দ্বিতীয় প্রজন্মের (টুজি) লাইসেন্স নবায়ন না হওয়া পর্যন্ত তৃতীয় প্রজন্মের (থ্রিজি) লাইসেন্স নিয়ে ভাবছে না গ্রামীণফোন।
মঙ্গলবার গ্রামীণফোনের ২০১২ সালের প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে হোটেল সোনাগাঁওয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা টোরে জনসেন বলেন, “এমনটা নয় যে আমরা থ্রিজির ব্যাপারে আগ্রহী না, কিন্তু টুজিতে আমরা সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দিচ্ছি। টুজি লাইসেন্স নবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আমরা থ্রিজির ব্যাপারে ভাবতে পারছি না।”
গত ৬ মাস ধরে গ্রামীণফোন টুজি লাইসেন্স ছাড়াই কাজ করে যাচ্ছে জানিয়ে টোরে বলেন, “গ্রাহকের ওপর এর কোনো প্রভাব পড়ছে না। তবে আমরা চাই দ্রুত এ বিষয়টি সমাধান হোক।”
গত বছরের নভেম্বরে গ্রামীণফোনসহ ৪টি মোবাইল অপারেটরের টুজি লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়। লাইসেন্স নবায়ন নিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি ও অপারেটরদের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দিলে তা আদালত পর্যন্ত গড়ায়। বর্তমানে বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন আছে।
থ্রিজি লাইসেন্স দেওয়ার প্রক্রিয়াকে স্বাগত জানিয়ে টোরে বলেন, “আমরা আশা করি সুলভ মূল্যে এবং স্বচ্ছতার মাধ্যমে এ লাইসেন্স দেওয়া হবে।”
গত ২৮ মার্চ থ্রিজি লাইসেন্সের খসড়া নীতিমালা মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছে বিটিআরসি। আগামী ৩ সেপ্টেম্বর থ্রিজি মোবাইল সার্ভিস লাইসেন্সের নিলাম হবে।
টুজি লাইসেন্স নবায়ন প্রসঙ্গে জনসেন বলেন, গত ১৩ ফেব্র“য়ারি হাই কোর্ট গ্রামীণফোনকে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের পাওনা টাকার সাথে ভ্যাটবাবদ কেটে রাখা ১৫ শতাংশ অর্থ যোগ করতে এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডেকে অতিরিক্ত আরো ১৫ শতাংশ অর্থ পরিশোধ করার নির্দেশ দেয়।
তিনি জানান, আদালত গ্রামীণফোনকে এই ভ্যাটের ওপর রিবেট পাওয়ার সুযোগ দেয়। তবে প্রস্তাবিত এই রিবেট ব্যবস্থা প্রচলিত ভ্যাট বিধির অধীনে কার্যকর করা সম্ভব হবে না বলে মনে হওয়ায় গ্রামীণফোন দ্বিতীয় প্রজন্মের লাইসেন্স ফি বিশেষ করে এনবিআরকে যে ১৫ শতাংশ ভ্যাট দেওয়ার সময় রিবেট কী ভাবে পাওয়া যাবে তার ব্যাখ্যা চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেছে। এই আবেদনের শুনানির তারিখ এখনও ধার্য্য করা হয়নি।
মোবাইল ফোনের মূল্য সংযোজিত সেবার (ভ্যাস) লাইসেন্স এর খসড়া নীতিমালা আন্তজার্তিক মানের হয়নি উল্লেখ করে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, “আগামীতে থ্রিজি সেবা হবে ভ্যাস নির্ভর, অপারেটররা ভ্যাস সেবা দিতে না পারলে তা ব্যবসাবান্ধব হবে না।”
মোবাইল ফোনের মূল্য সংযোজিত সেবা (ভ্যাস) লাইসেন্স বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) কাছ থেকে নিতে হবে উল্লেখ করে গত মার্চে খসড়া নীতিমালা তৈরি করা হয়।
আয় ও মুনাফা বেড়েছে
২০১২ সালের প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে টোরে জনসেন জানান, এ সময় গ্রামীণফোন ২ হাজার ৩২২ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করেছে, যা ২০১১ সালের একই সময়ের তুলনায় ১২.৩ শতাংশ বেশি।
গ্রাহককেন্দ্রিক মোবাইল ফোনসেবা দেওয়ার কারণে তীব্র প্রতিযোগিতার মধ্যেও গ্রামীণফোন বাজার প্রবৃদ্ধির সিংহভাগ নিজের নিয়ন্ত্রনে রাখতে পেরেছে বলে মন্তব্য করেন টোরে জনসেন।
গ্রামীণফোন প্রথম প্রান্তিকে ১১ লাখ নতুন গ্রাহক সংগ্রহ করেছে জানিয়ে টোরে বলেন, বর্তমানে গ্রামীণফোনের গ্রাহক সংখ্যা ৩ কোটি ৭৬ লাখ, যা দেশের মোট মোবাইল ফোন গ্রাহকের ৪২ শতাংশ।
গ্রামীণফোনের নতুন প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও) ফ্রিৎজফ রাস্তেন বলেন, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি থেকে মার্চ) গ্রামীণফোন করপরবর্তী মুনাফা করেছে ৫২০ কোটি টাকা, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ২৮৭ কোটি টাকা।
চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ৮৫ পয়সা, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ২ টাকা ১২ পয়সা।
জনসেন জানান, গ্রামীণফোন নেটওয়ার্কের ধারণক্ষমতা বাড়ানো ও মানোন্নয়নে প্রথম প্রান্তিকে ৩৭৩ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। এ নিয়ে গ্রামীণফোনের মোট বিনিয়োগের পরিমান দাড়িয়েছে ১৭ হাজার ৪৬৫ কোটি টাকা।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দেশের বৃহত্তম কর প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন প্রথম প্রান্তিকে সরকারী কোষাগারে কর, ভ্যাট ও শুল্ক আকারে জমা দিয়েছে এক হাজার ১২১ কোটি টাকা।
সংবাদ সম্মেলনে গ্রামীণফোনের প্রধান কমিউনিকেশন অফিসার কাজি মনিরুল কবিরসহ উধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মঙ্গলবার গ্রামীণফোনের ২০১২ সালের প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে হোটেল সোনাগাঁওয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা টোরে জনসেন বলেন, “এমনটা নয় যে আমরা থ্রিজির ব্যাপারে আগ্রহী না, কিন্তু টুজিতে আমরা সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দিচ্ছি। টুজি লাইসেন্স নবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আমরা থ্রিজির ব্যাপারে ভাবতে পারছি না।”
গত ৬ মাস ধরে গ্রামীণফোন টুজি লাইসেন্স ছাড়াই কাজ করে যাচ্ছে জানিয়ে টোরে বলেন, “গ্রাহকের ওপর এর কোনো প্রভাব পড়ছে না। তবে আমরা চাই দ্রুত এ বিষয়টি সমাধান হোক।”
গত বছরের নভেম্বরে গ্রামীণফোনসহ ৪টি মোবাইল অপারেটরের টুজি লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়। লাইসেন্স নবায়ন নিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি ও অপারেটরদের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দিলে তা আদালত পর্যন্ত গড়ায়। বর্তমানে বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন আছে।
থ্রিজি লাইসেন্স দেওয়ার প্রক্রিয়াকে স্বাগত জানিয়ে টোরে বলেন, “আমরা আশা করি সুলভ মূল্যে এবং স্বচ্ছতার মাধ্যমে এ লাইসেন্স দেওয়া হবে।”
গত ২৮ মার্চ থ্রিজি লাইসেন্সের খসড়া নীতিমালা মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছে বিটিআরসি। আগামী ৩ সেপ্টেম্বর থ্রিজি মোবাইল সার্ভিস লাইসেন্সের নিলাম হবে।
টুজি লাইসেন্স নবায়ন প্রসঙ্গে জনসেন বলেন, গত ১৩ ফেব্র“য়ারি হাই কোর্ট গ্রামীণফোনকে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের পাওনা টাকার সাথে ভ্যাটবাবদ কেটে রাখা ১৫ শতাংশ অর্থ যোগ করতে এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডেকে অতিরিক্ত আরো ১৫ শতাংশ অর্থ পরিশোধ করার নির্দেশ দেয়।
তিনি জানান, আদালত গ্রামীণফোনকে এই ভ্যাটের ওপর রিবেট পাওয়ার সুযোগ দেয়। তবে প্রস্তাবিত এই রিবেট ব্যবস্থা প্রচলিত ভ্যাট বিধির অধীনে কার্যকর করা সম্ভব হবে না বলে মনে হওয়ায় গ্রামীণফোন দ্বিতীয় প্রজন্মের লাইসেন্স ফি বিশেষ করে এনবিআরকে যে ১৫ শতাংশ ভ্যাট দেওয়ার সময় রিবেট কী ভাবে পাওয়া যাবে তার ব্যাখ্যা চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেছে। এই আবেদনের শুনানির তারিখ এখনও ধার্য্য করা হয়নি।
মোবাইল ফোনের মূল্য সংযোজিত সেবার (ভ্যাস) লাইসেন্স এর খসড়া নীতিমালা আন্তজার্তিক মানের হয়নি উল্লেখ করে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, “আগামীতে থ্রিজি সেবা হবে ভ্যাস নির্ভর, অপারেটররা ভ্যাস সেবা দিতে না পারলে তা ব্যবসাবান্ধব হবে না।”
মোবাইল ফোনের মূল্য সংযোজিত সেবা (ভ্যাস) লাইসেন্স বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) কাছ থেকে নিতে হবে উল্লেখ করে গত মার্চে খসড়া নীতিমালা তৈরি করা হয়।
আয় ও মুনাফা বেড়েছে
২০১২ সালের প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে টোরে জনসেন জানান, এ সময় গ্রামীণফোন ২ হাজার ৩২২ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করেছে, যা ২০১১ সালের একই সময়ের তুলনায় ১২.৩ শতাংশ বেশি।
গ্রাহককেন্দ্রিক মোবাইল ফোনসেবা দেওয়ার কারণে তীব্র প্রতিযোগিতার মধ্যেও গ্রামীণফোন বাজার প্রবৃদ্ধির সিংহভাগ নিজের নিয়ন্ত্রনে রাখতে পেরেছে বলে মন্তব্য করেন টোরে জনসেন।
গ্রামীণফোন প্রথম প্রান্তিকে ১১ লাখ নতুন গ্রাহক সংগ্রহ করেছে জানিয়ে টোরে বলেন, বর্তমানে গ্রামীণফোনের গ্রাহক সংখ্যা ৩ কোটি ৭৬ লাখ, যা দেশের মোট মোবাইল ফোন গ্রাহকের ৪২ শতাংশ।
গ্রামীণফোনের নতুন প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও) ফ্রিৎজফ রাস্তেন বলেন, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি থেকে মার্চ) গ্রামীণফোন করপরবর্তী মুনাফা করেছে ৫২০ কোটি টাকা, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ২৮৭ কোটি টাকা।
চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ৮৫ পয়সা, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ২ টাকা ১২ পয়সা।
জনসেন জানান, গ্রামীণফোন নেটওয়ার্কের ধারণক্ষমতা বাড়ানো ও মানোন্নয়নে প্রথম প্রান্তিকে ৩৭৩ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। এ নিয়ে গ্রামীণফোনের মোট বিনিয়োগের পরিমান দাড়িয়েছে ১৭ হাজার ৪৬৫ কোটি টাকা।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দেশের বৃহত্তম কর প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন প্রথম প্রান্তিকে সরকারী কোষাগারে কর, ভ্যাট ও শুল্ক আকারে জমা দিয়েছে এক হাজার ১২১ কোটি টাকা।
সংবাদ সম্মেলনে গ্রামীণফোনের প্রধান কমিউনিকেশন অফিসার কাজি মনিরুল কবিরসহ উধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।