মূল বাজারে পুনঃতালিকাভুক্তিতে নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনাপত্তিপত্র পাওয়ার পরও ওয়াটা কেমিক্যালস লিমিটেডের আবেদনে সাড়া দিচ্ছে না স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ। এ ব্যাপারে গত ২৯ আগস্ট ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে আবেদন করে কোম্পানিটি। তবে আবেদনের দেড় মাস পার হলেও কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি এক্সচেঞ্জ দুটির পরিচালনা পর্ষদ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ওয়াটা কেমিক্যালসের মূল বাজারে পুনঃতালিকাভুক্তি নিয়ে উভয় স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ কিছুটা অস্বস্তিতে রয়েছে। কোম্পানিটির স্বল্প পরিশোধিত মূলধনই এ অস্বস্তির কারণ। সম্প্রতি স্বল্প পরিশোধিত মূলধনি কোম্পানির শেয়ারের দর অস্বাভাবিক বাড়ায় এ কোম্পানির তালিকাভুক্তিতে বিলম্ব হচ্ছে। এছাড়া ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সম্প্রতি স্বল্প মূলধনি কোম্পানি জেএমআই সিরিঞ্জের তালিকাভুক্তির পর এর শেয়ার দরে যে অস্বাভাবিকতা দেখা যায়— এ বিষয়ও বিবেচনায় নেয়া হয়েছে, যা ওয়াটা কেমিক্যালসের পুনঃতালিকাভুক্তিতে বাধা সৃষ্টি করছে। ফলে আপাতত ওয়াটা কেমিক্যালসের পুনঃতালিকাভুক্তির আবেদনের প্রস্তাব স্টক এক্সচেঞ্জের বোর্ড সভায় উত্থাপন হচ্ছে না বলে জানা গেছে। এছাড়া ডিমিউচুয়ালাইজেশন স্কিম নিয়ে ব্যস্ততার কারণেও এ কোম্পানির প্রস্তাব বোর্ড সভায় উপস্থাপন করা হয়নি। স্বল্প মূলধনি কোম্পানির লেনদেন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পরে ওয়াটা কেমিক্যালসকে তালিকাভুক্তির সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালে উৎপাদন বন্ধ, লভ্যাংশ দিতে ব্যর্থ, নিয়মিত বার্ষিক সাধারণ সভা না করায় ওয়াটা কেমিক্যালসহ মোট ৫০টি জেড ক্যাটাগরির কোম্পানিকে তালিকাচ্যুত করে ওভার দ্য কাউন্টার (ওটিসি) মার্কেটে পাঠানোর নির্দেশ দেয় বিএসইসি। পরে শেয়ারহোল্ডারদের নিয়মিত লভ্যাংশ দেয়া ও বাষিক সাধারণ সভা করায় গত ৯ আগস্ট ওয়াটা কেমিক্যালস লিমিটেডকে মূল মার্কেটে ফেরার অনাপত্তিপত্র দেয় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এজন্য স্টক এক্সচেঞ্জের লিস্টিং বিধিমালা অনুযায়ী কোম্পানিটিকে আবার তালিকাভুক্তি বিবেচনা করতে অনাপত্তি দেয় কমিশন।
২০০৯ সাল থেকেই কোম্পানিটি পুঞ্জীভূত লোকসান থেকে বেরিয়ে আসে। ২০১০ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ দিতে পেরেছে। সর্বশেষ ২০১২ সালের জন্য কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে।
- See more at: http://www.bonikbarta.com/sharemarket/2013/10/15/19353#sthash.vfy201MX.dpuf