সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার আবার দরপতনের ধারায় ফিরে এসেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)।
আগের দুই কার্যদিবসের মতো এদিনও দিনের শুরুতে সূচকের ওঠানামায় উভয় বাজারের লেনদেন চলে।
পরে দুপুর পৌনে ২টা থেকে ধীরে ধীরে ডিএসইর সূচক কমতে থাকে। যা দিনের লেনদেন শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত অব্যাহত ছিল।
একই সঙ্গে লেনদেনও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমেছে।
লেনদেনের প্রথম ১০ মিনিটে ডিএসইর সূচক আগের দিনের চেয়ে ২৯ পয়েন্টের মতো বাড়ে। তবে ১১ টা ১০ থেকে ২৫ মিনিট পর্যন্ত সূচক কমে যায়।
এ সময় ২৮ পয়েন্টের মতো সূচক হারায় ডিএসই। পরে ১২ টা ৫ থেকে ৪০ মিনিট পর্যন্ত সূচক বাড়ে। এরপর থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত সূচক পুনরায় কমে।
এদিন লেনদেন শেষে ডিএসইর সূচক কমেছে ১৮ ও সিএসইর ৪৯ পয়েন্ট।
ডিএসইর ওয়েবসাইট সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার ডিএসইতে ২৫১টি প্রতিষ্ঠানের লেনদেন হয়। এর মধ্যে ১৫৬টির দাম কমেছে, ৮০টির বেড়েছে এবং অপরিবর্তিত রয়েছে বাকি ১৫টি প্রতিষ্ঠানের দাম।
একই সঙ্গে ডিএসইর সাধারণ সূচক ১৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় ৬ হাজার ৭৭ পয়েন্টে। আগের দিন ডিএসইতে সূচক বেড়েছিল ২৯ পয়েন্ট।
এদিন মোট লেনদেন হয়েছে ২৪১ কোটি টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। আগের দিন বুধবার লেনদেন হয়েছে ৩০৮ কোটি টাকা।
লেনদেনের ভিত্তিতে ডিএসইর শীর্ষ ২০ প্রতিষ্ঠানের উল্লেখযোগ্য কোম্পানিগুলো হলো- লাফার্জ সুরমা, ইউসিবিএল, তিতাস গ্যাস, বেক্সিমকো, এনবিএল, স্কয়ার ফার্মা, যমুনা অয়েল, গ্রামীণফোন, ওয়ান ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, ফুওয়াং ফুড, সিএমসি কামাল ইত্যাদি।
অন্যদিকে, সিএসইতে ১৭৭টি কোম্পানির লেনদেন হয়। এর মধ্যে ৩৭টির দাম বেড়েছে, ১২৭টির কমেছে এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৩টির দাম।
পাশাপাশি সিএসইর সাধারণ সূচক ৪৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় ১১ হাজার ০৯ পয়েন্টে।
মোট লেনদেন হয়েছে ৩৬ কোটি ২৫ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট।