শেয়ারবাজার :::: পণ্য রপ্তানি আয়ে চলতি ২০১০-১১ অর্থবছর উচ্চহারে প্রবৃদ্ধি বজায় রয়েছে। অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে পণ্য রপ্তানি আয়ে ৪০ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। এতে দেখা যায়, চলতি বছরের জুলাই-এপ্রিল সময়কালে পণ্য রপ্তানি বাবদ আয় হয়েছে এক হাজার ৮২৪ কোটি ৩২ লাখ ডলার।
আর গত ২০০৯-১০ অর্থবছরের একই সময় রপ্তানির পরিমাণ ছিল প্রায় এক হাজার ২৯৫ কোটি ডলার। ফলে প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে ৪০ দশমিক ৮৮ শতাংশ।
আবার চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে পণ্য রপ্তানির কৌশলগত লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক হাজার ৪৮৭ কোটি ২২ লাখ ডলার। সে হিসেবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রকৃত রপ্তানি সাড়ে ২২ শতাংশ বেড়েছে।
শুধু তাই নয়, চলতি অর্থবছরের জন্য মোট রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছিল এক হাজার ৮৫০ কোটি ডলার। দেখা যাচ্ছে, ১০ মাসের মোট রপ্তানিই বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ছুঁয়ে ফেলেছে।
মাসওয়ারি হিসেবে গত এপ্রিল মাসে পণ্য রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২০৩ কোটি ৬১ লাখ ডলার, যা কিনা গত বছরের এপ্রিল মাসের তুলনায় সাড়ে ৪৫ শতাংশ বেশি।
বিশ্বমন্দা কেটে যাওয়ায় বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন পণ্যের চাহিদা বাড়ায় বাংলাদেশি পণ্যের রপ্তানি বেড়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে কিছু পণ্যের এককপ্রতি দাম বৃদ্ধি। এ ছাড়া মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার মান দুর্বল হওয়ায় অবদান রেখেছে।
অবশ্য রপ্তানি প্রবৃদ্ধির হার উচ্চ হওয়ার পরও পণ্য আমদানির পরিমাণ ব্যাপকভাবে বেড়ে চলায় বাণিজ্য ঘাটতিও বেড়ে যাচ্ছে। এতে করে লেনদেনের ভারসাম্যের ওপর চাপ তৈরি হয়েছে।
খাতওয়ারি চিত্র: ইপিবির পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে তৈরি পোশাক ও নিট পোশাক রপ্তানির আয় গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় যথাক্রমে সাড়ে ৩৮ ও ৪৫ দশমিক ৯০ শতাংশ বেড়েছে।
তৈরি পোশাক রপ্তানি আয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬৬৯ কোটি ৮৫ লাখ ডলার আর নিট পোশাকের রপ্তানি আয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭৪৭ কোটি ১৮ লাখ ডলার।
এদিকে গতকালই বাংলাদেশ তৈরি পোশাক শিল্প মালিক সমিতি (বিজিএমইএ) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, সম্প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়ন কর্তৃক জিএসপি স্কিমের আওতায় নতুন উৎস বিধি (রুলস অব অরিজিন) গ্রহণ করায় বাংলাদেশ থেকে ইইউভুক্ত দেশগুলোতে পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে নতুন উদ্দীপনার সঞ্চার হয়েছে।
ইপিবির পরিসংখ্যান উদ্বৃত্ত করে বিজিএমইএ বলছে, ২০১১ সালের জানুয়ারি-এপ্রিল সময়কালে জিএসপি সনদ ইস্যু আরের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২২ দশমিক ৬৪ শতাংশ বেড়েছে। একইভাবে পরিমাণ বেড়েছে ২৬ শতাংশ এবং মূল্য (ভ্যালু) বেড়েছে ১১৪ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
উল্লেখ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়নের নতুন উৎস বিধিতে ‘দ্বি-স্তরের বদলে এক-স্তর (অর্থাৎ ফেব্রিক্স থেকে পোশাক) করায় আমদানি করা ফেব্রিক্স দিয়ে প্রস্তুত করা তৈরি পোশাক জিএসপিসুবিধা পাবে। এ বছর ১ জানুয়ারি থেকে এই বিধি কার্যকর হয়েছে।
ইপিবির পরিসংখ্যান থেকে আরও দেখা যায়, রপ্তানিমুখী পণ্যের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় পণ্য হোম টেক্সটাইলের রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৯৭ দশমিক ৮২ শতাংশ। অর্থবছরের ১০ মাসে হোম টেক্সটাইল রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে ৬৩ কোটি ৬০ লাখ ডলার।
পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির হার ৪২ দশমিক ২০ শতাংশ আর মোট পরিমাণ ৯২ কোটি ৪৭ লাখ ডলার। এর মধ্যে কাঁচা পাট রপ্তানি থেকে প্রায় ২৯ কোটি ডলার, পাট সুতা থেকে ৪২ কোটি ২৫ লাখ ডলার এবং পাট থলে ও ছালা থেকে ১৭ কোটি ১৫ লাখ ডলার আয় হয়েছে।
আলোচ্য সময়কালে হিমায়িত খাদ্য রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে ৫১ কোটি ১২ লাখ ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে সাড়ে ৫৩ শতাংশ বেশি।
অন্যদিকে চামড়া রপ্তানিতে আয় হয়েছে ২৩ কোটি ৮৭ লাখ ডলার আর প্রবৃদ্ধির হার সাড়ে ৩৬ শতাংশ।
চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে পাদুকা রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে ২৪ কোটি ২৬ লাখ ডলার, যা কিনা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৪৯ শতাংশ বেশি।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। এতে দেখা যায়, চলতি বছরের জুলাই-এপ্রিল সময়কালে পণ্য রপ্তানি বাবদ আয় হয়েছে এক হাজার ৮২৪ কোটি ৩২ লাখ ডলার।
আর গত ২০০৯-১০ অর্থবছরের একই সময় রপ্তানির পরিমাণ ছিল প্রায় এক হাজার ২৯৫ কোটি ডলার। ফলে প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে ৪০ দশমিক ৮৮ শতাংশ।
আবার চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে পণ্য রপ্তানির কৌশলগত লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক হাজার ৪৮৭ কোটি ২২ লাখ ডলার। সে হিসেবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রকৃত রপ্তানি সাড়ে ২২ শতাংশ বেড়েছে।
শুধু তাই নয়, চলতি অর্থবছরের জন্য মোট রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছিল এক হাজার ৮৫০ কোটি ডলার। দেখা যাচ্ছে, ১০ মাসের মোট রপ্তানিই বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ছুঁয়ে ফেলেছে।
মাসওয়ারি হিসেবে গত এপ্রিল মাসে পণ্য রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২০৩ কোটি ৬১ লাখ ডলার, যা কিনা গত বছরের এপ্রিল মাসের তুলনায় সাড়ে ৪৫ শতাংশ বেশি।
বিশ্বমন্দা কেটে যাওয়ায় বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন পণ্যের চাহিদা বাড়ায় বাংলাদেশি পণ্যের রপ্তানি বেড়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে কিছু পণ্যের এককপ্রতি দাম বৃদ্ধি। এ ছাড়া মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার মান দুর্বল হওয়ায় অবদান রেখেছে।
অবশ্য রপ্তানি প্রবৃদ্ধির হার উচ্চ হওয়ার পরও পণ্য আমদানির পরিমাণ ব্যাপকভাবে বেড়ে চলায় বাণিজ্য ঘাটতিও বেড়ে যাচ্ছে। এতে করে লেনদেনের ভারসাম্যের ওপর চাপ তৈরি হয়েছে।
খাতওয়ারি চিত্র: ইপিবির পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে তৈরি পোশাক ও নিট পোশাক রপ্তানির আয় গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় যথাক্রমে সাড়ে ৩৮ ও ৪৫ দশমিক ৯০ শতাংশ বেড়েছে।
তৈরি পোশাক রপ্তানি আয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬৬৯ কোটি ৮৫ লাখ ডলার আর নিট পোশাকের রপ্তানি আয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭৪৭ কোটি ১৮ লাখ ডলার।
এদিকে গতকালই বাংলাদেশ তৈরি পোশাক শিল্প মালিক সমিতি (বিজিএমইএ) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, সম্প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়ন কর্তৃক জিএসপি স্কিমের আওতায় নতুন উৎস বিধি (রুলস অব অরিজিন) গ্রহণ করায় বাংলাদেশ থেকে ইইউভুক্ত দেশগুলোতে পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে নতুন উদ্দীপনার সঞ্চার হয়েছে।
ইপিবির পরিসংখ্যান উদ্বৃত্ত করে বিজিএমইএ বলছে, ২০১১ সালের জানুয়ারি-এপ্রিল সময়কালে জিএসপি সনদ ইস্যু আরের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২২ দশমিক ৬৪ শতাংশ বেড়েছে। একইভাবে পরিমাণ বেড়েছে ২৬ শতাংশ এবং মূল্য (ভ্যালু) বেড়েছে ১১৪ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
উল্লেখ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়নের নতুন উৎস বিধিতে ‘দ্বি-স্তরের বদলে এক-স্তর (অর্থাৎ ফেব্রিক্স থেকে পোশাক) করায় আমদানি করা ফেব্রিক্স দিয়ে প্রস্তুত করা তৈরি পোশাক জিএসপিসুবিধা পাবে। এ বছর ১ জানুয়ারি থেকে এই বিধি কার্যকর হয়েছে।
ইপিবির পরিসংখ্যান থেকে আরও দেখা যায়, রপ্তানিমুখী পণ্যের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় পণ্য হোম টেক্সটাইলের রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৯৭ দশমিক ৮২ শতাংশ। অর্থবছরের ১০ মাসে হোম টেক্সটাইল রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে ৬৩ কোটি ৬০ লাখ ডলার।
পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির হার ৪২ দশমিক ২০ শতাংশ আর মোট পরিমাণ ৯২ কোটি ৪৭ লাখ ডলার। এর মধ্যে কাঁচা পাট রপ্তানি থেকে প্রায় ২৯ কোটি ডলার, পাট সুতা থেকে ৪২ কোটি ২৫ লাখ ডলার এবং পাট থলে ও ছালা থেকে ১৭ কোটি ১৫ লাখ ডলার আয় হয়েছে।
আলোচ্য সময়কালে হিমায়িত খাদ্য রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে ৫১ কোটি ১২ লাখ ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে সাড়ে ৫৩ শতাংশ বেশি।
অন্যদিকে চামড়া রপ্তানিতে আয় হয়েছে ২৩ কোটি ৮৭ লাখ ডলার আর প্রবৃদ্ধির হার সাড়ে ৩৬ শতাংশ।
চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে পাদুকা রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে ২৪ কোটি ২৬ লাখ ডলার, যা কিনা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৪৯ শতাংশ বেশি।