(১৭২১) ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখে যাঁরা আশায় বুক

Monday, September 05, 2011 Unknown


শেয়ারবাজার   ::::  ঈদের ছুটি শেষে রবিবার সকালের শেয়ারবাজারের

ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখে যাঁরা আশায় বুক বেঁধেছিলেন, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের সে আশা অনেকটাই ফিকে হয়ে আসে। কেননা দিনের শুরুতে ঢাকা স্টক এঙ্চেঞ্জের (ডিএসই) সাধারণ সূচক যেভাবে বেড়েছিল, দিন শেষে তা বেশ খানিকটা কমে যায়। গতকাল দিনশেষে ডিএসইতে সূচক কমে যায় ১৮.৯২ পয়েন্ট। মোট ২৫৪ কম্পানির মধ্যে দাম কমেছে ১৮৪টির, বেড়েছে ৫৬টির, অপরিবর্তিত থেকেছে ১৪টির শেয়ার। আর লেনদেন কমে গেছে ২৩৯ কোটি টাকা। ঈদের ছুটি শেষে অনেকেই এখনো শেয়ারবাজারে যাননি। ঠিকমতো লেনদেনে মনোযোগীও হয়ে উঠেননি। এ ছাড়া ঈদের দুদিন আগে যাঁরা শেয়ার কিনেছেন, তাঁদের শেয়ারও ম্যাচিউরড হয়নি। এসব কারণে কেনাবেচা কমে গেছে গতকাল। তাই লেনদেনের পরিমাণ কমে গেছে ঈদের ছুটির আগের দিনের কার্যদিবসের তুলনায়। বাজার পরিস্থিতি সম্পর্কে চট্টগ্রাম স্টক এঙ্চেঞ্জের সভাপতি ফখর উদ্দিন আলী আহমেদ কালের কণ্ঠকে বলেন, বিনিয়োগকারীদের মধ্যে দুর্বল মৌলভিত্তির শেয়ার ছেড়ে ভালো মৌলভিত্তির শেয়ার কেনার প্রবণতা দেখা গেছে। সে কারণে সূচক কমলেও হতাশ হওয়ার কিছু নেই। বাজারে সব শেয়ারের মূল্যবৃদ্ধি যেমন ভালো লক্ষণ নয়, তেমনি একসঙ্গে সব শেয়ারের দরপতনও ভালো লক্ষণ নয়। তাই গতকাল ঈদের ৯ দিনের ছুটি শেষে যে লেনদেন হয়েছে, তাতে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। এদিকে দরপতনের মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম স্টক এঙ্চেঞ্জে (সিএসই) ঈদ ও শবে কদরের টানা ৯ দিনের ছুটি শেষে গতকাল থেকে আবার লেনদেন শুরু হয়েছে। অনেক বিনিয়োগকারী গ্রামের বাড়ি থেকে ফিরে না আসায় লেনদেন কম হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। দরপতন দিয়ে দিনের লেনদেন শেষ হলেও শুরুটা ছিল দারুণ আশাব্যঞ্জক। প্রথম ২০ মিনিটের মধ্যেই সিএসই সাধারণ সূচক ১০০ পয়েন্ট বেড়ে যায়; কিন্তু তার পরই নিম্নগামী হয় সূচকের গতি। দিনশেষে সাধারণ সূচক ৫৫ পয়েন্ট পড়ে যায়। আর সার্বিক সূচক পড়ে ৮৭ পয়েন্ট। এদিন সিএসইতে মাত্র ৩৯ কোটি ৭৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এ সময় লেনদেন হওয়া ১৭৪টি কম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে কেবল ৩০টির। আর দরপতনের তালিকায় ছিল ১৩৯টি কম্পানির শেয়ার। এদিকে দীর্ঘ ছুটির পর লেনদেন শুরু হওয়ায় গতকাল বেশির ভাগ ব্রোকারেজ হাউসে বিনিয়োগকারীদের উপস্থিতি ছিল কম। যে কারণে ১৪ হাজার ১৮৩ হাওলায় মাত্র ৫৮ লাখ পাঁচ হাজার শেয়ার হাতবদল হয়েছে। এ প্রসঙ্গে বি-রিচ লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমাদের চকবাজার শাখায় প্রতিদিন কমপক্ষে ১০০ জন বিনিয়োগকারী উপস্থিত থাকেন। সেখানে গতকাল সর্বোচ্চ ১৫ জন উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া গতকাল লেনদেনের সময় কোনো আর্থিক ইনস্টিটিউটের গতিবিধিও নজরে পড়েনি। যে কারণে লেনদেন তুলনামূলকভাবে কম হয়েছে।'
গতকাল ডিএসইতে মোট ২৫৪টি কম্পানির তিন কোটি ৩৮ লাখ আট হাজার ৬৮৭টি শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৩০৫ কোটি ৮৫ লাখ ৩২ হাজার ১৭৬ টাকা, যা আগের দিনের তুলনায় ২৩৯ কোটি টাকা কম। ডিএসইর সাধারণ মূল্যসূচক আগের দিনের চেয়ে ১৮.৯২ পয়েন্ট কমে ৬১৯৩.০৮ পয়েন্টে স্থির হয়েছে। গতকাল ডিএসইর বাজার মূলধনের পরিমাণ ছিল : দুই লাখ ৯৪ হাজার ৯২৮ কোটি চার লাখ ৩০ হাজার ১৭৮ টাকা। লেনদেনের ভিত্তিতে ডিএসইতে গতকাল শীর্ষে থাকা ১০টি কম্পানি হলো : লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, তিতাস গ্যাস, বেঙ্মিকো লিমিটেড, স্কয়ার ফার্মা, সিটি ব্যাংক লিমিটেড, কেয়া কসমেটিকস্, এনবিএল, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ, ওয়ান ব্যাংক লিমিটেড ও এম আই সিমেন্ট।
মূল্যবৃদ্ধির শীর্ষে থাকা ১০টি কম্পানি হলো : ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টস্, আইসিবি, রহিম টেঙ্টাইল, লিব্রা ইনফিউশনস্, বেঙ্মিকো লিমিটেড, মুন্নু সিরামিকস, চিটাগাং ভেজিটেবল, মুন্নু স্টাফলার, রিলায়েন্স ইনস্যুরেন্স ও জুট স্পিনার্স। অন্যদিকে দাম কমার শীর্ষে প্রধান ১০টি কম্পানি হলো : ডিবিএইচ প্রথম মিউচ্যুয়াল ফান্ড, প্রগতি লাইফ ইনসুরেন্স, ফিনিঙ্ ফাইন্যান্স প্রথম মিউচ্যুয়াল ফান্ড, কেয়া কসমেটিকস্, মাকের্ন্টাইল ব্যাংক প্রথম মিউচ্যুয়াল ফান্ড, আইএলএফএস এল, সায়হাম টেঙ্টাইল, এইচ আর টেঙ্টাইল, মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক ও সোনারগাঁও টেঙ্টাইল।

Blog Archive