বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী ‘সিঙ্গেল পার্টি এক্সপোজার লিমিট’-এর আওতায় কোনো ব্যাংক তার পরিশোধিত মূলধনের ১৫ শতাংশের বেশি একক কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দিতে পারে না। কিন্তু মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো মূল ব্যাংকের সঙ্গে থাকার সময় যে বিনিয়োগ করেছিল, মূল ব্যাংক থেকে সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান হওয়ার পর তা ঋণ হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে। নিয়মানুযায়ী আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে এ ঋণ সমন্বয় করে পরিশোধিত মূলধনের ১৫ শতাংশের মধ্যে নামিয়ে আনতে হবে। ফলে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো বাধ্য হয়ে তাদের বিনিয়োগ তুলে নিচ্ছে। আর এ কারণে শেয়ারবাজারেও প্রভাব পড়ছে। তারা ২০১৪ সাল পর্যন্ত এ ঋণ সমন্বয়ের সময়সীমা বাড়ানোর দাবি জানাবে আজ।
গতকাল বৈঠক শেষে বিএমবিএর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এমএ হাফিজ বলেন, মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো সাবসিডিয়ারি কোম্পানি করায় তাদের ফান্ড কমে গেছে। তাদের ঋণ সক্ষমতাও অনেক কমে গেছে। এ অবস্থায় মূল প্রতিষ্ঠান থেকেও ঋণ নিতে পারছে না তারা। ফলে বাজারের বর্তমান মন্দা পরিস্থিতিতে বিনিয়োগ করবার সামর্থ্য নেই অনেক মার্চেন্ট ব্যাংকের।
কোন প্রক্রিয়ায় তহবিল বাড়ানো হবে এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনা করা হবে। তবে এ ক্ষেত্রে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো পরিশোধিত মূলধন বাড়িয়ে আরও বেশি শেয়ার ইস্যু করতে পারে।
এদিকে বাজারের বর্তমান মন্দা পরিস্থিতির জন্য মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোকে দায়ী করছেন বিনিয়োগকারীরা। বাজারের বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের পুনঃ বিনিয়োগ জরুরি বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। এ বিষয়ে এমএ হাফিজ বলেন, বাজারে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। শেয়ারবাজারের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য বিনিয়োগকারীদের আস্থার সংকটকে দায়ী করছেন তিনি। তার মতে, শেয়ারবাজারে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে একমাত্র সরকারই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।