শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিক খাতের কোম্পানি বাংলাদেশ ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টকে (বিডিফিন্যান্স) অধিকারমূলক বা রাইট শেয়ার ইস্যুর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়। সভা শেষে বিএসইসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিএসইসি জানিয়েছে, বাংলাদেশ ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট তাদের বিদ্যমান পাঁচটি শেয়ারের বিপরীতে তিনটি অধিকারমূলক শেয়ার ইস্যু করবে। কোম্পানিটি বাজারে তিন কোটি ৯০ লাখ আট হাজার ৫১৫টি শেয়ার ছেড়ে প্রায় ৩৯ কোটি ৮৫ হাজার টাকা সংগ্রহ করবে। প্রতিটি শেয়ারের বিক্রয়মূল্য নির্ধারিত হয়েছে ১০ টাকা, অর্থাৎ কোনো অধিমূল্য বা প্রিমিয়াম ছাড়া শুধু অভিহিত মূল্যে এই অধিকারমূলক শেয়ার ইস্যু করা হবে।
বিএসইসির তথ্য অনুযায়ী, বাজার থেকে সংগৃহীত অর্থে কোম্পানিটি মূলধনের পর্যাপ্ততা নিশ্চিত করবে। এটির শেয়ারের ইস্যু ব্যবস্থাপকের দায়িত্বে রয়েছে অ্যালায়েন্স ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস।
বিএসইসির গতকালের সভায় জ্বালানি খাতের তালিকাভুক্ত নয়, এমন একটি কোম্পানিকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সেটি হলো প্রিমিয়ার এলপি গ্যাস।
বিএসইসি বলছে, কোম্পানিটি নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন ছাড়াই ২০০১ ও ২০০২ সালে দুই দফায় মূলধন বাড়িয়ে সিকিউরিটিজ আইন ভঙ্গ করেছে।
সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্সের ২এ(২)(এ) অনুযায়ী, বাংলাদেশে অভ্যন্তরে গঠিত যেকোনো কোম্পানির মূলধন বৃদ্ধি করতে হলে বিএসইসির অনুমোদন লাগে। কিন্তু প্রিমিয়ার এলপি প্রথম দফায় নয় কোটি ৩৮ লাখ থেকে মূলধন বাড়িয়ে প্রায় ২৫ কোটি এবং দ্বিতীয় দফায় তা আরও বাড়িয়ে প্রায় ৪৪ কোটি টাকায় উন্নীত করে। কিন্তু মূলধন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে কোনোবারই কোম্পানিটি নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন নেয়নি।
এ ছাড়া বিএসইসি তালিকাভুক্ত বিমা খাতের কোম্পানি জনতা ইনস্যুরেন্সের অভিহিত মূল্য বা ফেসভ্যালু পরিবর্তনের অনুমতি দিয়েছে। কোম্পানিটি সম্প্রতি তাদের অভিহিত মূল্য ১০০ টাকা থেকে ১০ টাকায় রূপান্তরের অনুমোদন চেয়ে বিএসইসির কাছে আবেদন করে। নিয়ন্ত্রক সংস্থার সিদ্ধান্তে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত সব প্রতিষ্ঠানের অভিহিত মূল্য ২০১১ সালের ৪ ডিসেম্বর থেকে অভিন্ন করা হয়। কিন্তু আইনি জটিলতার কারণে সে সময় জনতা ইনস্যুরেন্সের শেয়ারের অভিহিত মূল্য পরিবর্তন করা সম্ভব হয়নি।