নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে জামায়াত-শিবিরের কর্মীদের সংঘর্ষে তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বিষয়টি নিশ্চিত
করেছে। আজ শনিবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলা সদর বসুরহাট বাজারে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সংঘর্ষ চলছে। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বেলা সোয়া তিনটার দিকে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা বসুরহাট মডেল উচ্চবিদ্যালয়ের পাশে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি উপজেলা সার্ভার স্টেশনের কাছে গেলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা বেশ কয়েকটি ভবনে আগুন ধরিয়ে দেন। একপর্যায়ে দুই পক্ষই গুলি ছুড়লে পুলিশের দুজন কনস্টেবলসহ বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হন। এ সময় তিনজনের মৃত্যু হয় বলে নিশ্চিত করেছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নুরুজ্জামান জানান, জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা উপজেলার পল্লী উন্নয়ন কার্যালয়, উপজেলা ভূমি অফিস, পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়, আনসার-ভিডিপি কার্যালয় ও সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন। বসুরহাট পৌরসভার জামায়াতের সেক্রেটারি মোশাররফ হোসেন অভিযোগ করেন, ওই সংঘর্ষে পুলিশের গুলিতে এখন পর্যন্ত তাঁদের পাঁচজন কর্মী নিহত হয়েছেন। ওই পাঁচজনের মধ্যে মতিউর রহমান, সাইফুল ইসলাম, রফিক ও রায়হান নামের চার কর্মী আছেন। জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) আনিসুর রহমান তিন জন নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে বার্তা সংস্থা ইউএনবিকে জানান, ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ, বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে