এ বিষয়ে বালাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান শেখ কবির হোসেন বলেন, ‘সরকারের সিদ্ধান্তেই লাইফ ফান্ডের অর্থ বিনিয়োগ করা হয়। আমরা বিষয়টি অর্থ মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছি। আশা করছি, সরকার এ অলস অর্থ বিনিয়োগে কার্যকর পদক্ষেপ নেবে। এর ফলে জীবন বীমা কোম্পানিগুলোর রিটার্নও অনেক বাড়বে।’
জানা যায়, বেসরকারি খাতে ১৭টি জীবন বীমা এবং ৪৩টি সাধারণ বীমা কোম্পানি রয়েছে। এ খাতে এখন পর্যন্ত বিনিয়োগ হয়েছে ১০ হাজার কোটি টাকা। ২০১০ সালে জীবন বীমা কোম্পানিগুলো ৬ হাজার কোটি টাকা এবং সাধারণ বীমা কোম্পানিগুলো ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা প্রিমিয়াম আয় করেছে।
লাইফ ফান্ডের তহবিল শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করা যায় কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান শেফাক আহমেদ বলেন, ‘করা যায়, তবে লাগামহীনভাবে অবশ্যই নয়। শেয়ারবাজারে জীবন বীমা কোম্পানিগুলোর বিনিয়োগ সীমা ৩০ শতাংশ নির্ধারণ করে দেয়া আছে। সীমা অতিক্রম করে ঝুঁকিপূর্ণ বাজারে বিনিয়োগ করার বিধান নেই। কেননা এর ফলে গ্রাহকদের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’ তিনি বলেন, তেল-গ্যাস ও আবাসন খাতের মতো উত্পাদনশীল অনেক খাত রয়েছে। এসব খাতে এ অর্থ বিনিয়োগ করা যেতে পরে।