শেয়ারবাজার :::: বিএনপি ও জামায়াতের ডাকা টানা ৩৬ ঘণ্টা হরতালে মধুমাসের ফল লিচুর বাজারে ধস নেমেছে। এ কারণে দেশে লিচুর প্রধান দুই মোকাম দিনাজপুর ও পাবনার ঈশ্বরদীর লিচু বাজারে ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত।
গ্রাহক না থাকায় ক্ষণস্থায়ী মৌসুমী এ ফলটির দাম অর্ধেকে নেমে এসেছে। অনেক ব্যবসায়ীর ঘরে থাকা লিচুতে পচন ধরেছে।
বাংলানিউজের দিনাজপুর প্রতিনিধি সানি সরকার জানান, লিচুর জেলা হিসেবে পরিচিত ও দেশব্যাপী খ্যাত দিনাজপুরে লিচু দেশের সব মানুষের কাছে সমাদৃত। এর কদর দেশব্যাপী। তাই এ লিচুকে নিয়ে ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগ থেকে লাভের আশাও থাকে বেশি। কিন্তু হরতালের দু’দিনে ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য স্থানে রপ্তানি বন্ধ থাকায় দিনাজপুরে কয়েক কোটি টাকার লিচু নষ্ট হয়ে যাবে।
জেলার নিউ মার্কেট, বাহাদুরবাজার, পুলহাট, উলিপুর, কসবা, মাসিমপুর রূপমমোড়সহ বিভিন্ন স্থানে লিচুর পাইকারী বাজার বসে। এসব স্থান থেকে পাইকারদের মাধ্যমে লিচু যায় দেশের বিভিন্ন স্থানে। কিন্তু একদিকে প্রচণ্ড গরম, অপরদিকে হরতাল---এ দুই মিলিয়ে লিচুচাষী ও ব্যবসায়ীরা পড়েছেন বিপাকে।
ব্যবসায়ীরা জানান, যানবাহন বন্ধ থাকায় লিচু পাঠাতে পারছেন না কোথাও। চাষীদের অনেকের হরতালের কথা না জানা থাকায় গত শনিবার বিকেলে বাগান থেকে লিচু নামিয়ে পরদিন রোববার বাজারে নিয়ে আসেন। কিন্তু লিচু বাজারে নিয়ে আসার পর তারা হরতালের কথা জানতে পারেন। লিচু বিক্রি না হওয়ায় তাদেরকে লিচু ফেরত নিয়ে যেতে হয়েছে। এর বেশিরভাগই নষ্ট হয়ে যাবে।
একই কারণে বাজারগুলোতে ক্রেতার অভাবে লিচুর দাম অর্ধেকে নেমে এসেছে। বাজারে গিয়ে দেখা যায়, বিক্রেতারা লিচু নিয়ে বসে আছেন। কিন্তু ক্রেতা নেই। যারা ক্রয় করছেন তারাও মাত্র ৫০ থেকে ১০০ পিস ক্রয় নিচ্ছেন। চায়না-থ্রি লিচু প্রতি এক শ’ গত শনিবার দুপুর ২ টা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে ৪শ’ টাকা থেকে ৬শ’ টাকা পর্যন্ত। সেই লিচু সোমবার বিক্রি হয়েছে ২৫০ টাকা থেকে ৩শ’ টাকায়।
ক্রেতা ফরহাদ হোসেন বাংলানিউজকে জানান, তিনি একশ’ বোম্বাই লিচু কিনেছেন মাত্র ৭০ টাকায়। একই লিচু শনিবার বাজারে বিক্রি হয়েছে ২শ’ থেকে ২৪০ টাকা পর্যন্ত।
লিচু ব্যবসায়ী লুৎফর রহমান বাংলানিউজকে জানান, বাজারে ক্রেতা নেই। তাই কম মূল্যে লিচু বিক্রি করতে হচ্ছে। তিনি বোম্বাই লিচু বিক্রি করছেন মাত্র ১০০ টাকা শ’ দরে । অথচ দু’দিন আগে তিনি একই লিচু বিক্রি করেছেন ২৫০ টাকা শ’ দরে।
হরতালে আড়তে আটকে থাকা শত শত ঝাঁকা লিচু প্রচণ্ড গরমে পচতে শুরু করেছে।
লুৎফর রহমান আরও জানালেন, হরতালজনিত সমস্যা ছাড়াও প্রচণ্ড গরমে বাগানের লিচুর বোঁটা পচে গাছ থেকে ঝড়ে পড়ছে। এতে করে দিনাজপুর জেলার ১৩ উপজেলায় প্রায় দেড় কোটি টাকার লিচু নষ্ট হয়ে যাবে বলে তিনি জানান।
যেসব কুরিয়ার সার্ভিসগুলোর মাধ্যমে লিচু দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয় সেসব কুরিয়ার সার্ভিসে গিয়ে কাউন্টারগুলো ফাঁকা পাওয়া যায়। হরতালের কারণে লিচু পাঠানোর জন্য কেউ আসেনি। কুরিয়ারের লোকজনেরা তাদের লোকসানের কথা জানাতে রাজী হননি।
ঈশ্বরদী প্রতিনিধি সেলিম সরদার জানান, টানা ৩৬ ঘণ্টা হরতালের কারণে ঈশ্বরদীতে পচে নষ্ট হয়ে গেছে কয়েক কোটি টাকার বোম্বাই লিচু।
কৃষক, ব্যবসায়ী, পাইকার ও আড়তদারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মওসুমের শেষ সময়ে এসে গত দু’দিনের হরতালে প্রায় ১৫ কোটি টাকার বোম্বাই ও চায়না লিচু গাছেই নষ্ট হয়ে গেছে। আর ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় পাঠানোর জন্য ঝুড়ি করা অন্তত ২০ ট্রাক লিচু ট্রাকেই পচে গেছে।
গ্রাহক না থাকায় ক্ষণস্থায়ী মৌসুমী এ ফলটির দাম অর্ধেকে নেমে এসেছে। অনেক ব্যবসায়ীর ঘরে থাকা লিচুতে পচন ধরেছে।
বাংলানিউজের দিনাজপুর প্রতিনিধি সানি সরকার জানান, লিচুর জেলা হিসেবে পরিচিত ও দেশব্যাপী খ্যাত দিনাজপুরে লিচু দেশের সব মানুষের কাছে সমাদৃত। এর কদর দেশব্যাপী। তাই এ লিচুকে নিয়ে ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগ থেকে লাভের আশাও থাকে বেশি। কিন্তু হরতালের দু’দিনে ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য স্থানে রপ্তানি বন্ধ থাকায় দিনাজপুরে কয়েক কোটি টাকার লিচু নষ্ট হয়ে যাবে।
জেলার নিউ মার্কেট, বাহাদুরবাজার, পুলহাট, উলিপুর, কসবা, মাসিমপুর রূপমমোড়সহ বিভিন্ন স্থানে লিচুর পাইকারী বাজার বসে। এসব স্থান থেকে পাইকারদের মাধ্যমে লিচু যায় দেশের বিভিন্ন স্থানে। কিন্তু একদিকে প্রচণ্ড গরম, অপরদিকে হরতাল---এ দুই মিলিয়ে লিচুচাষী ও ব্যবসায়ীরা পড়েছেন বিপাকে।
ব্যবসায়ীরা জানান, যানবাহন বন্ধ থাকায় লিচু পাঠাতে পারছেন না কোথাও। চাষীদের অনেকের হরতালের কথা না জানা থাকায় গত শনিবার বিকেলে বাগান থেকে লিচু নামিয়ে পরদিন রোববার বাজারে নিয়ে আসেন। কিন্তু লিচু বাজারে নিয়ে আসার পর তারা হরতালের কথা জানতে পারেন। লিচু বিক্রি না হওয়ায় তাদেরকে লিচু ফেরত নিয়ে যেতে হয়েছে। এর বেশিরভাগই নষ্ট হয়ে যাবে।
একই কারণে বাজারগুলোতে ক্রেতার অভাবে লিচুর দাম অর্ধেকে নেমে এসেছে। বাজারে গিয়ে দেখা যায়, বিক্রেতারা লিচু নিয়ে বসে আছেন। কিন্তু ক্রেতা নেই। যারা ক্রয় করছেন তারাও মাত্র ৫০ থেকে ১০০ পিস ক্রয় নিচ্ছেন। চায়না-থ্রি লিচু প্রতি এক শ’ গত শনিবার দুপুর ২ টা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে ৪শ’ টাকা থেকে ৬শ’ টাকা পর্যন্ত। সেই লিচু সোমবার বিক্রি হয়েছে ২৫০ টাকা থেকে ৩শ’ টাকায়।
ক্রেতা ফরহাদ হোসেন বাংলানিউজকে জানান, তিনি একশ’ বোম্বাই লিচু কিনেছেন মাত্র ৭০ টাকায়। একই লিচু শনিবার বাজারে বিক্রি হয়েছে ২শ’ থেকে ২৪০ টাকা পর্যন্ত।
লিচু ব্যবসায়ী লুৎফর রহমান বাংলানিউজকে জানান, বাজারে ক্রেতা নেই। তাই কম মূল্যে লিচু বিক্রি করতে হচ্ছে। তিনি বোম্বাই লিচু বিক্রি করছেন মাত্র ১০০ টাকা শ’ দরে । অথচ দু’দিন আগে তিনি একই লিচু বিক্রি করেছেন ২৫০ টাকা শ’ দরে।
হরতালে আড়তে আটকে থাকা শত শত ঝাঁকা লিচু প্রচণ্ড গরমে পচতে শুরু করেছে।
লুৎফর রহমান আরও জানালেন, হরতালজনিত সমস্যা ছাড়াও প্রচণ্ড গরমে বাগানের লিচুর বোঁটা পচে গাছ থেকে ঝড়ে পড়ছে। এতে করে দিনাজপুর জেলার ১৩ উপজেলায় প্রায় দেড় কোটি টাকার লিচু নষ্ট হয়ে যাবে বলে তিনি জানান।
যেসব কুরিয়ার সার্ভিসগুলোর মাধ্যমে লিচু দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয় সেসব কুরিয়ার সার্ভিসে গিয়ে কাউন্টারগুলো ফাঁকা পাওয়া যায়। হরতালের কারণে লিচু পাঠানোর জন্য কেউ আসেনি। কুরিয়ারের লোকজনেরা তাদের লোকসানের কথা জানাতে রাজী হননি।
ঈশ্বরদী প্রতিনিধি সেলিম সরদার জানান, টানা ৩৬ ঘণ্টা হরতালের কারণে ঈশ্বরদীতে পচে নষ্ট হয়ে গেছে কয়েক কোটি টাকার বোম্বাই লিচু।
কৃষক, ব্যবসায়ী, পাইকার ও আড়তদারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মওসুমের শেষ সময়ে এসে গত দু’দিনের হরতালে প্রায় ১৫ কোটি টাকার বোম্বাই ও চায়না লিচু গাছেই নষ্ট হয়ে গেছে। আর ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় পাঠানোর জন্য ঝুড়ি করা অন্তত ২০ ট্রাক লিচু ট্রাকেই পচে গেছে।