ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে কারসাজির সঙ্গে জড়িত রয়েছেন বলে কয়েকজন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে চিহ্নিত করেছে শেয়ারবাজারের সাম্প্রতিক ধস সংক্রান্ত ঘটনা তদন্তকারী কমিটি।
বিশেষ অনুসন্ধানে এর সঙ্গে জড়িত ১৮ ব্যক্তি ও ২ মার্চেন্ট ব্যাংকের নাম জানা গেছে।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, এদের বাইরে আরও কয়েকজন জড়িত থাকতে পারেন। তবে সময়ের অভাবে তদন্ত কমিটি অন্যদের খুঁজে বের করতে পারেনি।
এবারে আরও তদন্ত করতে হবে বলে সরকারকে সুপারিশ করেছে কমিটি। বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের কাছে জমা দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদনে থাকা নামগুলোর মধ্যে রয়েছে- সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) বর্তমান চেয়ারম্যান খন্দকার জিয়াউল হক, এসইসির দুই নির্বাহী পরিচালক আনোয়ারুল কবীর ভূঁইয়া ও তারেকুজ্জামান, সাবেক নির্বাহী পরিচালক মনসুরুল আলম, বেক্সিমকো গ্রুপের চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান, বিএনপি নেতা মোসাদ্দেক আলী ফালু, লুৎফর রহমান বাদল ও তার স্ত্রী সোমা আলম রহমান, বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খানের ভাইয়ের কেপিসিএল, অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও বিসিবির সভাপতি আ হ ম মোস্তফা কামাল (লোটাস কামাল) এমপি, ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের উপ-মহাব্যবস্থাপক কফিল উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, তার স্ত্রী ফারজানা আখতার ও তার শ্যালক মনসুর বিল্লাহ, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাবেক প্রেসিডেন্ট রকিবুর রহমান ও তার ভাগ্নে আরিফুর রহমান, শেয়ার ব্যবসায়ী গোলাম মোস্তফা, শেয়ার ব্যবসায়ী আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম, শেয়ার ব্যবসায়ী ইয়াকুব আলী খন্দকার এবং দু’টি মার্চেন্ট ব্যাংক রেস ও এল আর গ্লোবাল।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিভিন্ন ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়ে পুঁজিবাজারে কারসাজির সঙ্গে সরাসরি জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে সংস্থাটির চেয়ারম্যান খন্দকার জিয়াউল হক এবং দু’জন নির্বাহী পরিচালক আনোয়ারুল কবীর ভূঁইয়া, তারেকুজ্জামানের বিরুদ্ধে।
প্রতিবেদনে তাদের অপসারণের সুপারিশ করা হয়েছে।
সাবেক নির্বাহী পরিচালক মনসুর আলমের বিরুদ্ধেও বাজার কারসাজির প্রমাণ পাওয়া গেছে। তবে তদন্ত কমিটি মনে করছে পুঁজিবাজারের স্বার্থে মনসুর আলেমের বিরুদ্ধে আরও নিবিড় তদন্ত প্রয়োজন। এর ফলে তার সঙ্গে সম্পৃক্ত বড় রাঘব বোয়ালদের নাম বেড়িয়ে আসতে পারে।
সূত্র আরও জানায়, এসইসির সাবেক নির্বাহী পরিচালক মনসুর আলমের মেয়াদ শেষে তাকে আবারও এসইসিতে পুনঃনিয়োগের প্রস্তাব দেওয়া হলে অর্থমন্ত্রীর তাতে সায় ছিল না। তবে ওই সময় সালমান এফ রহমান এবং ডিএসই‘র তখনকার প্রেসিডেন্ট রকিবুর রহমানের জোর তদবিরে তাকে পুনঃনিয়োগ দেওয়া হয় বলে জানতে পেরেছে তদন্ত কমিটি।
এছাড়া বিএনপি নেতা মোসাদ্দেক আলী ফালু, লুৎফর রহমান বাদল তার স্ত্রী সোমা আলম রহমানের বিরুদ্ধে বিভিন্নভাবে বাজার কারসাজির প্রমাণ পাওয়া গেছে।
বাজার কারসাজির ক্ষেত্রে ইনভেস্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)’র বিশেষ ভূমিকা ছিল বলে প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি।
সংস্থাটির উপ-মহাব্যবস্থাপক কফিল উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, তার স্ত্রী ফারজানা আখতার এবং শ্যালক মনসুর বিল্লাহর নামে শেয়ার লেনদেন ও প্লেসমেন্ট করা হয়েছে।
ওই টাকা পরে কফিলউদ্দিনের নামে এফডিআর করা হয়েছে বলেও জানতে পারে তদন্ত কমিটি।
ডিএসই’র সাবেক প্রেসিডেন্ট রকিবুর রহমান তার ভাগ্নে আরিফুর রহমানের মাধ্যমে শেয়ারবাজারে কারসাজি করে বলে প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি।
এছাড়া শেয়ার ব্যবসায়ী গোলাম মোস্তফা, আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম, ইয়াকুব আলী খন্দকারসহ আরও কয়েকজন সুনির্দিষ্ট ব্যক্তির নামে শেয়ার কারসাজির বিভিন্ন ধরনের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
তদন্ত প্রতিবেদনে যে কেস স্টাডিগুলো বিশদ আলোচনা করা হয়েছে তার মধ্যে সালমান এফ রহমানের জিএমজি এয়ারলাইনস, বাণিজ্য মন্ত্রী ফারুক খানের ভাইয়ের মালিকানাধীন কোম্পানি কেপিসিএল এবং অর্থ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সভাপতি আহম মোস্তফা কামালের সিএমসি কামাল কোম্পানিগুলোর নাম উঠে এসেছে।
এছাড়া পুঁজিবাজার কারসাজির সঙ্গে দু’টি মার্চেন্ট ব্যাংক রেস ও এল আর গ্লোবালের সম্পৃক্ত থাকার প্রমাণ এসেছে তদন্ত প্রতিবেদনে।
উল্লেখ্য, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে গতবছরের শেষ থেকে জানুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত শনৈ শনৈ দরবৃদ্ধির পর হঠাৎ করেই পুঁজিবাজারে ব্যাপক দরপতন ঘটে। এতে নিমিষেই কয়েক হাজার কোটি টাকা বাজার থেকে হারিয়ে যায়।
তোলপাড় করা এ ঘটনার পর অর্থমন্ত্রীর নির্দেশে গত ২৬ জানুয়ারি এসইসির পক্ষ থেকে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
কৃষি ব্যাংকের চেয়ারম্যান খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদকে প্রধান করে গঠিত তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের মহাপরিচালক ও বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. তৌফিক আহমেদ চৌধুরী এবং আইসিএবির সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আবদুল বারী এফসিএ।
পরে গত ২২ ফেব্রুয়ারি অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার নিহাদ কবিরকে অন্তর্ভুক্ত করে তদন্ত কমিটি পুনর্গঠন করা হয়।
বিশেষ অনুসন্ধানে এর সঙ্গে জড়িত ১৮ ব্যক্তি ও ২ মার্চেন্ট ব্যাংকের নাম জানা গেছে।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, এদের বাইরে আরও কয়েকজন জড়িত থাকতে পারেন। তবে সময়ের অভাবে তদন্ত কমিটি অন্যদের খুঁজে বের করতে পারেনি।
এবারে আরও তদন্ত করতে হবে বলে সরকারকে সুপারিশ করেছে কমিটি। বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের কাছে জমা দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদনে থাকা নামগুলোর মধ্যে রয়েছে- সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) বর্তমান চেয়ারম্যান খন্দকার জিয়াউল হক, এসইসির দুই নির্বাহী পরিচালক আনোয়ারুল কবীর ভূঁইয়া ও তারেকুজ্জামান, সাবেক নির্বাহী পরিচালক মনসুরুল আলম, বেক্সিমকো গ্রুপের চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান, বিএনপি নেতা মোসাদ্দেক আলী ফালু, লুৎফর রহমান বাদল ও তার স্ত্রী সোমা আলম রহমান, বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খানের ভাইয়ের কেপিসিএল, অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও বিসিবির সভাপতি আ হ ম মোস্তফা কামাল (লোটাস কামাল) এমপি, ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের উপ-মহাব্যবস্থাপক কফিল উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, তার স্ত্রী ফারজানা আখতার ও তার শ্যালক মনসুর বিল্লাহ, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাবেক প্রেসিডেন্ট রকিবুর রহমান ও তার ভাগ্নে আরিফুর রহমান, শেয়ার ব্যবসায়ী গোলাম মোস্তফা, শেয়ার ব্যবসায়ী আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম, শেয়ার ব্যবসায়ী ইয়াকুব আলী খন্দকার এবং দু’টি মার্চেন্ট ব্যাংক রেস ও এল আর গ্লোবাল।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিভিন্ন ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়ে পুঁজিবাজারে কারসাজির সঙ্গে সরাসরি জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে সংস্থাটির চেয়ারম্যান খন্দকার জিয়াউল হক এবং দু’জন নির্বাহী পরিচালক আনোয়ারুল কবীর ভূঁইয়া, তারেকুজ্জামানের বিরুদ্ধে।
প্রতিবেদনে তাদের অপসারণের সুপারিশ করা হয়েছে।
সাবেক নির্বাহী পরিচালক মনসুর আলমের বিরুদ্ধেও বাজার কারসাজির প্রমাণ পাওয়া গেছে। তবে তদন্ত কমিটি মনে করছে পুঁজিবাজারের স্বার্থে মনসুর আলেমের বিরুদ্ধে আরও নিবিড় তদন্ত প্রয়োজন। এর ফলে তার সঙ্গে সম্পৃক্ত বড় রাঘব বোয়ালদের নাম বেড়িয়ে আসতে পারে।
সূত্র আরও জানায়, এসইসির সাবেক নির্বাহী পরিচালক মনসুর আলমের মেয়াদ শেষে তাকে আবারও এসইসিতে পুনঃনিয়োগের প্রস্তাব দেওয়া হলে অর্থমন্ত্রীর তাতে সায় ছিল না। তবে ওই সময় সালমান এফ রহমান এবং ডিএসই‘র তখনকার প্রেসিডেন্ট রকিবুর রহমানের জোর তদবিরে তাকে পুনঃনিয়োগ দেওয়া হয় বলে জানতে পেরেছে তদন্ত কমিটি।
এছাড়া বিএনপি নেতা মোসাদ্দেক আলী ফালু, লুৎফর রহমান বাদল তার স্ত্রী সোমা আলম রহমানের বিরুদ্ধে বিভিন্নভাবে বাজার কারসাজির প্রমাণ পাওয়া গেছে।
বাজার কারসাজির ক্ষেত্রে ইনভেস্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)’র বিশেষ ভূমিকা ছিল বলে প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি।
সংস্থাটির উপ-মহাব্যবস্থাপক কফিল উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, তার স্ত্রী ফারজানা আখতার এবং শ্যালক মনসুর বিল্লাহর নামে শেয়ার লেনদেন ও প্লেসমেন্ট করা হয়েছে।
ওই টাকা পরে কফিলউদ্দিনের নামে এফডিআর করা হয়েছে বলেও জানতে পারে তদন্ত কমিটি।
ডিএসই’র সাবেক প্রেসিডেন্ট রকিবুর রহমান তার ভাগ্নে আরিফুর রহমানের মাধ্যমে শেয়ারবাজারে কারসাজি করে বলে প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি।
এছাড়া শেয়ার ব্যবসায়ী গোলাম মোস্তফা, আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম, ইয়াকুব আলী খন্দকারসহ আরও কয়েকজন সুনির্দিষ্ট ব্যক্তির নামে শেয়ার কারসাজির বিভিন্ন ধরনের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
তদন্ত প্রতিবেদনে যে কেস স্টাডিগুলো বিশদ আলোচনা করা হয়েছে তার মধ্যে সালমান এফ রহমানের জিএমজি এয়ারলাইনস, বাণিজ্য মন্ত্রী ফারুক খানের ভাইয়ের মালিকানাধীন কোম্পানি কেপিসিএল এবং অর্থ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সভাপতি আহম মোস্তফা কামালের সিএমসি কামাল কোম্পানিগুলোর নাম উঠে এসেছে।
এছাড়া পুঁজিবাজার কারসাজির সঙ্গে দু’টি মার্চেন্ট ব্যাংক রেস ও এল আর গ্লোবালের সম্পৃক্ত থাকার প্রমাণ এসেছে তদন্ত প্রতিবেদনে।
উল্লেখ্য, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে গতবছরের শেষ থেকে জানুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত শনৈ শনৈ দরবৃদ্ধির পর হঠাৎ করেই পুঁজিবাজারে ব্যাপক দরপতন ঘটে। এতে নিমিষেই কয়েক হাজার কোটি টাকা বাজার থেকে হারিয়ে যায়।
তোলপাড় করা এ ঘটনার পর অর্থমন্ত্রীর নির্দেশে গত ২৬ জানুয়ারি এসইসির পক্ষ থেকে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
কৃষি ব্যাংকের চেয়ারম্যান খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদকে প্রধান করে গঠিত তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের মহাপরিচালক ও বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. তৌফিক আহমেদ চৌধুরী এবং আইসিএবির সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আবদুল বারী এফসিএ।
পরে গত ২২ ফেব্রুয়ারি অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার নিহাদ কবিরকে অন্তর্ভুক্ত করে তদন্ত কমিটি পুনর্গঠন করা হয়।