পুঁজিবাজারের অস্থিতিশীলতার কারণে তালিকাভুক্ত কোম্পানির পরিচালকেরা শেয়ার কিনে মার্কেটে সাপোর্ট দেওয়ার কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজ (বিএপিএলসি) সভাপতি সালমান এফ রহমান।
তিনি বলেন, শেয়ার কেনার ক্ষেত্রে আইনের কিছু বাধা নিষেধ আছে। এসইসিকে ওই আইনে কিছুটা পরিবর্তন আনতে হবে। এরইমধ্যে এসইসিকে আইন পরিবর্তন আনার জন্য বলা হয়েছে।
আগামী সপ্তাহের মধ্যে এর সমাধান হলে পরিচালকরা তাদের নিজের শেয়ার কিনে মার্কেটে সাপোর্ট দিতে পারবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে মার্চেন্ট ব্যাংক অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় ডিএসই সভাপতি শাকিল রিজভী, সহ-সভাপতি আহসানুল ইসলাম, বাংলাদেশ লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্স কোম্পানিজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আসাদ খানসহ ডিএসই উপস্থিত ছিলেন।
সালমান এফ রহমান বলেন, বর্তমানে মার্চেন্ট ব্যাংকাররা শেয়ারহোল্ডারদের যে ঋণ দিয়েছে তার জন্য একটি সমাধানে আসা দরকার। কারণ অনেক গ্রাহকই এক লাখ বা দুই লাখ টাকা ঋণ নিয়েছেন (১:১)।
বর্তমান বাজার অনুযায়ী দেখা গেছে তাদের পুঁজি ২০ শতাংশ থেকে ১০০ শতাংশ কমে গেছে। সেক্ষেত্রেও আমরা বেশ কিছু পরিকল্পনা করছি।
এ ক্ষেত্রে আগামী রোববার অথবা সোমবার মার্জিন ঋণের বিষয়ে আলোচনা করা হবে।
প্রয়োজনে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করা হবে।
এসময় সালমান এফ রহমান আরও বলেন, মার্জিন ঋণ নিয়ে ও দিয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের পাশাপাশি মার্চেন্ট ব্যাংগুলোও ক্ষতির মধ্যে রয়েছে। এ সমস্যা থেকে কিভাবে উত্তরণ সম্ভব তা নিয়ে বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়টির সমাধান বের করতে কৌশল খোঁজা হচ্ছে। এখই কোন সমাধানের কথা বলা সম্ভব না। তবে আগামী রোববার ও সোমবার আবারও বৈঠক করা হবে।
আশা করা যাচ্ছে এর মাধ্যমে একটি ইতিবাচক কৌশল বের করা সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, ভিন্ন ভিন্ন বিনিয়োগকারী ভিন্ন ভিন্ন হারে মার্জিন ঋণ নিয়েছে। এর ফলে সবাই সমানহারে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।
এছাড়া মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রেও একইভাবে সমানহারে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। কিভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা দেওয়া যায় তা নির্ধারণে একটি কৌশল খোঁজা হচ্ছে। যাতে করে সবার কাছে সমাধানটি গ্রহণযোগ্য হয়।
তিনি বলেন, যতদ্রুত সম্ভব সমস্যার সমাধান বের করতে হবে। এর জন্য সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠক করা হবে। সবার মতামতের ওপর ভিত্তি করেই সমাধান বেড় করা হবে।
তবে মার্জিন ঋণের বিষয়ে কি ধরনের সিদ্ধান্ত হতে পারে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সালমান বলেন, এখই তা বলা যাচ্ছে না। কারণ বিষয়টি একেকজন একেকভাবে নিবে। যা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণে বাঁধা সৃষ্টি করতে পারে।
তাই সবার সঙ্গে আলোচনার পরেই তা জানানো হবে।
উল্লেখ্য, পুঁজিবাজারে বিদ্যমান ধসের কারণে মার্জিন ঋণ নিয়ে অনেক বিনিয়োগকারী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। পাশাপাশি অনেক মার্চেন্ট ব্যাংক ঋণ দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে বাজারে দিন দিন বিনিয়োগকারীদের ক্রয়ের ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। একইসঙ্গে দরপতনের পেছনে অনুঘটক হিসেবে কাজ করছে এ বিষয়টি। এজন্যই এ পদক্ষেপ নেওয়া হেচ্ছে বলে জানা গেছে।