion and the government must find out sources to reduce pressure on domestic credit," CPD distinguished fellow Dr Debapriya Bhattacharya said.
Muhith proposed that the government would borrow about Tk 190 billion from domestic banking system and set expected foreign borrowing at Tk 130 billion.
His Tk 1.63 trillion outlay rose by about 25 percent on what the government has spent this year.
The finance minister hoped to see an unprecedented growth of 7 percent in the economy—which remains doubtful given the wobbly economic situation—and mentioned that this year it had been at an impressive 6.7 percent