খলিলী বলেন, শেয়ারবাজার আসলে কোনো নিয়মকানুনেই চলেনি। বরং বাজার হয়ে পড়েছে কিছু বড় সুবিধাভোগীর ক্লাব। কিন্তু ২০ লাখের বেশি ছোট-বড় বিনিয়োগকারী যখন এই বাজারে যুক্ত হয়ে পড়ে, তখন স্টক এক্সচেঞ্জ কোনোভাবেই মুষ্টিমেয় স্বার্থান্বেষী কিছু লোকের হাতে কুক্ষিগত থাকতে পারে না। সে জন্যই দরকার অর্থবহ ডিমিউচুয়ালাইজেশন। অর্থাৎ স্টক এক্সচেঞ্জের কারবার কার্যক্রম ও ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম আলাদা করা।
বাকী খলিলী নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) ব্যাপকভিত্তিক সংস্কারের প্রস্তাব করেন। উপদেষ্টা কমিটির বদলে একটি পরিচালনা পর্ষদ গঠন করে কমিশন বিশেষত, চেয়ারম্যানকে পর্ষদের কাছে জবাবদিহি করার বিধান চালুর সুপারিশ করেন।
খলিলী বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশ্যে এই বলে সতর্কতা দেন, ঋণের অর্থের ওপর নির্ভর করে বিনিয়োগ করা ঝুঁকিপূর্ণ। এ জন্য তিনি ঋণসীমা আরোপেরও প্রস্তাব দেন।
নির্ধারিত আলোচক মুজিবুদ্দিন বলেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থা নিজেদের অবস্থান নিজেরাই ক্ষুণ্ন করেছে। তিনি প্রশ্ন করেন, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সঙ্গে এসইসির এত দহরম-মহরম কেন?
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ বলেন, প্রতিটি কোম্পানির বার্ষিক আর্থিক হিসাব বিবরণী ও উদ্বৃত্তপত্র যৌথ মূলধনি কোম্পানি ও ফার্মসমূহের নিবন্ধকের অধিদপ্তরে (আরজেএসসি) দাখিল করার কথা। প্রতিষ্ঠানগুলো তা যথাযথভাবে পরিপালন করছে কি না, এসইসি যদি তা দেখে না থাকে, তাহলে তারা দায়িত্ব পালনে অবহেলা করেছে।
আইনমন্ত্রী আরও বলেন, একইভাবে বিনিয়োগকারীদেরও প্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যয়ের তথ্য-উপাত্ত দেখে সাবধানে বিনিয়োগ করা উচিত।
আইনমন্ত্রী আলোচনায় উঠে আসা বিভিন্ন সুপারিশ যথাযথভাবে পর্যালোচনা করে বিদ্যমান আইনকানুন সংশোধন করা হবে বলে জানান। তিনি আরও বলেন, পুঁজিবাজারকে কাজে লাগাতে হলে সুন্দর ব্যবস্থাপনা করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন বলেন, শিল্পঋণ ও এসএমই ঋণের নামে নেওয়া টাকা শেয়ারবাজার গেছে। গেছে মূলত সেকেন্ডারি মার্কেটে, যেখানে চাহিদার স্ফীতি ঘটেছে কিন্তু সেভাবে পুঁজি তৈরি হয়নি।
ফরাসউদ্দিন বলেন, ব্যাংকের ঋণ আমানতের অনুপাতসীমা অনেক ক্ষেত্রেই রক্ষিত হয়নি। শেয়ারবাজারে টাকা খাটিয়ে ব্যাংকগুলো উচ্চ মুনাফা করেছে। এই সুযোগে অনেক ঋণখেলাপি তাদের হিসাব পরিষ্কার করে নিয়েছে।
মুক্ত আলোচনায় বক্তারা তদন্ত প্রতিবেদন এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ না করার জন্য সরকারের সমালোচনা করেন। এটি করাকে সরকার ঝুঁকিপূর্ণ মনে করছে কি না, এমন প্রশ্নও তোলেন।
বাকী খলিলী নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) ব্যাপকভিত্তিক সংস্কারের প্রস্তাব করেন। উপদেষ্টা কমিটির বদলে একটি পরিচালনা পর্ষদ গঠন করে কমিশন বিশেষত, চেয়ারম্যানকে পর্ষদের কাছে জবাবদিহি করার বিধান চালুর সুপারিশ করেন।
খলিলী বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশ্যে এই বলে সতর্কতা দেন, ঋণের অর্থের ওপর নির্ভর করে বিনিয়োগ করা ঝুঁকিপূর্ণ। এ জন্য তিনি ঋণসীমা আরোপেরও প্রস্তাব দেন।
নির্ধারিত আলোচক মুজিবুদ্দিন বলেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থা নিজেদের অবস্থান নিজেরাই ক্ষুণ্ন করেছে। তিনি প্রশ্ন করেন, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সঙ্গে এসইসির এত দহরম-মহরম কেন?
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ বলেন, প্রতিটি কোম্পানির বার্ষিক আর্থিক হিসাব বিবরণী ও উদ্বৃত্তপত্র যৌথ মূলধনি কোম্পানি ও ফার্মসমূহের নিবন্ধকের অধিদপ্তরে (আরজেএসসি) দাখিল করার কথা। প্রতিষ্ঠানগুলো তা যথাযথভাবে পরিপালন করছে কি না, এসইসি যদি তা দেখে না থাকে, তাহলে তারা দায়িত্ব পালনে অবহেলা করেছে।
আইনমন্ত্রী আরও বলেন, একইভাবে বিনিয়োগকারীদেরও প্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যয়ের তথ্য-উপাত্ত দেখে সাবধানে বিনিয়োগ করা উচিত।
আইনমন্ত্রী আলোচনায় উঠে আসা বিভিন্ন সুপারিশ যথাযথভাবে পর্যালোচনা করে বিদ্যমান আইনকানুন সংশোধন করা হবে বলে জানান। তিনি আরও বলেন, পুঁজিবাজারকে কাজে লাগাতে হলে সুন্দর ব্যবস্থাপনা করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন বলেন, শিল্পঋণ ও এসএমই ঋণের নামে নেওয়া টাকা শেয়ারবাজার গেছে। গেছে মূলত সেকেন্ডারি মার্কেটে, যেখানে চাহিদার স্ফীতি ঘটেছে কিন্তু সেভাবে পুঁজি তৈরি হয়নি।
ফরাসউদ্দিন বলেন, ব্যাংকের ঋণ আমানতের অনুপাতসীমা অনেক ক্ষেত্রেই রক্ষিত হয়নি। শেয়ারবাজারে টাকা খাটিয়ে ব্যাংকগুলো উচ্চ মুনাফা করেছে। এই সুযোগে অনেক ঋণখেলাপি তাদের হিসাব পরিষ্কার করে নিয়েছে।
মুক্ত আলোচনায় বক্তারা তদন্ত প্রতিবেদন এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ না করার জন্য সরকারের সমালোচনা করেন। এটি করাকে সরকার ঝুঁকিপূর্ণ মনে করছে কি না, এমন প্রশ্নও তোলেন।