শেয়ারবাজার :::: পর্যায়ক্রমে শস্যবীমা চালু করবে সব সাধারণ বীমা কোম্পানি। কৃষিবীমার ক্ষেত্রেও এমনই পরিকল্পনা সরকারের। নতুন পলিসি (বীমাপত্র) আনতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোম্পানিগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসবে। বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের সদস্য নবগোপাল বণিক এ তথ্য জানান।
বেসরকারি বীমা প্রতিষ্ঠানগুলোতে নতুন পলিসি আনতে নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের ভূমিকা কী, এমন প্রশ্নের উত্তরে নবগোপাল বণিক বলেন, সবেমাত্র গঠিত হয়েছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ। কিভাবে ‘ইন্টারন্যাশনাল প্র্যাকটিজ’ করা যায়, সে বিষয়ে আমরা শিগগির কোম্পানিগুলোর সাথে বসব।
সাধারণ বীমা ছাড়াও দেশে ৪৪টি বেসরকারি বীমা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমেও শস্যবীমার কার্যক্রম শুরু হতে পারে। এ ছাড়াও বর্তমান
পরিস্থিতি অনুযায়ী, জলবায়ুবীমা, কৃষিবীমা এবং স্বাস্থ্যবীমা চালু করা যেতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। জানা গেছে থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম ও ভারতের কিছু এলাকায় এ ধরনের বীমা চালু রয়েছে। এদিকে এবারের বাজেটে কৃষি বীমা চালুর ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এ বীমা প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, গতবারও এ ধরনের
ঘোষণা দেয়া হয়েছিল। কবে নাগাদ এটা চালু হয় এটাই এখন দেখার বিষয়।
দীর্ঘ দিন ধরে নতুন কোনো পলিসি (বীমাপত্র) আনতে পারছে না সাধারণ বীমা খাতের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো। এ বিষয়ে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ এবং বিভিন্ন বেসরকারি বীমা প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে আলাপ করলে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য দেন তারা।
নতুন পলিসি না আনার ব্যাপারে সরকারি সহযোগিতার অভাবকে দায়ী করছেন বিভিন্ন বীমা প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এ বিষয়ে বীমা উন্নয়ন
ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের সদস্য নবগোপাল বণিক বলেন, এখানে সরকারি বাধ্যবাধকতার কোনো বিষয় নেই। ইচ্ছা করলেই বীমা প্রতিষ্ঠানগুলো নতুন পলিসি আনতে পারে। তবে অধিক মুনাফার আসায় গতানুগতিক কিছু পলিসির দিকে ঝুঁকেছে বীমা প্রতিষ্ঠানগুলো।
প্রতিষ্ঠানগুলোর বার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, প্রিমিয়াম আয়ের একটি মোটা অংকই আসছে নৌ-বীমা, অগ্নিবীমা এবং মোটরবীমা থেকে। এ তিনটি পলিসি ছাড়াও, বিবিধ বীমার আওতায় রয়েছে ১৭টি পলিসি। তবে এই ১৭টি আয় হয় তা অন্য পলিসিগুলোর তুলনায় অনেক কম।
প্রাইম ইন্স্যুরেন্স ২০১০ সালে প্রিমিয়াম আয় করেছে ২০ কোটি ১ লাখ টাকা। এর মধ্যে নৌ-বীমা থেকে ৯ কোটি ৩৬ লাখ ৮০ হাজার, অগ্নিবীমা থেকে ৫ কোটি ৪৮ লাখ ৯০ হাজার টাকা, মোটরবীমা থেকে ২ কোটি ৪৭ লাখ ৯০ হাজার এবং বিবিধ বীমা (১৭টি পলিসি) থেকে প্রিমিয়াম আয় করে প্রতিষ্ঠান ২ কোটি ৬৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
একই বছর এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের মোট প্রিমিয়াম আয় হয়েছে ২৯ কোটি ৩৪ লাখ ১১ হাজার ৪৫১ টাকা। এর মধ্যে অগ্নিবীমা থেকেই এসেছে ১৫ কোটি ৯ লাখ ৮৫ হাজার ১৪০ টাকা। মোটরবীমা থেকে এসেছে ২ কোটি ২৭ লাখ ৯০ হাজার ৪৮ টাকা, নৌ-বীমা থেকে ৯ কোটি ৯ কোটি ৬৪ লাখ ৮৪ হাজার ৫৯৪ টাকা এবং অন্যান্য বীমা থেকে এসেছে ২ কোটি ৩১ লাখ ৫১ হাজার ৬৬৯ টাকা।
২০১০ সালে পিপলস ইন্স্যুরেন্সের মোট প্রিমিয়াম আয় হয়েছে ৯ কোটি ২৫ লাখ ৫৮ হাজার ৪০০ টাকা। এর মধ্যে অগ্নিবীমা থেকে এসেছে ২ কোটি ৫৪ লাখ ১ হাজার ৯০০ টাকা। মোটরবীমা থেকে এসেছে ২ কোটি ৩৭ লাখ ৩৭ হাজার ৮০০ টাকা। নৌ-বীমা থেকে এসেছে ৪ কোটি ৮ লাখ ৫৫ হাজার টাকা এবং বিবিধ বীমা থেকে এসেছে ২ কোটি ৫৬ লাখ ৩ হাজার ৭০০ টাকা। এ বিষয়ে এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের কোম্পানি সচিব আতিক উল্লা মজুমদার বলেন, বিবিধ খাতে ১৮টি বীমা পলিসি রয়েছে। কোনো জিনিস হারিয়ে গেলে তার বীমা, দুর্ঘটনা পলিসি, ডিপোজিট পলিসি, ক্যাশ অন কাউন্টার, ক্যাশ ইন প্রিমিসেস, ক্যাশ ইন সেফ, ক্যাস ইন ট্রানজিট, বন্ড ইন্স্যুরেন্স ইত্যাদি। দেশে বীমা করার বাধ্যবাধকতা না থাকায় এসব পলিসির ওপর গ্রাহকদের কোনো আগ্রহ নেই। আর অগ্নিবীমা, নৌ-বীমা বা মোটরবীমার ক্ষেত্রে ব্যাংক লোন সংযুক্ত থাকায় গ্রাহকরা এ পলিসিগুলো নিতে বাধ্য হয়। প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকে নতুন পলিসি তৈরির উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না কেন, এর জবাবে তিনি বলেন, বিশ্ব বীমা ব্যবসার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হলে নতুন পলিসি আনার কোনো বিকল্প নেই। এ জন্য দক্ষ বীমা বিশেষজ্ঞ প্রয়োজন। ব্যাংক ও বীমা দুটি পাশাপশি সেক্টর হওয়া সত্ত্বেও এ দিকটিতে সরকারের কোনো নজর নেই। বীমা খাতে দক্ষ লোকবল ও বিশেষজ্ঞ তৈরিতে সরকারকেই পদক্ষেপ নিতে হবে।
এ বিষয়ে কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, আমরা এক বছর ধরে গবাদিপশু বীমা চালুর চেষ্টা করছি। সরকারের সহযোগিতার অভাবে এখনো পর্যন্ত কোনো অগ্রগতি নেই।
বেসরকারি বীমা প্রতিষ্ঠানগুলোতে নতুন পলিসি আনতে নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের ভূমিকা কী, এমন প্রশ্নের উত্তরে নবগোপাল বণিক বলেন, সবেমাত্র গঠিত হয়েছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ। কিভাবে ‘ইন্টারন্যাশনাল প্র্যাকটিজ’ করা যায়, সে বিষয়ে আমরা শিগগির কোম্পানিগুলোর সাথে বসব।
সাধারণ বীমা ছাড়াও দেশে ৪৪টি বেসরকারি বীমা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমেও শস্যবীমার কার্যক্রম শুরু হতে পারে। এ ছাড়াও বর্তমান
পরিস্থিতি অনুযায়ী, জলবায়ুবীমা, কৃষিবীমা এবং স্বাস্থ্যবীমা চালু করা যেতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। জানা গেছে থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম ও ভারতের কিছু এলাকায় এ ধরনের বীমা চালু রয়েছে। এদিকে এবারের বাজেটে কৃষি বীমা চালুর ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এ বীমা প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, গতবারও এ ধরনের
ঘোষণা দেয়া হয়েছিল। কবে নাগাদ এটা চালু হয় এটাই এখন দেখার বিষয়।
দীর্ঘ দিন ধরে নতুন কোনো পলিসি (বীমাপত্র) আনতে পারছে না সাধারণ বীমা খাতের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো। এ বিষয়ে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ এবং বিভিন্ন বেসরকারি বীমা প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে আলাপ করলে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য দেন তারা।
নতুন পলিসি না আনার ব্যাপারে সরকারি সহযোগিতার অভাবকে দায়ী করছেন বিভিন্ন বীমা প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এ বিষয়ে বীমা উন্নয়ন
ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের সদস্য নবগোপাল বণিক বলেন, এখানে সরকারি বাধ্যবাধকতার কোনো বিষয় নেই। ইচ্ছা করলেই বীমা প্রতিষ্ঠানগুলো নতুন পলিসি আনতে পারে। তবে অধিক মুনাফার আসায় গতানুগতিক কিছু পলিসির দিকে ঝুঁকেছে বীমা প্রতিষ্ঠানগুলো।
প্রতিষ্ঠানগুলোর বার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, প্রিমিয়াম আয়ের একটি মোটা অংকই আসছে নৌ-বীমা, অগ্নিবীমা এবং মোটরবীমা থেকে। এ তিনটি পলিসি ছাড়াও, বিবিধ বীমার আওতায় রয়েছে ১৭টি পলিসি। তবে এই ১৭টি আয় হয় তা অন্য পলিসিগুলোর তুলনায় অনেক কম।
প্রাইম ইন্স্যুরেন্স ২০১০ সালে প্রিমিয়াম আয় করেছে ২০ কোটি ১ লাখ টাকা। এর মধ্যে নৌ-বীমা থেকে ৯ কোটি ৩৬ লাখ ৮০ হাজার, অগ্নিবীমা থেকে ৫ কোটি ৪৮ লাখ ৯০ হাজার টাকা, মোটরবীমা থেকে ২ কোটি ৪৭ লাখ ৯০ হাজার এবং বিবিধ বীমা (১৭টি পলিসি) থেকে প্রিমিয়াম আয় করে প্রতিষ্ঠান ২ কোটি ৬৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
একই বছর এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের মোট প্রিমিয়াম আয় হয়েছে ২৯ কোটি ৩৪ লাখ ১১ হাজার ৪৫১ টাকা। এর মধ্যে অগ্নিবীমা থেকেই এসেছে ১৫ কোটি ৯ লাখ ৮৫ হাজার ১৪০ টাকা। মোটরবীমা থেকে এসেছে ২ কোটি ২৭ লাখ ৯০ হাজার ৪৮ টাকা, নৌ-বীমা থেকে ৯ কোটি ৯ কোটি ৬৪ লাখ ৮৪ হাজার ৫৯৪ টাকা এবং অন্যান্য বীমা থেকে এসেছে ২ কোটি ৩১ লাখ ৫১ হাজার ৬৬৯ টাকা।
২০১০ সালে পিপলস ইন্স্যুরেন্সের মোট প্রিমিয়াম আয় হয়েছে ৯ কোটি ২৫ লাখ ৫৮ হাজার ৪০০ টাকা। এর মধ্যে অগ্নিবীমা থেকে এসেছে ২ কোটি ৫৪ লাখ ১ হাজার ৯০০ টাকা। মোটরবীমা থেকে এসেছে ২ কোটি ৩৭ লাখ ৩৭ হাজার ৮০০ টাকা। নৌ-বীমা থেকে এসেছে ৪ কোটি ৮ লাখ ৫৫ হাজার টাকা এবং বিবিধ বীমা থেকে এসেছে ২ কোটি ৫৬ লাখ ৩ হাজার ৭০০ টাকা। এ বিষয়ে এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের কোম্পানি সচিব আতিক উল্লা মজুমদার বলেন, বিবিধ খাতে ১৮টি বীমা পলিসি রয়েছে। কোনো জিনিস হারিয়ে গেলে তার বীমা, দুর্ঘটনা পলিসি, ডিপোজিট পলিসি, ক্যাশ অন কাউন্টার, ক্যাশ ইন প্রিমিসেস, ক্যাশ ইন সেফ, ক্যাস ইন ট্রানজিট, বন্ড ইন্স্যুরেন্স ইত্যাদি। দেশে বীমা করার বাধ্যবাধকতা না থাকায় এসব পলিসির ওপর গ্রাহকদের কোনো আগ্রহ নেই। আর অগ্নিবীমা, নৌ-বীমা বা মোটরবীমার ক্ষেত্রে ব্যাংক লোন সংযুক্ত থাকায় গ্রাহকরা এ পলিসিগুলো নিতে বাধ্য হয়। প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকে নতুন পলিসি তৈরির উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না কেন, এর জবাবে তিনি বলেন, বিশ্ব বীমা ব্যবসার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হলে নতুন পলিসি আনার কোনো বিকল্প নেই। এ জন্য দক্ষ বীমা বিশেষজ্ঞ প্রয়োজন। ব্যাংক ও বীমা দুটি পাশাপশি সেক্টর হওয়া সত্ত্বেও এ দিকটিতে সরকারের কোনো নজর নেই। বীমা খাতে দক্ষ লোকবল ও বিশেষজ্ঞ তৈরিতে সরকারকেই পদক্ষেপ নিতে হবে।
এ বিষয়ে কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, আমরা এক বছর ধরে গবাদিপশু বীমা চালুর চেষ্টা করছি। সরকারের সহযোগিতার অভাবে এখনো পর্যন্ত কোনো অগ্রগতি নেই।