(১৫৬৪) 'শেষ সুযোগ'

Friday, June 10, 2011 Unknown
শেয়ারবাজার :::: সরকারের নির্বাচনী প্রতিশ্র"তি পূরণের 'শেষ সুযোগ' হিসেবে উল্লেখ করে নতুন অর্থবছরের জন্য যে বাজেট প্রস্তাব অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত উপস্থাপন করলেন, তাতে পুঁজিবাজার এবং বিদ্যুৎ জ্বালানি খাতকে উল্লেখযোগ্য মাত্রায় গুরুত্ব দেওয়া হলেও কোপ পড়েছে কৃষি ভর্তুকিতে

সংবিধান সংশোধন নিয়ে রাজনৈতিক দোলাচাল আর সার্বিক অর্থনীতির জটিল এক সময়ে এসে ২০১১-১২ অর্থবছরের জন্য লাখ ৬৩ হাজার ৫৮৯ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী, যাতে ঘাটতি ধরা হয়েছে ৪৫ হাজার কোটি টাকা বাজেটের এই আকার চলতি অর্থবছরের বাজেটের তুলনায় প্রায় ২৫ শতাংশ বেশি

চলতি অর্থবছরে . শতাংশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হওয়ার কথা জানিয়ে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, আগামী অর্থবছরে এই হার শতাংশে পৌঁছাবে

সরকারের এই বাজেট প্রস্তাবে ২০১১-১২ অর্থবছর শেষে মূল্যস্ফীতির হার . শতাংশে পৌঁছাতে পারে বলে উল্লেখ করেছেন অর্থমন্ত্রী যদিও, চলতি অর্থবছরের গড় মূল্যস্ফীতি ইতোমধ্যে শতাংশে পৌঁছেছে এবং জ্বালানি খাতে ভর্তুকি আর আমদানি ব্যয়ের ঊর্ধ্বগতির কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ বড় ধরনের চাপের মধ্যে রয়েছে

বৃহস্পতিবার বিরোধী দলের অনুপস্থিতেই জাতীয় সংসদে বর্তমান মহাজোট সরকারের তৃতীয় বাজেটটি উপস্থাপন েেকরন মুহিত

তার প্রস্তাব অনুযায়ী, আগামী অর্থবছরে সরকারের আয়ের লাখ ১৮ হাজার ৩৮৫ টাকা আসবে রাজস্ব (এনবিআর) খাত থেকে, যা মোট বাজেটের ৬৫. শতাংশ আর ঋণ অনুদান হিসেবে পাওয়া যাবে ২৭ শতাংশ, যার একটি বড় অংশ সরকার ব্যাংকগুলোতে থেকে নেবে

অবশ্য রাজস্ব আদায়ের যে খাতওয়ারি প্রস্তাব মুহিত দিয়েছেন, তাতে চলতি অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের সঙ্গে তফাত খুব সামান্যই এতে সামগ্রিক ঘাটতি ধরা হয়েছে ৪৫ হাজার ২০৪ কোটি টাকা, যা জিডিপির শতাংশ

নতুন অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৬ হাজার কোটি টাকা, যা চলতি অর্থবছরের তুলনায় ১৯. শতাংশ বেশি এর মধ্যে বিদ্যুৎ এবং যোগাযোগ পরিবহন খাতেই ব্যয় বাড়ছে প্রায় ৩১ শতাংশ

ব্যয়ের মধ্যে খাতওয়ারি সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ রাখা হয়েছে জনপ্রশাসন খাতে ১৪ দশমিক শতাংশ শিক্ষা প্রযুক্তি খাতে ১২ দশমিক শতাংশ বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে ঋণের সুদ পরিশোধে যাবে ব্যয়ের ১১ শতাংশ প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে দশমিক শতাংশ, কৃষি খাতে দশমিক শতাংশ, জ্বালানি বিদ্যুতে দশমিক শতাংশ, পরিবহন যোগাযোগে দশমিক শতাংশ

অর্থমন্ত্রী ব্যক্তিশ্রেণীর করদাতাদের করমুক্ত আয়ের সীমা লাখ ৬৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে লাখ ৮০ হাজার টাকা করার প্রস্তাব করেছেন তবে কোম্পানি শ্রেণীর করদাতাদের করহার অপরিবর্তিত রাখার প্রস্তাব করেছেন তিনি

কোটি টাকার অধিক সম্পদের মালিকদের তাদের প্রদত্ত করের ১০ শতাংশ হারে সারচার্জের প্রস্তাব করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, স্পিকার, সংসদ সদস্য উচ্চ আদালতের বিচারকদের করমুক্ত আয়ের সুবিধা তুলে দেওয়ার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী

সঞ্চয়পত্রে সুদের হার পরিবর্তনের প্রস্তাবও করেছেন অর্থমন্ত্রী উৎসে কর কাটার হার ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছেন তিনি জানিয়েছেন, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের কর সনাক্তকরণ নম্বর লাগবে না

শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব করায় যেসব পণ্যের দাম বাড়তে যাচ্ছে, তার মধ্যে রয়েছে- বিলাসবহুল চার দরজাবিশিষ্ট পিকআপ, প্রাথমিক মাধ্যমিকের আমদানি করা পাঠ্যপুস্তক, সিগারেট, বিড়ি, বাস ট্রাকের টায়ার, পানির ট্যাপ ইত্যাদি

সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো বা আরোপের প্রস্তাবের কারণে আমদানি করা যেসব পণ্যের দাম বাড়তে পারে, তার মধ্যে রয়েছে- সব ধরনের কাপড়, প্রসাধনী দ্রব্য, সুগন্ধী, জুতার পালিশ, টয়লেট পেপার, রান্নাঘরে ব্যবহৃত কাচের সামগ্রী, গৃহে ব্যবহৃত ফ্যান, ফ্যানের যন্ত্রাংশ, বিভিন্ন বৈদ্যুতিক সুইচ আসবাবপত্র

শুল্ক সম্পূরক শুল্ক কমানোর প্রস্তাব করায় যেসব পণ্যের দাম কমতে পারে, তার মধ্যে রয়েছে- এলপি গ্যাস, ইটিপির জন্য আমদানিকৃত রাসায়নিক, ক্যান্সারের কেমাথেরাপি ওষুধ, বিদ্যুৎসাশ্রয়ী বাতি, সৌরচালিত বাতি, টিউবলাইট ইত্যাদি

শেয়ারের মুনাফা থেকে অনেক বিনিয়োগকারী করযোগ্য সীমার চেয়েও বেশি আয় করলেও পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতা রক্ষার স্বার্থে তাদের ক্ষেত্রে আগের মতোই কর অব্যাহতি বহাল রাখার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আবদুল মাল আবদুল মুহিত

বাজেট ঘোষণা আগে থেকেই অর্থমন্ত্রীসহ সরকারের শীর্ষ ব্যক্তিরা বলে আসছিলেন, পুঁজিবাজারের জন্য ক্ষতিকম কোনো সিদ্ধান্ত সরকার নেবে না এর প্রতিফলন পাওয়া গেছে নতুন অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতাতেও অনেক বিনিয়োগকারী শেয়ার মুনাফা থেকে করযোগ্য সীমার চেয়ে বেশি আয় করলেও কর অব্যাহতি সুবিধা বহাল রাখার প্রস্তাব করেছেন তিনি

বিনিয়োগকারীদের টিআইএন প্রদর্শনেরও কোনো বাধ্যবধকতা থাকছে না বলে উল্লেখ করেন অর্থমন্ত্রী

পুঁজিবাজারে আস্থার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে লভ্যাংশ ঘোষণার ভিত্তিতে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোকে কর রেয়াত দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বাজেটে এতে বলা হয়েছে, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত যেসব কোম্পানি ২০ শতাংশের বেশি লভ্যাংশ দেবে, তারা ১০ শতাংশ হারে কর রেয়াত পাবে আর যারা ১০ শতাংশের নিচে লভ্যাংশ ঘোষণা করবে, তাদের ৩৭. শতাংশ হারে করপোরেট কর দিতে হবে

তবে সব ব্যাংক বীমা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ৪২. শতাংশ করপোরেট কর অপরিবর্তিত থাকবে কর রেয়াতের সুবিধা এসব প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না

বর্তমানে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির করপোরেট করের হার ২৭. শতাংশ আর তালিকাভুক্ত নয়, এমন কোম্পানিকে ৩৭ দশমিক শতাংশ হারে কর দিতে হয়

নতুন অর্থবছরের বাজেটে বিদ্যুৎ জ্বালানি খাতে হাজার ৩১১ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে, যা এই খাতে চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের তুলনায় ১৫ শতাংশ বেশি

অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, বর্তমানে সরকারি বেসরকারি খাতে প্রায় হাজার ৫৪৭ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার ২৯টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণাধীন রয়েছে এছাড়া প্রায় হাজার ১৬৬ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার ৩১টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের দরপত্র প্রক্রিয়া চলছে

প্রাকৃতিক গ্যাসের সংকটের কারণে ডিজেল, ফার্নেস অয়েল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের বিষয়েও জোর দিচ্ছে সরকার

২০০৮ সালে জাতীয় নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গীকার ছিল ২০১৩ সালের মধ্যে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন কিন্তু আগামী অর্থবছরের বাজেটে কৃষিখাতে হাজার ৫০০ কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়ার প্রস্তাব করেছেন তিনি, চলতি অর্থবছর যার পরিমাণ ছিল হাজার ৭০০ কোটি টাকা

এই হিসেবে কৃষ্খিাতে সরকারের বাজেট কমছে প্রায় ১২ শতাংশ, যেখানে প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে ২৯ শতাংশের মতো

বাজেট প্রস্তাবে বলা হয়েছে, যেসব মোবাইল ফোন সেবাদানকারী কোম্পানি তাদের পরিশোধিত মূলধনের ন্যূূনতম ১০ শতাংশ শেয়ার বাজারে ছাড়বে এবং যাদের আইপিওপূর্ব প্লেসমেন্টের পরিমাণ সর্বোচ্চ শতাংশ হবে, তাদের ক্ষেত্রে ৩৫ শতাংশ হারে করপোরেট কর প্রযোজ্য হবে

অন্যান্য মোবাইল ফোন অপারেটরকে এখনকার মতো ৪৫ শতাংশ হারেই কর দিতে হবে বলে প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়েছে

ধূমপান নিরুৎসাহিত করার জন্য সিগারেট কোম্পানিগুলোর ওপরে ৪২. শতাংশ হারে কর আরোপের প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী

এছাড়া প্রস্তাবিত বাজেটে সরকারি বন্ডে ১০ শতাংশ হারে কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রেখেছেন তিনি

নিয়ে পঞ্চমবারের মতো সরকারের বাজেট প্রস্তাব পেশ করলেন মুহিত এর আগে ১৯৮২-৮৩ ১৯৮৩-৮৪ অর্থবছরে দুটি বাজেট তিনি পেশ করেছিলেন

বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপনের আগে সংসদ ভবনেই মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে তা অনুমোদন হয়




BUDGET IMPLEMENTATIONMuhith sees only 2 major risks
 
The finance minister sees only two major risks – the fallout of the great recession and political unrest –in implementing the new budget and said the government will form a taskforce to tackle the risks.

"I can't say about the future right now. The taskforce will give us directions to tackle the risks," A M A Muhith told a press conference on Friday, a day after placing the budget in parliament.

On Thursday, the Centre for Policy Dialogue (CPD), a think tank, warned that financing, institutional, macroeconomic and political risks might deter the government from achieving the projected growth targets in the next fiscal year.

"The finance minister projected budget deficit (including grants) of over Tk 400 billion and the government must find out sources to reduce pressure on domestic credit," CPD distinguished fellow Dr Debapriya Bhattacharya said.

Muhith proposed that the government would borrow about Tk 190 billion from domestic banking system and set expected foreign borrowing at Tk 130 billion.

His Tk 1.63 trillion outlay rose by about 25 percent on what the government has spent this year.

The finance minister hoped to see an unprecedented growth of 7 percent in the economy—which remains doubtful given the wobbly economic situation—and mentioned that this year it had been at an impressive 6.7 percent

Blog Archive