ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থাপনা থেকে মালিকানা পৃথকীকরণের (ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন) জন্য বিশেষ সাধারণ সভার (ইজিএম) আহ্বান করেছে। আগামী ২৯ অক্টোবর এ ইজিএম’র তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার পরিচালনা পরিষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে ডিএসই’র সংশ্লিস্ট সূত্রে জানা গেছে।
জানা গেছে, রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে ডিএসই ইজিএম অনুষ্ঠিত হবে। ওইদিন আর্টিকেল অব ম্যামোরেন্ডাম অনুমোদন করার সম্ভবনা রয়েছে। এরপর ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন আইন, ২০১৩- এর ১১ ধারা অনুসারে ৯০ দিনের মধ্যে প্রথম পরিচালনা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন অনুমোদিত স্কিম অনুযায়ী স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালনা পরিষদ হবে ১৩ সদস্যের। যার মধ্যে স্বাতন্ত্র্য পরিচালক ৭ জন ও কৌশলগত বিনিয়োগকারী (স্ট্রাটেজিক পার্টনার) শেয়ারহোল্ডার ৫ জন থাকবেন। তবে যতদিন পর্যন্ত কৌশলগত শেয়ারহোল্ডার নির্বাচিত না হবে ততোদিন পর্যন্ত এ পদটি শূন্য থাকবে।
এছাড়া প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পদাধিকার বলে পরিচালনা পরিষদে থাকবেন এবং তিনি ভোটাধিকার প্রাপ্ত হবেন।
স্কিমে উল্লিখিত নিয়মানুযায়ী যোগ্যতার ভিত্তিতে স্বাতন্ত্র্য পরিচালক নিযুক্ত হবেন। পরিচালক, স্বাতন্ত্র্য পরিচালক এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্রত্যেকের মেয়াদ হবে তিন বছর।
এছাড়াও ডিমিউচ্যুয়ালাইজড স্টক এক্সচেঞ্জে ‘চিফ রেগুলেটরি অফিসার’ নামে একটি পদ থাকবে যার তত্ত্বাবধানে স্টক এক্সচেঞ্জের রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স বিভাগ পরিচালিত হবে।
উল্লেখ্য, গত ২৬ সেপ্টেম্বর ডিমিউচ্যুয়ালাইজশেন স্কিমের চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়ার পর গত মঙ্গলবার ডিএসইতে অনুমোদিত স্কিমের কপি পাঠিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। স্কিম অনুমোদন প্রাপ্তির ৩০ দিনের মধ্যে স্টক এক্সচেঞ্জের বিশেষ সাধারণ সভায় অন্তবর্তী পরিষদের তালিকা গ্রহণ করতে হবে।
এ ক্ষেত্রে অনুমোদিত স্কিমে এক্সচেঞ্জেস ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন আইন, ২০১৩ এর ৮(ক) ধারা অনুসরণ করতে বলা হয়েছে ডিএসইকে। সে লক্ষ্যেই এ বিশেষ সাধারণ সভার আহ্বান করা হয়েছে বলে জানা যায়।