শেয়ারবাজার :::: ২০১১-১২ অর্থবছরের ঘোষিত বাজেটে পুঁজিবাজারের জন্য তেমন কিছু না থাকায় রোববার দেশের দুই পুঁজিবাজারে ব্যাপক দরপতন ঘটেছে।
বিএনপি-জামায়াত ও সমমনা দলগুলোর ডাকা টানা ৩৬ ঘণ্টা হরতালের প্রথম দিন রোববার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের(ডিএসই) মূল্যসূচক কমেছে ৩১৩ পয়েন্ট ও সিএসইতে ৪৯৬ পয়েন্ট।
ঘোষিত বাজেটে পুঁজিবাজারের জন্য তেমন কিছু না থাকায় শেয়ারবাজারে প্রথম কার্যদিবসেই ব্যাপক দরপতন ঘটেছে বলে মন্তব্য করেছেন ডিএসইর পরিচালক আহমেদ রশিদ লালী। পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘গত ৮ থেকে ১০ কার্যদিবস ঊর্ধ্বমুখী থাকায় বিনিয়োগকারীরা মুনাফা তুলে নেওয়ার কারণেও এর প্রভাব কিছুটা বাজারে পড়েছে।’
রোববার বিকেলে লেনদেন শেষে ডিএসইর কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনাকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘ঘোষিত বাজেটে বন্ডের মাধ্যমে সরকার কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিয়েছে। এতে এক শ্রেণীর লোককে সুবিধা দেওয়া হয়েছে।’
এর কারণ ব্যাখা করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘কালো টাকা সাদা করার ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ কর দিয়ে বন্ডের মাধ্যমে বিনিয়োগ করতে পারবেন বিনিয়োগকারীরা। বিপরীতে তারা এর মুনাফার ১০ শতাংশ পাবেন। তাতে দেখা যাবে কালো টাকা সাদা করার ক্ষেত্রে ওইসব বিনিয়োগকারীদের কর শূন্য থেকে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে সরকার কোনো ক্ষেত্রে লাভবান হচ্ছে না। তাই আমরা বলেছি, এ সুযোগটি শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করার ব্যবস্থা করা হোক। এতে করে সরকারের খাতে ১০ শতাংশ কর জমা হবে।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আহমেদ রশিদ লালী বলেন, ‘ যেদিন ১ হাজার কোটি টাকা লেনদেন হবে, সেদিন বাজার স্থিতিশীল হবে।’
এদিকে রোববার পুঁজিবাজারে লেনদেন ও উভয় সূচক ব্যাপকহারে কমেছে। আগের কার্যদিবসের লেনদেনের চেয়ে রোববার ৭০ কোটি টাকা কম লেনদেন হয়েছে। এদিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে মোট ৫৯৬ কোটি ৯৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
একই সঙ্গে ডিএসইর সাধারণ সূচক আগের দিনের চেয়ে ৩১৩.৫৩ পয়েন্ট কমে ৫৬৭৬.২৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে ডিএসই-২০ মূল্যসূচক আগের দিনের চেয়ে ২৫৮ পয়েন্ট কমে ৪৭২০ পয়েন্টে পোঁছেছে।
এছাড়া রোববার লেনদেনকৃত ২৫৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাত্র ৫টির দাম বেড়েছে। কমেছে ২৫২টির ও অপরিবর্তিত ছিল দুইটি প্রতিষ্ঠানের দাম।
এর আগে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ডিএসইর সাধারণ সূচক কমেছিল ৪৭৪ পয়েন্ট, ১৪ ফেব্রুয়ারি ৪৭২ ও ২৭ ফেব্রুয়ারি ৩৩৭ পয়েন্ট।
রোববার মতিঝিলিস্থ বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংক ঘুরে দেখা গেছে, বিনিয়োগকারীদের উপস্থিতি ছিল আগের কার্যদিবসের চেয়ে অনেক কম। উপস্থিত বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কিছু গুঞ্জন ও হতাশা বিরাজ করছে।
বিনিয়োগকারী আবুল কালাম বলেন, ‘ঘোষিত বাজেটে মোট লেনদেনের উপর সরকার কর বৃদ্ধি করায় ব্রোকারেজ হাউজগুলো জুলাই থেকে বিনিয়োগকারীদের কমিশনও বৃদ্ধি করবে। এতে করে বিনিয়োগকারীরা তাদের শেয়ার বিক্রি করতে শুরু করেছেন। ফলে বাজারে শেয়ার বিক্রির চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে বাজার নিম্নমুখী হতে শুরু করে।’
এদিন সিএসইর সাধারণ সূচক ৪৯৬ পয়েন্ট কমে স্থির হয় ১০ হাজার ১৮২ পয়েন্টে। সার্বিক সূচক ৭৬৫ পয়েন্ট কমে নেমে যায় ১৫ হাজার ৮০৮ পয়েন্টে।
লেনদেন হয় মোট ৮৮ কোটি ৯০ লাখ টাকার শেয়ার।
বিএনপি-জামায়াত ও সমমনা দলগুলোর ডাকা টানা ৩৬ ঘণ্টা হরতালের প্রথম দিন রোববার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের(ডিএসই) মূল্যসূচক কমেছে ৩১৩ পয়েন্ট ও সিএসইতে ৪৯৬ পয়েন্ট।
ঘোষিত বাজেটে পুঁজিবাজারের জন্য তেমন কিছু না থাকায় শেয়ারবাজারে প্রথম কার্যদিবসেই ব্যাপক দরপতন ঘটেছে বলে মন্তব্য করেছেন ডিএসইর পরিচালক আহমেদ রশিদ লালী। পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘গত ৮ থেকে ১০ কার্যদিবস ঊর্ধ্বমুখী থাকায় বিনিয়োগকারীরা মুনাফা তুলে নেওয়ার কারণেও এর প্রভাব কিছুটা বাজারে পড়েছে।’
রোববার বিকেলে লেনদেন শেষে ডিএসইর কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনাকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘ঘোষিত বাজেটে বন্ডের মাধ্যমে সরকার কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিয়েছে। এতে এক শ্রেণীর লোককে সুবিধা দেওয়া হয়েছে।’
এর কারণ ব্যাখা করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘কালো টাকা সাদা করার ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ কর দিয়ে বন্ডের মাধ্যমে বিনিয়োগ করতে পারবেন বিনিয়োগকারীরা। বিপরীতে তারা এর মুনাফার ১০ শতাংশ পাবেন। তাতে দেখা যাবে কালো টাকা সাদা করার ক্ষেত্রে ওইসব বিনিয়োগকারীদের কর শূন্য থেকে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে সরকার কোনো ক্ষেত্রে লাভবান হচ্ছে না। তাই আমরা বলেছি, এ সুযোগটি শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করার ব্যবস্থা করা হোক। এতে করে সরকারের খাতে ১০ শতাংশ কর জমা হবে।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আহমেদ রশিদ লালী বলেন, ‘ যেদিন ১ হাজার কোটি টাকা লেনদেন হবে, সেদিন বাজার স্থিতিশীল হবে।’
এদিকে রোববার পুঁজিবাজারে লেনদেন ও উভয় সূচক ব্যাপকহারে কমেছে। আগের কার্যদিবসের লেনদেনের চেয়ে রোববার ৭০ কোটি টাকা কম লেনদেন হয়েছে। এদিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে মোট ৫৯৬ কোটি ৯৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
একই সঙ্গে ডিএসইর সাধারণ সূচক আগের দিনের চেয়ে ৩১৩.৫৩ পয়েন্ট কমে ৫৬৭৬.২৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে ডিএসই-২০ মূল্যসূচক আগের দিনের চেয়ে ২৫৮ পয়েন্ট কমে ৪৭২০ পয়েন্টে পোঁছেছে।
এছাড়া রোববার লেনদেনকৃত ২৫৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাত্র ৫টির দাম বেড়েছে। কমেছে ২৫২টির ও অপরিবর্তিত ছিল দুইটি প্রতিষ্ঠানের দাম।
এর আগে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ডিএসইর সাধারণ সূচক কমেছিল ৪৭৪ পয়েন্ট, ১৪ ফেব্রুয়ারি ৪৭২ ও ২৭ ফেব্রুয়ারি ৩৩৭ পয়েন্ট।
রোববার মতিঝিলিস্থ বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংক ঘুরে দেখা গেছে, বিনিয়োগকারীদের উপস্থিতি ছিল আগের কার্যদিবসের চেয়ে অনেক কম। উপস্থিত বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কিছু গুঞ্জন ও হতাশা বিরাজ করছে।
বিনিয়োগকারী আবুল কালাম বলেন, ‘ঘোষিত বাজেটে মোট লেনদেনের উপর সরকার কর বৃদ্ধি করায় ব্রোকারেজ হাউজগুলো জুলাই থেকে বিনিয়োগকারীদের কমিশনও বৃদ্ধি করবে। এতে করে বিনিয়োগকারীরা তাদের শেয়ার বিক্রি করতে শুরু করেছেন। ফলে বাজারে শেয়ার বিক্রির চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে বাজার নিম্নমুখী হতে শুরু করে।’
এদিন সিএসইর সাধারণ সূচক ৪৯৬ পয়েন্ট কমে স্থির হয় ১০ হাজার ১৮২ পয়েন্টে। সার্বিক সূচক ৭৬৫ পয়েন্ট কমে নেমে যায় ১৫ হাজার ৮০৮ পয়েন্টে।
লেনদেন হয় মোট ৮৮ কোটি ৯০ লাখ টাকার শেয়ার।