শেয়ারবাজার :::: জাতীয় অর্থনীতি পরিষদের (এনইসি) সভায় ২০১১-১২ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) জন্য ৪৬ হাজার কোটি টাকা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
২০১০-১১ অর্থ বছরের তুলনায় ২০১১-১২ অর্থ বছরের বরাদ্দ ১০,১৭০ কোটি টাকা (সংশোধিত এডিপি বিবেচনা করে) বেশি। শতকরা হিসাবে ২৮ ভাগ বেশি।
এর মধ্যে সরকার অর্থায়ন করবে ২৭ হাজার ৩১৫ (মোট বাজেটের ৫৯ শতাংশ) কোটি টাকা এবং প্রকল্প সহায়তা থেকে আসবে ১৮ হাজার ৬৮৫ (মোট বাজেটের ৪১ শতাংশ) কোটি টাকা।
প্রধানমন্ত্রী ও জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে রোববার শেরেবাংলা নগরের পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এনইসি সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
এডিপিতে এবার মোট প্রকল্প সংখ্যা ১ হাজার ৩৯টি। এর মধ্যে ২০১০-১১ অর্থবছরের সংশোধিত এডিপি থেকে ২০১১-১২ অর্থবছরের এডিপিতে স্থানান্তরিত প্রকল্পের সংখ্যা ৯৬২টি এবং নতুনভাবে বরাদ্দসহ অন্তর্ভূক্ত প্রকল্পের সংখ্যা ৭৭টি।
এডিপিতে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বিদ্যুৎ-তেল-গ্যাস ও প্রাকৃতিক সম্পদ খাতে ৮ হাজার ২৮৬ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। পরিবহন খাতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৭ হাজার ৭৪৯ কোটি ৭৯ লাখ টাকা, শিক্ষা ও ধর্ম খাতে ৬ হাজার ১২৪ কোটি ৬৭ লাখ টাকা, ভৌত পরিকল্পনা-পানি সরবরাহ ও গৃহায়ণ খাতে ৫ হাজার ৬৫১ কোটি ৬ লাখ টাকা, পল্লী উন্নয়ন ও পল্লী প্রতিষ্ঠান খাতে ৪ হাজার ৪০২ কোটি ৮৫ লাখ টাকা এবং কৃষি ও পানিসম্পদ খাতে ৪ হাজার ১০৯ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। এছাড়া স্বাস্থ্য-পুষ্টি-জনসংখ্যা ও পরিবার কল্যাণ খাতে ২ হাজার ৯৪২ কোটি ৪৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এনইসির সভা শেষে পরিকল্পনা মন্ত্রী একে খন্দকার সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
পরিকল্পনা মন্ত্রী একে খন্দকার বলেন, ‘অভ্যন্তরীণ সম্পদ, বৈদেশিক অর্থায়ন, ৬ষ্ঠ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা, বরাদ্দ অর্থের ব্যবহার, সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার বিবেচনা করে এবারের এডিপির পরিকল্পনা করা হয়েছে।’
বিভিন্ন মন্ত্রণালয় উন্নয়ন বাজেটে আরও বরাদ্দ চাইলেও তা আমলে নেওয়া হয়নি কেন- সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দেশের সম্পদ সীমিত। তাই সবার চাহিদা অনুযায়ী বরাদ্দ দিতে পারি না। এই সীমিত সম্পদ দিয়ে কোন খাতে কত বিনিয়োগ করলে লাভ হবে তা বিবেচনা করেই এডিপি তৈরি করা হয়েছে।’
বৈদেশিক সাহায্যের কম ব্যবহার প্রসঙ্গে পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, ‘বিদেশি অর্থের অনেক শর্ত থাকে এবং এই অর্থ ছাড় করতে অনেক প্রক্রিয়া অবলম্বন করতে হয়। এসব কাজে অনেক সময় চলে যায়। তাই বৈদেশিক অর্থ ব্যয় কিছুটা কম হয়ে থাকে।’
তবে তিনি বলেন, ‘যদি বৈদেশিক অর্থের প্রকল্প বাস্তবায়ন বাড়ানো যায়, তাহলে এডিপি বাস্তবায়নের হার শতভাগের কাছাকাছি চলে যাবে।’
২০১০-১১ অর্থ বছরে এপ্রিল পর্যন্ত এডিপি বাস্তবায়নের হার ৬০ শতাংশ বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে একে খন্দকার বলেন, ‘৬ষ্ঠ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা অনুযায়ী বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে এই বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রবৃদ্ধি বাড়াতে হলে শিল্প কারখানা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। আর এজন্য চাই বিদ্যুৎ ও জ্বালানি। এর সঙ্গে রাজনীতি বা অন্যকিছুর সম্পর্ক নেই। প্রবৃদ্ধি বাড়াতে হলে উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ বাড়াতেই হবে। তাই এবারের এডিপির আকার বাড়ানো হয়েছে।
পরিকল্পনা সচিব এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘বৈদেশিক সাহায্যের ওপর নির্ভরতা কোনো ভালো লক্ষণ নয়। তাই এই সাহায্য যত কম নেওয়া যায় তত ভালো।’
সংশোধিত এডিপি
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের সভায় ২০১০-১১ অর্থ বছরের সংশোধিত এডিপিতে অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন প্রকল্পের বরাদ্দ পুনর্বিন্যাস এবং অতিরিক্ত বরাদ্দ অনুমোদন করা হয়েছে। এতে অর্থ বিভাগ কর্তৃক জিওবি (বাংলাদেশ সরকার) খাতে সংশোধিত এডিপিতে ৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়ায় মোট এডিপির আকার দাঁড়িয়েছে ৩৫,৮৩০ কোটি টাকা। এর মধ্যে জিওবি ২৩,৯০০ কোটি টাকা এবং প্রকল্প সাহায্য ১১,৯৩০ কোটি টাকা।
কাজ না করা প্রকল্প পরিচালকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ
প্রকল্প বাস্তবায়নের ধীরগতি, প্রকল্প পরিচালকদের অনেকে তার প্রকল্প এলাকা চেনে না- বলে সভায় কথা ওঠে। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী যেসব প্রকল্প পরিচালক তার প্রকল্প এলাকায় যান না বা প্রকল্প এলাকা চেনেন না, তাদের বাদ দেওয়ার নির্দেশ দেন। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের সভা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সভায় প্রধানমন্ত্রী রংপুর সিটি করপোরেশনের জন্য আলাদা বাজেট রাখতেও নির্দেশ দেন।
২০১০-১১ অর্থ বছরের তুলনায় ২০১১-১২ অর্থ বছরের বরাদ্দ ১০,১৭০ কোটি টাকা (সংশোধিত এডিপি বিবেচনা করে) বেশি। শতকরা হিসাবে ২৮ ভাগ বেশি।
এর মধ্যে সরকার অর্থায়ন করবে ২৭ হাজার ৩১৫ (মোট বাজেটের ৫৯ শতাংশ) কোটি টাকা এবং প্রকল্প সহায়তা থেকে আসবে ১৮ হাজার ৬৮৫ (মোট বাজেটের ৪১ শতাংশ) কোটি টাকা।
প্রধানমন্ত্রী ও জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে রোববার শেরেবাংলা নগরের পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এনইসি সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
এডিপিতে এবার মোট প্রকল্প সংখ্যা ১ হাজার ৩৯টি। এর মধ্যে ২০১০-১১ অর্থবছরের সংশোধিত এডিপি থেকে ২০১১-১২ অর্থবছরের এডিপিতে স্থানান্তরিত প্রকল্পের সংখ্যা ৯৬২টি এবং নতুনভাবে বরাদ্দসহ অন্তর্ভূক্ত প্রকল্পের সংখ্যা ৭৭টি।
এডিপিতে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বিদ্যুৎ-তেল-গ্যাস ও প্রাকৃতিক সম্পদ খাতে ৮ হাজার ২৮৬ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। পরিবহন খাতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৭ হাজার ৭৪৯ কোটি ৭৯ লাখ টাকা, শিক্ষা ও ধর্ম খাতে ৬ হাজার ১২৪ কোটি ৬৭ লাখ টাকা, ভৌত পরিকল্পনা-পানি সরবরাহ ও গৃহায়ণ খাতে ৫ হাজার ৬৫১ কোটি ৬ লাখ টাকা, পল্লী উন্নয়ন ও পল্লী প্রতিষ্ঠান খাতে ৪ হাজার ৪০২ কোটি ৮৫ লাখ টাকা এবং কৃষি ও পানিসম্পদ খাতে ৪ হাজার ১০৯ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। এছাড়া স্বাস্থ্য-পুষ্টি-জনসংখ্যা ও পরিবার কল্যাণ খাতে ২ হাজার ৯৪২ কোটি ৪৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এনইসির সভা শেষে পরিকল্পনা মন্ত্রী একে খন্দকার সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
পরিকল্পনা মন্ত্রী একে খন্দকার বলেন, ‘অভ্যন্তরীণ সম্পদ, বৈদেশিক অর্থায়ন, ৬ষ্ঠ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা, বরাদ্দ অর্থের ব্যবহার, সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার বিবেচনা করে এবারের এডিপির পরিকল্পনা করা হয়েছে।’
বিভিন্ন মন্ত্রণালয় উন্নয়ন বাজেটে আরও বরাদ্দ চাইলেও তা আমলে নেওয়া হয়নি কেন- সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দেশের সম্পদ সীমিত। তাই সবার চাহিদা অনুযায়ী বরাদ্দ দিতে পারি না। এই সীমিত সম্পদ দিয়ে কোন খাতে কত বিনিয়োগ করলে লাভ হবে তা বিবেচনা করেই এডিপি তৈরি করা হয়েছে।’
বৈদেশিক সাহায্যের কম ব্যবহার প্রসঙ্গে পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, ‘বিদেশি অর্থের অনেক শর্ত থাকে এবং এই অর্থ ছাড় করতে অনেক প্রক্রিয়া অবলম্বন করতে হয়। এসব কাজে অনেক সময় চলে যায়। তাই বৈদেশিক অর্থ ব্যয় কিছুটা কম হয়ে থাকে।’
তবে তিনি বলেন, ‘যদি বৈদেশিক অর্থের প্রকল্প বাস্তবায়ন বাড়ানো যায়, তাহলে এডিপি বাস্তবায়নের হার শতভাগের কাছাকাছি চলে যাবে।’
২০১০-১১ অর্থ বছরে এপ্রিল পর্যন্ত এডিপি বাস্তবায়নের হার ৬০ শতাংশ বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে একে খন্দকার বলেন, ‘৬ষ্ঠ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা অনুযায়ী বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে এই বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রবৃদ্ধি বাড়াতে হলে শিল্প কারখানা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। আর এজন্য চাই বিদ্যুৎ ও জ্বালানি। এর সঙ্গে রাজনীতি বা অন্যকিছুর সম্পর্ক নেই। প্রবৃদ্ধি বাড়াতে হলে উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ বাড়াতেই হবে। তাই এবারের এডিপির আকার বাড়ানো হয়েছে।
পরিকল্পনা সচিব এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘বৈদেশিক সাহায্যের ওপর নির্ভরতা কোনো ভালো লক্ষণ নয়। তাই এই সাহায্য যত কম নেওয়া যায় তত ভালো।’
সংশোধিত এডিপি
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের সভায় ২০১০-১১ অর্থ বছরের সংশোধিত এডিপিতে অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন প্রকল্পের বরাদ্দ পুনর্বিন্যাস এবং অতিরিক্ত বরাদ্দ অনুমোদন করা হয়েছে। এতে অর্থ বিভাগ কর্তৃক জিওবি (বাংলাদেশ সরকার) খাতে সংশোধিত এডিপিতে ৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়ায় মোট এডিপির আকার দাঁড়িয়েছে ৩৫,৮৩০ কোটি টাকা। এর মধ্যে জিওবি ২৩,৯০০ কোটি টাকা এবং প্রকল্প সাহায্য ১১,৯৩০ কোটি টাকা।
কাজ না করা প্রকল্প পরিচালকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ
প্রকল্প বাস্তবায়নের ধীরগতি, প্রকল্প পরিচালকদের অনেকে তার প্রকল্প এলাকা চেনে না- বলে সভায় কথা ওঠে। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী যেসব প্রকল্প পরিচালক তার প্রকল্প এলাকায় যান না বা প্রকল্প এলাকা চেনেন না, তাদের বাদ দেওয়ার নির্দেশ দেন। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের সভা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সভায় প্রধানমন্ত্রী রংপুর সিটি করপোরেশনের জন্য আলাদা বাজেট রাখতেও নির্দেশ দেন।