কোনো ধরনের সম্পাদনা ছাড়াই আনুষ্ঠানিকভাবে হুবহু প্রকাশ করেছে সরকার। একইসঙ্গে তদন্ত কমিটির সুপারিশ মেনে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) পুনর্গঠন, কিছু ক্ষেত্রে আরও তদন্ত, সংস্কার কার্যক্রম পর্যবেক্ষণে টাস্কফোর্স গঠন এবং দায়ী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। শনিবার সন্ধ্যায় সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। এসময় তিনি তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ এবং তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী, স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের কথা জানান। অর্থমন্ত্রী এসময় বলেছেন, তদন্ত প্রতিবেদনের প্রকাশনা নিয়ে অনেক আলোচনা ও বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। তাই পুরো প্রতিবিদনটি কোনো সম্পাদনা না করেই সরকার প্রকাশ করছে। অর্থমন্ত্রী তদন্ত কমিটির সুপারিশ বিষয়ে সরকারের বক্তব্য তুলে ধরে বলেন, কমিটি অনেক ক্ষেত্রে ধারণা বা অনুমানের উপর ভিত্তি করে কারও দোষ খুঁজে পেয়েছে বা সুপারিশ করেছে। এর ভিত্তিতে কারও বিরুদ্ধে তাত্ক্ষনিকভাবে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আনা যায়না। এতে অধিকতর তদন্তের প্রয়োজন। কারণ হিসেবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘অনুমান নির্ভর তথ্যের ভিত্তিতে কারো চরিত্র হনন হোক, এটাও যেমন কাম্য নয়, আবার কারসাজির সঙ্গে যুক্তরা আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে বেরিয়ে যাক, এটাও সরকার চায় না।’
অর্থমন্ত্রী জানান, প্রতিবেদনের বিভিন্ন সুপারিশ বাস্তবায়নে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হবে। শিগগিরই ঘোষণা করা হবে এই টাস্কফোর্সের কার্যপরিধি। টাস্কফোর্স শুধু সুপারিশ বাস্তবায়ন পর্যবেক্ষণ ও পরিবীক্ষণ করবে না, পুঁজিবাজারের সংস্কার কার্যক্রমেরও মূল্যায়ণ ও পর্যবেক্ষণ করবে।
প্রতিবেদনের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী দুইটি ক্ষেত্রে ফৌজদারী অপরাধের কথা উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী মোট ১৪টি বিষয়ে অধিকতর তদন্ত করা হবে বলে জানান।
অর্থমন্ত্রী জানান, প্রতিবেদনের বিভিন্ন সুপারিশ বাস্তবায়নে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হবে। শিগগিরই ঘোষণা করা হবে এই টাস্কফোর্সের কার্যপরিধি। টাস্কফোর্স শুধু সুপারিশ বাস্তবায়ন পর্যবেক্ষণ ও পরিবীক্ষণ করবে না, পুঁজিবাজারের সংস্কার কার্যক্রমেরও মূল্যায়ণ ও পর্যবেক্ষণ করবে।
প্রতিবেদনের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী দুইটি ক্ষেত্রে ফৌজদারী অপরাধের কথা উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী মোট ১৪টি বিষয়ে অধিকতর তদন্ত করা হবে বলে জানান।