নিজের শ্বাশুড়িকে খুশি করতে আপনি কতো কিছুই না করেন। তাছাড়া শ্বাশুড়ি আর পুত্রবধূর মধ্যে শত্রু শত্রু ভাব দূর করে সুসম্পর্ক তৈরি করতে আপনাকে ১০টি উপায় বাতলে দেয়া হলো। এগুলো যত্নের সাথে পালন করুন। আশা করি আপনি শ্বাশুড়ির রক্তরাঙা চোখে আদর আর ভালবাসা দেখতে পাবেন।
১. ঘরের কাজ করুন: হাজবেন্ডের কাছ থেকে জেনে নিন যে, আপনার শ্বাশুড়ি কী কী বিষয় পছন্দ করেন। নতুন এ পরিবারের চাল-চলন বা নিয়ম-কানুন সম্পর্কে আপনার ধারণা নাও থাকতে পারে। কাজেই এসব ব্যাপারে না জেনেই মতামত দেয়া শুরু করবেন না। নতুন মায়ের সাথে তার পছন্দ বা অপছন্দ নিয়ে আলাপ করুন।
২. উপহার দিন: আপনার বাড়িতে কেউ একটি উপহার নিয়ে এসে আপনার হাতে তুলে দিল, আপনার কি ভাল লাগবে না? তেমনি বাইরে থেকে বাড়ি ফিরে শ্বাশুড়ির হাতে একটি উপহার দিলেন। তার মনটি আনন্দে ভরে উঠবে। মাঝে-মধ্যে এ কাজটি করতে পারেন।
৩. ভাল পোশাকে থাকুন: শ্বশুরালয়ে রুচিশীল পোশাক পরে চুল আঁচড়ে একেবারে পরিপাটি হয়ে চলুন। সুন্দরভাবে যারা চলেন তাদের এমনিতেই ভাল লাগে। বেশি রঙচঙে পোশাক এবং অতিরিক্ত সাজসজ্জা না করাই ভাল।
৪. প্রতিযোগীতায় যাবেন না: শ্বাশুড়ি তার ছেলের প্রতি একটু বেশি অধিকার খাটাবেন। এ বাস্তবতা মেনে নিন। কাজেই আপনার স্বামীর জন্যে কী কী খাবার করতে হবে তার উপদেশ দিতে যাবেন না। আপনার হাতের রান্না তার বেশি পছন্দ হলেও এ কথা ভুলেও শ্বাশুড়ির কাছে প্রকাশ করবেন না। বরং সমসময় তার রান্নার প্রশংসা করুন এবং রেসিপি নিন।
৫. নম্র-ভদ্র থাকুন: আচার-আচরণে তার সাথে নম্র থাকুন। তার ভুল ধরিয়ে দিতে যাবেন না। অযথা বিতর্কে জড়ানো থেকে বিরত থাকুন।
৬. ঘন ঘন দেখা করুন: বাড়িতে থাকলে একটু পর পরই তাকে সম্বোধন করে ডাকুন। তিনি আপনাকে ডাকার আগেই যেনো তার সামনে আপনাকে দেখা যায়। আর দূরে থাকলে দিনে কয়েকবার ফোন দিয়ে খোঁজ নিলে তিনি আপনার ওপর অনেক খুশি থাকবেন।
৭. উপদেশ চান: নিজের সিদ্ধান্তে চলতে চান বা না চান, শ্বাশুড়ির কাছে উপদেশ চান। আপনার ওপর তার যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে চিন্তা করে তিনি তৃপ্ত থাকবেন।
৮. সমস্যা গোপন রাখুন: শ্বশুড়ালয়ের গৃহকর্তীর সাথে কোনো ঝামেলা থাকলেও তা সবার সামনে প্রকাশ করা ঠিক হবে না। যেকোনো পারিবারিক আলোচনা বা সমস্যা চলাকালীন শ্বাশুড়ির দোষ তুলে ধরা খুব বাজে কাজ।
৯. শ্বাশুড়ির সামনে তার ছেলের প্রশংসা করুন: নিজের ছেলের প্রশংসা শুনতে সবার ভাল লাগে। কাজেই এ পদ্ধতি প্রয়োগ করুন। তার ভাল লাগবে।
১০. সহজ স্বাভাবিক থাকুন: সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো, শ্বাশুড়ির সামনে স্নায়ুচাপে থাকবেন না। সবসময় ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে চলুন এবং ভুলে যান। এই সাধারণ নিয়মটি শ্বাশুড়ির সাথে আপনার সম্পর্ককে অনেক সহজ ও স্বাবলীল করবে। সূত্র: ইন্টারনেট