শেয়ারবাজারে অব্যাহত দরপতনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার দুই স্টক এক্সচেঞ্জ ও সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি)। বৈঠকে তারল্য সংকট কাটাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সহায়তা চাইবে তারা। এ সময় এসইসি, ডিএসই, সিএসই ও সিডিবিএলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে বেশ কয়েকটি প্রস্তাব তুলে ধরা হয় এসইসির কাছে। এগুলো হচ্ছে— মার্চেন্ট ব্যাংক ও সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠানের ঋণ সমন্বয়ের সময়সীমা বাড়ানো। বিষয়টি নিয়ে এসইসি কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করবে।
এ ছাড়া লেনদেনের সময়সীমা কমানোর প্রস্তাব করা হয়। ‘এ’ শ্রেণীর শেয়ারের জন্য ম্যাচিউরিটির সময় চার দিনের পরিবর্তে দুই দিনে নামিয়ে আনার কথা উল্লেখ করা হয়। বর্তমানে শেয়ার কেনার তিন দিন পর তা ক্রেতার বিও অ্যাকাউন্টে আসে। চতুর্থ কার্যদিবসে তা বিক্রি করা যায়। অন্যদিকে ‘জেড’ শ্রেণীর শেয়ার কিনলে তা ম্যাচিউর্ড হতে ১০ দিন লেগে যায়। এটি অনেক পুরাতন পদ্ধতি। এ সময়সীমা আরও কমিয়ে আনতে হবে। প্রয়োজনে এক দিনেই ক্রেতার হিসাবে বুঝিয়ে দিতে হবে। এতে লেনদেনে মন্দাভাব কাটবে ও গতিশীলতা বাড়বে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা ।