শেয়ারবাজার :::: আগের বছরের তুলনায় মুনাফার পরিমাণ বাড়লেও পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত অধিকাংশ কোম্পানি শেয়ারহোল্ডারদের কাঙ্ৰিত হারে লভ্যাংশ দিচ্ছে না। ফলে শেয়ারবাজারে বড় বিপর্যয়ের পর কোম্পানির লভ্যাংশ থেকে লোকসান পুষিয়ে নেয়ার প্রত্যাশা করলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তা পূরণ হচ্ছে না। বরং আগের বছরের চেয়ে লভ্যাংশ কমে যাওয়ায় বাজারে শেয়ারের দরে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। শেয়ারপ্রতি আয়ের (ইপিএস) তুলনায় অনেক কম লভ্যাংশ দেয়ায় কোম্পানির উদ্বৃত্ত তহবিল শক্তিশালী হলেও বড় ধরনের লোকসানে পড়ছেন শেয়ারহোল্ডাররা। অধিকাংশ কোম্পানির ৰেত্রেই এ ধরনের প্রবণতা তৈরি হওয়ায় পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীরা দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগে নিরুৎসাহিত হবেন বলে বিশ্লেষকরা মনে করেন।
গত ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে পুঁজিবাজারে বড় ধরনের বিপর্যয়ের সময় বাজার বিশ্লেষক ও নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর কর্মকর্তারা লোকসানে শেয়ার বিক্রি না করে বিনিয়োগকারীদের ধৈর্য ধারণের আহ্বান জানিয়ে বলেছিলেন, গত বছর অধিকাংশ কোম্পানি ভাল মুনাফা অর্জন করায় এবার লভ্যাংশের পরিমাণ বাড়বে। বাজার ধসের কারণে বিনিয়োগকারীরা যে পরিমাণ ক্ষতির শিকার হয়েছেন, তা কোম্পানির লভ্যাংশ থেকে পুষিয়ে নিতে পারবেন। এ কারণে অনেক বিনিয়োগকারী ওই সময় শেয়ার বিক্রি না করে লভ্যাংশের আসায় দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগে উৎসাহিত হয়েছেন। কিন্তু ইপিএসের তুলনায় কম লভ্যাংশ ঘোষণা করায় সেসব বিনিয়োগকারী বিপুল পরিমাণ লোকসানের মুখে পড়েছেন।
বিশ্লেষণে দেখা গেছে, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত অধিকাংশ কোম্পানিই ২০১০ সালে আগের বছরের চেয়ে অধিক মুনাফা অর্জন করেছে। এরমধ্যে কোন কোন কোম্পানির মুনাফা দেড় থেকে দ্বিগুণ পর্যনত্ম বেড়েছে। অর্ধবার্ষিক ও ত্রৈমাসিক হিসাব প্রকাশ হওয়ার পর এসব কোম্পানি বছর শেষে ভাল লভ্যাংশ দেবে বলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে প্রত্যাশা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কোম্পানিগুলো বিনিয়োগকারীদের হতাশ করেছে। ইপিএসের এক-তৃতীয়াংশ বা তার চেয়েও কম লভ্যাংশ ঘোষণা করেই দায়িত্ব শেষ করেছে অধিকাংশ কোম্পানি।
পুঁজিবাজার থেকে বিপুল পরিমাণ আয় করায় গত বছর ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সামগ্রিক মুনাফার পরিমাণ আগের বছরের তুলনায় ব্যাপক মাত্রায় বেড়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি নির্দেশনার কারণে বড় আকারের এই মুনাফার সুফল পাচ্ছেন না বিনিয়োগকারীরা। পুঁজিবাজারে বিপর্যয়ের পরপরই একটি নির্দেশনা জারি করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে শেয়ারবাজার থেকে অর্জিত মুনাফা লভ্যাংশ হিসেবে বণ্টন না করার নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। অন্যদিকে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে এই অর্থ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের নির্দেশ দেয়া হলেও তা কার্যকর করার উদ্যোগ নেয়নি কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে একদিকে ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডাররা ন্যায্য লভ্যাংশ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন, অন্যদিকে বাজারে শেয়ারের দর কমে যাওয়ায় বেড়েছে লোকসানের হার।
অন্যদিকে মূল ব্যবসা থেকে অর্জিত মুনাফার ক্ষুদ্র অংশ লভ্যাংশ হিসেবে বণ্টন করেছে অধিকাংশ ব্যাংক। কয়েকটি ব্যাংকের ইপিএস ও ঘোষিত লভ্যাংশ বিশ্লেষণ করলে বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। এরমধ্যে এবি ব্যাংক লিমিটেড ২০১০ সালে শেয়ারপ্রতি আয় করেছে ১২৪ টাকা ৪২ পয়সা (১২৪.৪২%)। কিন্তু ব্যাংকটি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য মাত্র ২৫ শতাংশ হারে (১০ শতাংশ নগদ ও ১৫ শতাংশ স্টক) লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। একইভাবে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক শেয়ার প্রতি ১০০ টাকার বেশি আয় করলেও শেয়ারহোল্ডারদের দিয়েছে ৩০ টাকা। শেয়ারহোল্ডারদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করে সামাজিক কল্যাণে ব্যাংকটির ১০২ কোটি টাকা ব্যয় নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এছাড়া বস্ত্র, খাদ্য, ওষুধসহ বিভিন্ন খাতের বেশকিছু কোম্পানি শেয়ারপ্রতি আয়ের এক তৃতীয়াংশেরও কম লভ্যাংশ হিসেবে বিতরণ করেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ প্রদানের সুনির্দিষ্ট কোন নীতিমালা না থাকায় পরিচালকরা তাঁদের ইচ্ছে মতো লভ্যাংশ নির্ধারণ করেন। এমনকি বোনাস লভ্যাংশ প্রদানের মাধ্যমে পরিশোধিত মূলধন বৃদ্ধি বা অর্জিত মুনাফার একাংশকে উদ্বৃত্ত তহবিলে (রিজার্ভ ফান্ড) স্থানান্তরের ক্ষেত্রে যৌক্তিক কারণও প্রকাশ করতে হয় না। লভ্যাংশ প্রদানের জন্য কোন নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন প্রয়োজন না হওয়ায় যখন যেমন খুশি লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়।
অভিযোগ রয়েছে, শেয়ারবাজারে দর বাড়ানো বা কমানোর লৰ্য সামনে রেখে অনেক কোম্পানির পরিচালকরা তাদের সুবিধা মতো লভ্যাংশ নির্ধারণ করেন। কোন কোন বছর অস্বাভাবিক কম লভ্যাংশ ঘোষণা করে দর কমিয়ে তারা বাজার থেকে শেয়ার কিনে নেন। আবার পরের বছর আকর্ষণীয় লভ্যাংশ ঘোষণা করে উদ্যোক্তারা শেয়ার বিক্রি করে দেন। এ ধরনের প্রবণতার কারণেই গত কয়েক বছরে বেশকিছু কোম্পানির লভ্যাংশের হারে ব্যাপক ওঠা-নামা লৰ্য করা গেছে। লভ্যাংশ ঘোষণার পর উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের শেয়ার ক্রয়-বিক্রয়ের রেকর্ড পর্যালোচনা করলেই কারসাজির এই প্রবণতা স্পষ্ট হয়ে উঠবে।
গত ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে পুঁজিবাজারে বড় ধরনের বিপর্যয়ের সময় বাজার বিশ্লেষক ও নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর কর্মকর্তারা লোকসানে শেয়ার বিক্রি না করে বিনিয়োগকারীদের ধৈর্য ধারণের আহ্বান জানিয়ে বলেছিলেন, গত বছর অধিকাংশ কোম্পানি ভাল মুনাফা অর্জন করায় এবার লভ্যাংশের পরিমাণ বাড়বে। বাজার ধসের কারণে বিনিয়োগকারীরা যে পরিমাণ ক্ষতির শিকার হয়েছেন, তা কোম্পানির লভ্যাংশ থেকে পুষিয়ে নিতে পারবেন। এ কারণে অনেক বিনিয়োগকারী ওই সময় শেয়ার বিক্রি না করে লভ্যাংশের আসায় দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগে উৎসাহিত হয়েছেন। কিন্তু ইপিএসের তুলনায় কম লভ্যাংশ ঘোষণা করায় সেসব বিনিয়োগকারী বিপুল পরিমাণ লোকসানের মুখে পড়েছেন।
বিশ্লেষণে দেখা গেছে, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত অধিকাংশ কোম্পানিই ২০১০ সালে আগের বছরের চেয়ে অধিক মুনাফা অর্জন করেছে। এরমধ্যে কোন কোন কোম্পানির মুনাফা দেড় থেকে দ্বিগুণ পর্যনত্ম বেড়েছে। অর্ধবার্ষিক ও ত্রৈমাসিক হিসাব প্রকাশ হওয়ার পর এসব কোম্পানি বছর শেষে ভাল লভ্যাংশ দেবে বলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে প্রত্যাশা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কোম্পানিগুলো বিনিয়োগকারীদের হতাশ করেছে। ইপিএসের এক-তৃতীয়াংশ বা তার চেয়েও কম লভ্যাংশ ঘোষণা করেই দায়িত্ব শেষ করেছে অধিকাংশ কোম্পানি।
পুঁজিবাজার থেকে বিপুল পরিমাণ আয় করায় গত বছর ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সামগ্রিক মুনাফার পরিমাণ আগের বছরের তুলনায় ব্যাপক মাত্রায় বেড়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি নির্দেশনার কারণে বড় আকারের এই মুনাফার সুফল পাচ্ছেন না বিনিয়োগকারীরা। পুঁজিবাজারে বিপর্যয়ের পরপরই একটি নির্দেশনা জারি করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে শেয়ারবাজার থেকে অর্জিত মুনাফা লভ্যাংশ হিসেবে বণ্টন না করার নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। অন্যদিকে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে এই অর্থ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের নির্দেশ দেয়া হলেও তা কার্যকর করার উদ্যোগ নেয়নি কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে একদিকে ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডাররা ন্যায্য লভ্যাংশ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন, অন্যদিকে বাজারে শেয়ারের দর কমে যাওয়ায় বেড়েছে লোকসানের হার।
অন্যদিকে মূল ব্যবসা থেকে অর্জিত মুনাফার ক্ষুদ্র অংশ লভ্যাংশ হিসেবে বণ্টন করেছে অধিকাংশ ব্যাংক। কয়েকটি ব্যাংকের ইপিএস ও ঘোষিত লভ্যাংশ বিশ্লেষণ করলে বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। এরমধ্যে এবি ব্যাংক লিমিটেড ২০১০ সালে শেয়ারপ্রতি আয় করেছে ১২৪ টাকা ৪২ পয়সা (১২৪.৪২%)। কিন্তু ব্যাংকটি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য মাত্র ২৫ শতাংশ হারে (১০ শতাংশ নগদ ও ১৫ শতাংশ স্টক) লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। একইভাবে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক শেয়ার প্রতি ১০০ টাকার বেশি আয় করলেও শেয়ারহোল্ডারদের দিয়েছে ৩০ টাকা। শেয়ারহোল্ডারদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করে সামাজিক কল্যাণে ব্যাংকটির ১০২ কোটি টাকা ব্যয় নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এছাড়া বস্ত্র, খাদ্য, ওষুধসহ বিভিন্ন খাতের বেশকিছু কোম্পানি শেয়ারপ্রতি আয়ের এক তৃতীয়াংশেরও কম লভ্যাংশ হিসেবে বিতরণ করেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ প্রদানের সুনির্দিষ্ট কোন নীতিমালা না থাকায় পরিচালকরা তাঁদের ইচ্ছে মতো লভ্যাংশ নির্ধারণ করেন। এমনকি বোনাস লভ্যাংশ প্রদানের মাধ্যমে পরিশোধিত মূলধন বৃদ্ধি বা অর্জিত মুনাফার একাংশকে উদ্বৃত্ত তহবিলে (রিজার্ভ ফান্ড) স্থানান্তরের ক্ষেত্রে যৌক্তিক কারণও প্রকাশ করতে হয় না। লভ্যাংশ প্রদানের জন্য কোন নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন প্রয়োজন না হওয়ায় যখন যেমন খুশি লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়।
অভিযোগ রয়েছে, শেয়ারবাজারে দর বাড়ানো বা কমানোর লৰ্য সামনে রেখে অনেক কোম্পানির পরিচালকরা তাদের সুবিধা মতো লভ্যাংশ নির্ধারণ করেন। কোন কোন বছর অস্বাভাবিক কম লভ্যাংশ ঘোষণা করে দর কমিয়ে তারা বাজার থেকে শেয়ার কিনে নেন। আবার পরের বছর আকর্ষণীয় লভ্যাংশ ঘোষণা করে উদ্যোক্তারা শেয়ার বিক্রি করে দেন। এ ধরনের প্রবণতার কারণেই গত কয়েক বছরে বেশকিছু কোম্পানির লভ্যাংশের হারে ব্যাপক ওঠা-নামা লৰ্য করা গেছে। লভ্যাংশ ঘোষণার পর উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের শেয়ার ক্রয়-বিক্রয়ের রেকর্ড পর্যালোচনা করলেই কারসাজির এই প্রবণতা স্পষ্ট হয়ে উঠবে।