বিনিয়োগ স্বাধীনতা না থাকায় বেসরকারি খাতের ১৭টি জীবন বীমা কোম্পানির লাইফ ফান্ডের প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকা বিভিন্ন ব্যাংকে স্থায়ী আমানত হিসেবে গচ্ছিত আছে। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর চড়া সুদের কারণে তা শিল্পায়নেও কোনো কাজে আসছে না, অলস পড়ে আছে। অথচ বিপুল পরিমাণ এ অর্থ বিভিন্ন উত্পাদনশীল খাতে বিনিয়োগ করা সম্ভব বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। বিষয়টি সম্প্রতি বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছে। বীমা আইন অনুযায়ী, জীবন বীমা কোম্পানিগুলোকে তাদের মোট তহবিলের ৫০ শতাংশ বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকে স্থায়ী আমানত হিসেবে জমা রাখতে হয়। আর মোট তহবিলের সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ অর্থ তারা শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করতে পারে। অবশিষ্ট ২০শতাংশ অর্থ সরকারি বন্ডসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করতে পারে। বীমা আইনের এসব নীতিমালার কারণেই জীবন বীমা কোম্পানিগুলোর তহবিল অলস পড়ে থাকছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বীমা কোম্পানিগুলোর বিনিয়োগ নীতিমালার এ আইনটি ইন্স্যুরেন্স অ্যাক্ট ১৯৩৮ অনুযায়ী পরিচালিত হচ্ছে। পুরনো এ আইনের কারণেই বীমা কোম্পানিগুলোর তহবিলের বহুমুখী বিনিয়োগ সম্ভব হচ্ছে না। অন্যদিকে বীমা কোম্পানিগুলোর জন্য নতুন আইনে (বীমা আইন, ২০১০) এখনো বিনিয়োগ নীতিমালা তৈরি হয়নি। এ অবস্থায় আইনের ফাঁদে পড়ে যথেষ্ট চাহিদা থাকা সত্ত্বেও বিপুল পরিমাণ অর্থ উত্পাদনশীল খাতে বিনিয়োগ করতে পারছে না সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো।