শেয়ারবাজার :::: সাধারণ বিমা কোম্পানির পরিচালকেরা তাঁদের মালিকানাধীন অন্য কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের বিমা নিজের বিমা কোম্পানিতে করতে পারবেন না।
এমন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে শিগগিরই একটি পরিপত্র জারি করা হবে বলে জানিয়েছেন বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) চেয়ারম্যান এম শেফাক আহমেদ।
গতকাল বুধবার রাজধানীর বিসিআইসি ভবনে অনুষ্ঠিত ‘সাধারণ বিমা শিল্পের সমস্যা ও সমাধান’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বিভিন্ন সাধারণ বিমা কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এবং এসব কোম্পানির ঢাকা ও ঢাকার প্রতিবেশী অঞ্চলের শাখাপ্রধানেরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
শেফাক আহমেদ বলেন, বিমা খাতে অনেক আগে থেকেই বিশৃঙ্খলা আছে। খাতটিতে এযাব ৎ অনেক নিয়ম-কানুনের লঙ্ঘন হয়েছে এবং এখনো হচ্ছে। এগুলো দূর করতে যথাযথ পদক্ষেপ নেবে আইডিআরএ।
আইডিআরএর চেয়ারম্যান বলেন, দেখা যাচ্ছে একটি সাধারণ বিমা কোম্পানির কোনো পরিচালকের অন্য ব্যবসাও রয়েছে। যেসব ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক বিমা করতে হয়, সে ক্ষেত্রে তিনি তা করছেন নিজের মালিকানাধীন বিমা কোম্পানিতে। এতে অনেক জটিলতা তৈরি হচ্ছে। অর্থা ৎ কমে যাচ্ছে গোটা শিল্পেরই প্রিমিয়াম আয়।
শেফাক আহমেদ জানান, নতুন আইন হয়েছে। সে অনুযায়ী নতুন বিধিবিধানও তৈরি হচ্ছে। ৪৩টি সাধারণ বিমা কোম্পানির বর্তমান প্রিমিয়াম আয় দেড় হাজার কোটি টাকা। নিয়ম-কানুন মেনে চললে এ আয় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকায় উন্নীত করা সম্ভব।
এরই অংশ হিসেবে বিমা কোম্পানির পরিচালকদের অন্য ব্যবসার বিমা নিজের বিমা কোম্পানিতে না করার নিষেধাজ্ঞা আরোপের চিন্তা করা হচ্ছে বলে জানান শেফাক আহমেদ।
যেসব ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক বিমা প্রতিনিধিদের কমিশন দেবেন না, সেসব ব্যাংককে বিমা করার ব্যাপারে কালো তালিকাভুক্ত করা হবে বলে জানান তিনি।
আইডিআরএর চেয়ারম্যান আরও বলেন, বিভিন্ন বিমা কোম্পানি আইন লঙ্ঘনের কারণে বর্তমানে জরিমানা গুনছে। নতুন আইনে জরিমানার অঙ্ক অনেক বাড়বে। কাজেই কোম্পানিকে এমনভাবে ব্যবসা পরিচালনা করতে হবে, সর্বোচ্চ জরিমানা আরোপে যেন আইডিআরএ বাধ্য না হয়।
আলোচনায় অংশ নিয়ে গ্রিনডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের এমডি নাসির এ চৌধুরী বলেন, বিমা শিল্পের উন্নয়নে আইডিআরএ ও বিমা কোম্পানিগুলোকে পরস্পরের প্রতি সহযোগিতামূলক হতে হবে।
পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্সের এমডি সিরাজুল ইসলাম বলেন, আইডিআরএ বিমা শিল্পের উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ করবে। কিন্তু বাস্তবে উন্নয়নের চেয়ে নিয়ন্ত্রণ করছে বেশি।
মেঘনা ইন্স্যুরেন্সের এমডি নুরুল হক বলেন, বিমা শিল্পের রাতারাতি কোনো উন্নতি হবে না। আইডিআরএর সঙ্গে ঘন ঘন মতবিনিময় হলে এ শিল্পের জন্য ভালো হবে বলে মনে করেন তিনি।
==============================================
(১৭০১) Include all in anti-poverty efforts: Kumaratunga
Former Sri Lankan president Chandrika Bandaranaike Kumaratunga yesterday stressed the need for South Asian nations to promote inclusiveness and equitable distribution of wealth to address poverty and make democracy sustainable.Kumaratunga urged regional leaders to ensure full participation of all in development efforts, as governments, often seen in South Asia, tend to slip into dictatorships.
“We will not probably emerge from poverty without inclusiveness and equitable distribution of wealth,” Kumaratunga said at a discussion on “Democracy and development: Alleviating poverty in South Asia” at BRAC Centre Inn in Dhaka.
Prof Rehman Sobhan, chairman of Centre for Policy Dialogue (CPD), presided over the programme organised by the private think-tank.
Kumaratunga, the first woman president of Sri Lanka, presented a lecture on the topic before taking questions from local politicians, lawmakers and civil-society representatives.
She identified economic and social inequality, cultural inequality, political inequality and nature of the state as factors in conflict and economic regression in the region.
“Poverty, inequality and exclusivity are directly linked and this may lead to conflict,” said Kumaratunga who retired from politics in 2005 after serving two terms as Sri Lanka's president.
She also linked good governance to durable development.
Kumaratunga said democracy and inclusiveness, which mean full participation of all including local government, are essential for development and prosperity.
“Village community worked extremely effective for centuries in South Asia, now political elites in different countries don't allow it to function,” she said. “We've the basis, but we've to work.”
Kumaratunga also said the intermingling of religion poses a threat to democracy in the region. She cited the example of Pakistan where religion played a key role in state formulation.
The former president of Sri Lanka admits that people are losing faith in democratic institutions, particularly in Sri Lanka. For example, she said Sri Lanka has seen a drastic decline in votes -- from 70-80 percent in the 1970s and 80s to 55 percent in 2010.
Speaking as a special guest, Gowher Rizvi, foreign affairs adviser to Prime Minister Sheikh Hasina, said people lose trust in democracy for the government's failure to deliver.
“Democracy's ability to distribute has been curbed and inequality widened,” Rizvi said.
Rehman Sobhan of CPD said development programmes have become more exclusive and inequality has gone up in the region. He said members of parliament do not want an active local government in Bangladesh.
Former foreign minister Anisul Islam Mahmud said he sees a lack of trust in democratic institutions across South Asia. Prof Mustafizur Rahman, executive director of CPD, delivered a welcome address.