ভারতে বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানির যে সুযোগ পাওয়া গেছে, এটাকে যথাযথ কাজে লাগাতে পারলে প্রায় ১০ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান।
শুক্রবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘ফেডারেশন অব উইমেন এন্টারপ্রিনার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’
আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী এ কথা জানান।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতে পোশাক শিল্পের যে বাজার এর পরিমাণ প্রায় ২ লাখ কোটি রুপি। আর সম্প্রতি বাংলাদেশের যে ৪৬টি পণ্য ভারতে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার পেয়েছে, সেগুলোর সবকটিই টেক্সটাইল খাতের। এ খাত থেকে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয়। সুতরাং এ সুযোগ যথাযথ কাজে লাগানো গেলে দেশে কর্মসংসস্থানও বহুগুন বাড়বে।’
প্রসঙ্গক্রমে তিনি জানান, সদ্য শুল্কমুক্ত সুবিধাপ্রাপ্ত বাংলাদেশি ৪৬টি পণ্যের ভারতের বাজারে প্রবেশে এখন আর কোনো বাধা নেই। কারণ গতকাল (বৃহস্পতিবার) ভারত সরকার এ সংক্রান্ত নোটিফিকেশন জারি করেছে। পাশাপাশি পণ্যগুলো রপ্তানির ক্ষেত্রে অশুল্ক বাধাও খুব বড় ধরনের কোনো সমস্যা হবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। কারণ এর আগে ভারতে ১ কোটি তৈরি পোশাক রপ্তানির যে শুল্কমুক্ত কোটা পাওয়া গিয়েছিল, সেটাও বাংলাদেশ থেকে সফলভাবে রপ্তানি করা সম্ভব হয়েছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তবে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশের সকল পণ্যই ভারতের বাজারে শুল্কমুক্ত প্রবেশের অধিকার রয়েছে।’
প্রসঙ্গত বর্তমানে বাংলাদেশের তৈরি ৪৮৪টি পণ্য ভারতের নেগেটিভ লিস্টে রয়েছে বলে জানান তিনি।
সংগঠনের সভাপতি মৌসুমী ইসলামের সভাপতিত্বে ‘নারী উদ্যেক্তাদের সমস্যা ও সমাধানের পথ’ শীর্ষক এই মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশন সভাপতি মোহাম্মদ ফজলুল হক, নারী নেত্রী খুশী কবির প্রমুখ।
মতবিনিময় সভায় ‘ফেডারেশন অব উইমেন এন্টারপ্রিনার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’-এর পক্ষ থেকে সংগঠনটিকে ফেডারেশন হিসেবে অনুমোদন প্রদানের জন্য বাণিজ্যমন্ত্রীর কাছে দাবি জানানো হয়।
এ বিষয়ে নীতিগত সম্মতি প্রদান করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এটা যেন শুধু এলিট শ্রেণীর সংগঠন না হয়। দেশের তৃণমূল পর্যায়ের নারী উদ্যোক্তাদের এর সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে হবে এবং নতুন নারী উদ্যোক্তা তৈরি করতে হবে ও তাদের জন্য কাজ করতে হবে।’