মানুষের হাতে এখন অনেক বেশি নগদ অর্থ। হঠাৎ করেই মানুষ ব্যাংকে না রেখে নিজের কাছে টাকা রাখার পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছে।
শেয়ারবাজারের উত্থানের সময় অনেক বেশি টাকা মানুষের হাতে চলে এসেছিল। তার একটি বড় অংশ ব্যাংকে ফেরত যায়নি। আবার এমনও হতে পারে, শেয়ারবাজার থেকে যাঁরা অতিরিক্ত মুনাফা করেছিলেন, তাঁরা অর্থ নিজের কাছেই রেখে দিয়েছেন।
আবার উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে চাইলেও অনেকে ব্যাংকে অর্থ রেখে দিতে পারছেন না। খেয়ে-পরে বাঁচতে আগের তুলনায় অনেক বেশি অর্থ খরচ করতে হচ্ছে। খোলাবাজারে উচ্চ মূল্যে ডলারের কেনাবেচাকেও এ জন্য দায়ী করা হচ্ছে। মোট কথা, অনেক মানুষই এখন টাকা ব্যাংকে রাখতে চাইছেন না। নানা ধরনের অনিশ্চয়তা বা অস্বস্তি কিংবা অস্বাচ্ছন্দ্যই এর কারণ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে দেশে এখন মানুষের হাতে নগদ আছে ৫২ হাজার কোটি টাকা। আর এক বছর আগেও ছিল ৪১ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ মাত্র এক বছরের ব্যবধানে মানুষের কাছে বাড়তি ১১ হাজার কোটি টাকা বেশি চলে এসেছে।
এক বছর আগেও উদ্যোক্তাদের ডেকে ডেকে ঋণ দিতে চেষ্টা করেছিল ব্যাংক। আর এখন উদ্যোক্তাদের অভিযোগ, ব্যাংকে অর্থ নেই, ডলারের তীব্র সংকট। মূলত, বিগত অক্টোবর-নভেম্বর সময় থেকেই দেশের ব্যাংক খাতে নগদ অর্থের ব্যাপক টানাটানি দেখা দেয়। আর জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি সময়ে তা তীব্রতা পায়। প্রশ্ন তোলা হয়, ব্যাংকের এত টাকা কোথায় গেল। দেখা যাচ্ছে, আগের চেয়ে এখন অনেক টাকা মানুষের পকেটেই রয়েছে।
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য এ বিষয়ে বলেন, মূল্যস্ফীতি বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাংকে আমানত রাখা ও বন্ডে বিনিয়োগের ওপর প্রকৃত আয় কমে গেছে। এর সঙ্গে বিনিময় হারের নিম্নগতিও চাপ সৃষ্টি করেছে। তাই মানুষ ব্যাংকের চেয়ে অন্য খাতে অর্থ খাটাতে আগ্রহী হয়েছে। এ কারণে ঘূর্ণমান অর্থের গতি কমে হাতে হাতে তা থেকেছে।
দেশের অর্থনীতির ওপর এর প্রভাব সম্পর্কে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘এতে মুদ্রানীতির কার্যকারিতা হ্রাস পেতে পারে। একই সঙ্গে তারল্য-ব্যবস্থাপনাও জটিল হয়ে যায়।’
শেয়ারবাজারের উত্থানের সময় অনেক বেশি টাকা মানুষের হাতে চলে এসেছিল। তার একটি বড় অংশ ব্যাংকে ফেরত যায়নি। আবার এমনও হতে পারে, শেয়ারবাজার থেকে যাঁরা অতিরিক্ত মুনাফা করেছিলেন, তাঁরা অর্থ নিজের কাছেই রেখে দিয়েছেন।
আবার উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে চাইলেও অনেকে ব্যাংকে অর্থ রেখে দিতে পারছেন না। খেয়ে-পরে বাঁচতে আগের তুলনায় অনেক বেশি অর্থ খরচ করতে হচ্ছে। খোলাবাজারে উচ্চ মূল্যে ডলারের কেনাবেচাকেও এ জন্য দায়ী করা হচ্ছে। মোট কথা, অনেক মানুষই এখন টাকা ব্যাংকে রাখতে চাইছেন না। নানা ধরনের অনিশ্চয়তা বা অস্বস্তি কিংবা অস্বাচ্ছন্দ্যই এর কারণ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে দেশে এখন মানুষের হাতে নগদ আছে ৫২ হাজার কোটি টাকা। আর এক বছর আগেও ছিল ৪১ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ মাত্র এক বছরের ব্যবধানে মানুষের কাছে বাড়তি ১১ হাজার কোটি টাকা বেশি চলে এসেছে।
এক বছর আগেও উদ্যোক্তাদের ডেকে ডেকে ঋণ দিতে চেষ্টা করেছিল ব্যাংক। আর এখন উদ্যোক্তাদের অভিযোগ, ব্যাংকে অর্থ নেই, ডলারের তীব্র সংকট। মূলত, বিগত অক্টোবর-নভেম্বর সময় থেকেই দেশের ব্যাংক খাতে নগদ অর্থের ব্যাপক টানাটানি দেখা দেয়। আর জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি সময়ে তা তীব্রতা পায়। প্রশ্ন তোলা হয়, ব্যাংকের এত টাকা কোথায় গেল। দেখা যাচ্ছে, আগের চেয়ে এখন অনেক টাকা মানুষের পকেটেই রয়েছে।
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য এ বিষয়ে বলেন, মূল্যস্ফীতি বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাংকে আমানত রাখা ও বন্ডে বিনিয়োগের ওপর প্রকৃত আয় কমে গেছে। এর সঙ্গে বিনিময় হারের নিম্নগতিও চাপ সৃষ্টি করেছে। তাই মানুষ ব্যাংকের চেয়ে অন্য খাতে অর্থ খাটাতে আগ্রহী হয়েছে। এ কারণে ঘূর্ণমান অর্থের গতি কমে হাতে হাতে তা থেকেছে।
দেশের অর্থনীতির ওপর এর প্রভাব সম্পর্কে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘এতে মুদ্রানীতির কার্যকারিতা হ্রাস পেতে পারে। একই সঙ্গে তারল্য-ব্যবস্থাপনাও জটিল হয়ে যায়।’