পুঁজিবাজারে অব্যাহত দরপতনের কারণে মঙ্গলবার লেনদেন বয়কটের ঘোষণা দিয়েছে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা। ডিএসইর সামনে অবস্থান ধর্মঘটের কর্মসূচিও দিয়েছে তারা। আজ সোমবার বিক্ষোভের পর ডিএসইর সামনে এক সমাবেশে এ কর্মসূচি ঘোষণা করে পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ। দরপতনের পর বিক্ষোভ হয়েছে চট্টগ্রামেও। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বুধবার সূচক প্রায় ১০০ পয়েন্ট কমে যাওয়ায় বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভে মতিঝিলে ডিএসইর সামনে সড়কে গাড়ি চলাচল প্রায় তিন ঘণ্টা বন্ধ থাকে। আজ সকাল থেকে ডিএসইতে সূচক কমতে থাকে। দুপুর ১টার দিকে সূচক প্রায় একশ পয়েন্ট কমে ৫ হাজারের কোঠায় নেমে যাওয়ার পর বিক্ষোভ শুরু হয় মতিঝিলে। গত ২৮ জুনের পর এই প্রথম সূচক ৬ হাজার পয়েন্টের নিচে নামলো।
\'পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ\' ব্যানারে হাজার খানেক বিক্ষোভকারী রাস্তায় অবস্থান নিলে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এরপর টানা তিন ঘণ্টা রাস্তায় মিছিল-সমাবেশ করে তারা। বিনিয়োগকারীরা অর্থমন্ত্রী ও গভর্নরের পদত্যাগ চেয়ে স্লোগান দেয়। অর্থমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবিতে ঝাড়– মিছিলও করে তারা।
দিনের লেনদেন শেষ হওয়ার পর বেলা ৩টার দিকে ডিএসইর সামনে সমাবেশ করে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা। সমাবেশে \'পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ\'র সহসভাপতি কাজী মোহাম্মদ নজরুল মঙ্গলবার লেনদেনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দেন। একইসঙ্গে লেনদেন না করতে ব্রোকারেস হাউসগুলোর প্রতিও আহ্বান জানান তিনি।
নজরুল বলেন, "কাল সকালে আমরা ডিএসই ভবনের সামনে অবস্থান নেবো। প্রয়োজনে ডিএসইর কাউকে ঢুকতে দেওয়া হবে না।"
\'পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ\'র সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক বাজার স্থিতিশীল করতে প্রধানমন্ত্রী হস্তক্ষেপ চেয়ে বক্তব্য রাখেন। পুঁজিবাজার সামাল দিতে অর্থমন্ত্রী ও গভর্নর ব্যর্থ দাবি করে তাদের অপসারণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি। বিকাল ৪টার দিকে তাদের সমাবেশ শেষ হলে সড়কে গাড়ি চলাচল পুনরায় শুরু হয়।