তদন্ত কমিটি ডিমিউচুয়ালাইজেশনের সুপারিশ করে বলেছে, এর অর্থ হলো স্টক এক্সচেঞ্জের ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড থেকে নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনাকে পৃথক করা। তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্টক এক্সচেঞ্জকে পুঁজিবাজারের প্রাথমিক নিয়ন্ত্রক বলা হয়। ব্যবসায়ীরা নিয়ন্ত্রকের ভূমিকায় চলে এলে স্বার্থের সংঘাত সৃষ্টি হয় এবং নিয়ন্ত্রকের দায়িত্ব পালনে অচলতার সৃষ্টি হয়। এ অবস্থায় ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের দ্রুত ডিমিউচুয়ালাইজেশন হওয়া প্রয়োজন। কমিটি বলেছে, ভারতে ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ গঠন করে সরকার বোম্বে স্টক এক্সচেঞ্জকে ডিমিউচুয়ালাইজেশনের চাপ প্রয়োগ করেছিল। পাকিস্তানেও এই প্রক্রিয়া চলছে। বাংলাদেশে যত দ্রুত করা যায়, ততই মঙ্গল। প্রয়োজনে স্টক এক্সচেঞ্জে প্রশাসক নিয়োগ দিয়ে হলেও কাজটি করা উচিত। পুঁজিবাজারে ব্যাংকের অর্থায়ন: সূত্রমতে, প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুঁজিবাজার ও অর্থবাজারকে পৃথক রাখা বিশ্বস্বীকৃত রীতি। ব্যাসেল নীতিমালা এ বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করেছে। কারণ পুঁজিবাজারে নিজস্ব পুঁজি থাকবে, অন্যের টাকা নয়। আমানত ব্যাংকের নিজস্ব অর্থ নয়, বরং গ্রাহকের নিজস্ব টাকা। ব্যাংক ট্রাস্টির ভূমিকায় গ্রাহকের আমানত জমা রাখে। আমানতকারীর অনুমতি ছাড়া এই অর্থ ব্যাংক পুঁজিবাজারে খাটাতে পারে না। এ কারণে ভারত-পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কাসহ বিভিন্ন দেশের ব্যাংকিং আইনে পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগযোগ্য তহবিলকে ব্যাংকের ইক্যুইটির (মালিকের পুঁজি) অনুপাত হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে ব্যাংক কোম্পানি আইনের আমানতের ১০ শতাংশ বিনিয়োগের অনুমতি রয়েছে, যা প্রথাসিদ্ধ নয় এবং ব্যাংকের জন্য হুমকি। এ অবস্থায় ব্যাংক কোম্পানি আইনের ২৬(২) ধারা সংশোধন করে ব্যাংকগুলোর পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকে ব্যাংকের পুঁজি বা ইক্যুইটির অনুপাতে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করার সুপারিশ করেছে কমিটি। আইপিও এবং কার্ব মার্কেট: তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইপিও অনুমতির আগেই মূলধন বাড়ানোর আবরণে ‘প্লেসমেন্ট’-বাণিজ্যের সূচনা দেশে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি করেছে। এ বিষয়ে এসইসির কোনো নিয়মাচার নেই। কেন নিয়মাচার তৈরি করছে না, তাও বোধগম্য নয়। নিয়মাচারের অভাবে প্লেসমেন্টের কার্ব মার্কেট সৃষ্টি হয়েছে। ফেসভ্যালু বা অভিহিত মূল্যে প্রভাবশালী ব্যক্তি ও সংস্থাকে প্লেসমেন্ট ইস্যু করে ইস্যুয়ার কোম্পানি। আবার বেশি দামে অল্প দিনের মধ্যেই প্লেসমেন্ট বিক্রি করে দেয় কোম্পানি। প্রভাবশালী ব্যক্তি মুফতে লাভ পেয়ে যান। ফলে, প্লেসমেন্ট এখন ঘুষের আধুনিক সংস্করণে পরিণত হয়েছে। সমাজ কলুষিত হচ্ছে। কমিটি বলেছে, এর ভিন্ন চিত্রও রয়েছে। প্লেসমেন্ট বিক্রয়ের পর আইপিও অনুমতি না পাওয়ায় অনেকের টাকা আটকে গেছে। তাঁরা হা-হুতাশ করছেন। এ ধরনের অরাজকতা চলতে দিয়ে এসইসি সংকটের জন্ম দিয়েছে। অবিলম্বে নিয়মাচার প্রণয়ন করতে হবে।
অমনিবাস অ্যাকাউন্টের অন্তরালে অস্বচ্ছতা: প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইনত শেয়ার লেনদেন শুধু বেনিফিশিয়ারি ওনার্স বা বিও অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে করা যায়। কিন্তু আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মার্চেন্ট ব্যাংকার নিজেরা ইনভেস্টর অ্যাকাউন্ট খুলছে এবং প্রতি পাঁচ থেকে ১০ হাজার অ্যাকাউন্টের জন্য মার্চেন্ট ব্যাংকারের নিজস্ব নামে একটি মাত্র বিও অ্যাকাউন্ট রাখছে। ফলে বিনিয়োগকারী থাকছে বিও অ্যাকাউন্টের অন্তরালে, লোকচক্ষুর আড়ালে। দুর্নীতি, অনিয়মের আখড়া হয়ে উঠেছে মার্চেন্ট ব্যাংকের ইনভেস্টর হিসাবগুলো। যাঁদের শেয়ার বেচাকেনা হচ্ছে, বিও অ্যাকাউন্টে তাঁদের নাম নেই। অতএব আইনানুগ স্বচ্ছতা রক্ষার জন্য মার্চেন্ট ব্যাংকের কাছে খোলা প্রতিটি বিনিয়োগকারীর হিসাবের জন্য বিও অ্যাকাউন্ট খোলা এবং অমনিবাস অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার সুপারিশ করেছে কমিটি। নিয়ন্ত্রক ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের লেনদেন: প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসইসি, স্টক এক্সচেঞ্জ, মার্চেন্ট ব্যাংকার ও সংশ্লিষ্ট সংস্থার কর্মকর্তাদের শেয়ার ব্যবসা করা অনুচিত। অথচ এসইসির নির্বাহী কর্মকর্তা আনোয়ারুল কবীর ভূঁইয়া স্ত্রীর নামে শেয়ার ব্যবসা করেছেন বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। আইসিবির ডিজিএম কফিল উদ্দিন আহমদ চৌধুরী স্ত্রী ও শ্যালকের নামে ব্যবসা করেছেন। তদন্ত বিশদভাবে করলে আরও অনেক নাম বের হয়ে আসবে। অফিসের কাজকর্ম ফেলে কম্পিউটারে বসে শেয়ার ট্রেডিং একটি নৈমিত্তিক দৃশ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। এতে কাজকর্ম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে কমিটি সরকারি ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর কর্মকর্তাদের নিজ বা পরিবারের সদস্যদের নামে শেয়ার ব্যবসা কঠোর হস্তে বন্ধ করার সুপারিশ করেছে। যোগাযোগ করা হলে আনোয়ারুল কবীর ভূঁঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার স্ত্রী তো আর্থিকভাবে আমার ওপর নির্ভরশীল না। তিনি এ দেশের একজন করদাতা। তা ছাড়া তাঁর স্বতন্ত্র ব্যক্তিসত্তা রয়েছে। সেই হিসেবে তিনি বিনিয়োগের অধিকার সংরক্ষণ করেন।’
কিন্তু এসইসির আইনে কর্মকর্তা-কর্মচারী ও নির্ভরশীল নিকটাত্মীয়দের (স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে) বিনিয়োগের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে—এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ আইনটি যখন করা হয়, তার আগেই তিনি বিনিয়োগ করেছেন। চেষ্টা করেও কফিল উদ্দিন আহমদ চৌধুরীকে গতকাল পাওয়া যায়নি। কোম্পানির সম্পদ পুনর্মূল্যায়ন: প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ‘সার্ভেয়ার্স ইনস্টিটিউশন’ নেই, নিবন্ধিত সার্ভেয়ারও নেই। এই সুযোগে কোম্পানিগুলো সম্পদের অতিমূল্যায়ন করে বাজার প্রভাবিত করছে। কোম্পানিগুলো ‘ডেফারড ট্যাক্সের’ জন্য সংস্থানও রাখে না। এসইসি অতিমূল্যায়ন রোধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। অতএব, দেশে চার্টার্ড সার্ভেয়ার্স ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টদের ভ্যালুয়ারের দায়িত্ব দেওয়া উচিত। তবে ভ্যালুয়ার ও অডিটর দুটি ভিন্ন চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ফার্ম হতে হবে। প্রতিবেদনে সম্পদ কী পরিমাণে পুনর্মূল্যায়িত করা হয়েছে তার কয়েকটি উদাহরণও দেওয়া হয়েছে। যেমন, লিব্রা ইনফিউশনস পুনর্মূল্যায়ন করেছে ৩৪৭২ শতাংশ, সোনালী আঁশ ইন্ডাস্ট্রিজ ৬২৬ শতাংশ, রহিম টেক্সটাইল ৫১৮ শতাংশ, বিডি থাই অ্যালুমিনিয়াম ২৯৮ শতাংশ, ওরিয়ন ইনফিউশন ৪১৩ শতাংশ, ওশেন কনটেইনার্স ২৯৬ শতাংশ এবং শাইনপুকুর সিরামিক ১২০ শতাংশ। এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে ওরিয়ন ইনফিউশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সালমান করিম বলেন, গত আট-দশ বছরে ওরিয়ন ইনফিউশনের সম্পদ পুনর্মূল্যায়ন হয়নি। সুতরাং ৪১৩ শতাংশ সম্পদ বৃদ্ধির তথ্য কীভাবে এল তিনি বুঝতে পারছেন না। শেয়ারের অভিহিত মূল্য পরিবর্তন: কমিটি মনে করে, ১০০ টাকার শেয়ার ১০ টাকায় পরিবর্তন বাজারে মূল্যবৃদ্ধিতে অবদান রেখেছে। বিষয়টি মানসিক ভ্রমজনিত। কেননা, ১০০ টাকার শেয়ার ৮০০ টাকা হলে যতটা মূল্য বৃদ্ধি মনে হয়, ১০ টাকার শেয়ার ৮০ টাকা হলে তেমনটা হয় না। এ কারণে বাজার পুঁজীকরণ বৃদ্ধিতে ১০ টাকায় রূপান্তর করা কোম্পানিগুলোর অংশ সাড়ে ৮১ শতাংশ। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এটি অবিশ্বাস্য হলেও ঘটেছে। অতএব, এখনো ১০০ টাকার শেয়ারের যেসব কোম্পানি বাকি রয়েছে, তাদের স্বল্প সময়ের মধ্যে ১০ টাকায় রূপান্তর করে অভিহিত মূল্য একই রকম করা উচিত।
The government has held back for the time being from disclosing the names of the people allegedly involved in the recent share market scam as the probe body submitted its report on Thursday, identifying some individuals and institutions responsible for the share market plunge.
"They are very influential and powerful… we’ll have to make sure whether they were involved or not," Finance Minister AMA Muhith told a crowded press conference at the Finance Ministry conference room, apparently to take a cautious approach before taking punitive measures against the culprits.
Investors as well as stakeholders concerned have been eagerly waiting for the report as they thought it would have an impact on the market. As soon as the news spread in the stock market that the probe body had submitted the report with having no focus on the individuals, the share prices moved up.
Earlier in the morning, the investigation committee chairman Khondker Ibrahim Khaled submitted the report to the finance minister at his official residence at Minto Road.
Muhith said the committee to probe the scam has identified some individuals and institutions responsible for the stock market debacle, but preferred not to name them before confirming their involvement.
He said the report would be published after deleting some names, stimulating a volley of questions. "We just want to make sure that they are involved," said the minister, in
reply. "It would take 10-15 days," he said, replying to a supplementary about the possible date of making the report public.
Replying to another question whether he wanted to delete the names from the report," he just said, "no." The minister said he did not go through the report yet.
The minister, however, said the committee insisted him that they have identified the people responsible, but could not confirm their involvement for lack of time. They also recommended further scrutiny before taking action against the people identified. "They (culprits) must face action," he said, replying to a question.
He said the report has given the government sufficient inputs to improve the stock market. It recommended strengthening the Securities and Exchange Commission both with adequate manpower and regulations. "We’ll have to restructure the SEC," he added.
He said that the government has already created 49 posts in the Commission, which already has a law member and it now needs an accountant member and a financial analyst.
He said the report also recommended cancelling the book building method, reforming the merchant banks and re-evaluation of the assets of the listed companies.
The minister said an implementation committee or monitoring cell would be formed to implement the committee recommendation.
After submitting the report, Ibrahim Khaled, however, said the committee did not focus on individuals, but tried to find out the reasons and factors behind the stock market debacle. "We’ve no headache about any person. We identified the listed companies involved with the scam," Khaled said.
Citing an example, Khaled said nearly an amount of Tk 80 million was transacted through 19 beneficiary owners account by replacement of shares of a listed company at the same address but in different names. "We have identified a number of organisations involved with the share scam," he added.
He said the owners of some listed companies had increased prices of their shares by spreading rumours. "We have recommended measures for improving the market and make it stable," said Khaled, also the chairman of Bangladesh Krishi Bank.
He pointed out that the authorities concerned would find out the people of the organisations responsible for the stock crash.
He informed that an amount between Tk 40 billion and 50 billion (Tk 4,000 crore and Tk 5,000 crore) might have taken away from the market through manipulation.
অমনিবাস অ্যাকাউন্টের অন্তরালে অস্বচ্ছতা: প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইনত শেয়ার লেনদেন শুধু বেনিফিশিয়ারি ওনার্স বা বিও অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে করা যায়। কিন্তু আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মার্চেন্ট ব্যাংকার নিজেরা ইনভেস্টর অ্যাকাউন্ট খুলছে এবং প্রতি পাঁচ থেকে ১০ হাজার অ্যাকাউন্টের জন্য মার্চেন্ট ব্যাংকারের নিজস্ব নামে একটি মাত্র বিও অ্যাকাউন্ট রাখছে। ফলে বিনিয়োগকারী থাকছে বিও অ্যাকাউন্টের অন্তরালে, লোকচক্ষুর আড়ালে। দুর্নীতি, অনিয়মের আখড়া হয়ে উঠেছে মার্চেন্ট ব্যাংকের ইনভেস্টর হিসাবগুলো। যাঁদের শেয়ার বেচাকেনা হচ্ছে, বিও অ্যাকাউন্টে তাঁদের নাম নেই। অতএব আইনানুগ স্বচ্ছতা রক্ষার জন্য মার্চেন্ট ব্যাংকের কাছে খোলা প্রতিটি বিনিয়োগকারীর হিসাবের জন্য বিও অ্যাকাউন্ট খোলা এবং অমনিবাস অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার সুপারিশ করেছে কমিটি। নিয়ন্ত্রক ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের লেনদেন: প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসইসি, স্টক এক্সচেঞ্জ, মার্চেন্ট ব্যাংকার ও সংশ্লিষ্ট সংস্থার কর্মকর্তাদের শেয়ার ব্যবসা করা অনুচিত। অথচ এসইসির নির্বাহী কর্মকর্তা আনোয়ারুল কবীর ভূঁইয়া স্ত্রীর নামে শেয়ার ব্যবসা করেছেন বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। আইসিবির ডিজিএম কফিল উদ্দিন আহমদ চৌধুরী স্ত্রী ও শ্যালকের নামে ব্যবসা করেছেন। তদন্ত বিশদভাবে করলে আরও অনেক নাম বের হয়ে আসবে। অফিসের কাজকর্ম ফেলে কম্পিউটারে বসে শেয়ার ট্রেডিং একটি নৈমিত্তিক দৃশ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। এতে কাজকর্ম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে কমিটি সরকারি ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর কর্মকর্তাদের নিজ বা পরিবারের সদস্যদের নামে শেয়ার ব্যবসা কঠোর হস্তে বন্ধ করার সুপারিশ করেছে। যোগাযোগ করা হলে আনোয়ারুল কবীর ভূঁঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার স্ত্রী তো আর্থিকভাবে আমার ওপর নির্ভরশীল না। তিনি এ দেশের একজন করদাতা। তা ছাড়া তাঁর স্বতন্ত্র ব্যক্তিসত্তা রয়েছে। সেই হিসেবে তিনি বিনিয়োগের অধিকার সংরক্ষণ করেন।’
কিন্তু এসইসির আইনে কর্মকর্তা-কর্মচারী ও নির্ভরশীল নিকটাত্মীয়দের (স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে) বিনিয়োগের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে—এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ আইনটি যখন করা হয়, তার আগেই তিনি বিনিয়োগ করেছেন। চেষ্টা করেও কফিল উদ্দিন আহমদ চৌধুরীকে গতকাল পাওয়া যায়নি। কোম্পানির সম্পদ পুনর্মূল্যায়ন: প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ‘সার্ভেয়ার্স ইনস্টিটিউশন’ নেই, নিবন্ধিত সার্ভেয়ারও নেই। এই সুযোগে কোম্পানিগুলো সম্পদের অতিমূল্যায়ন করে বাজার প্রভাবিত করছে। কোম্পানিগুলো ‘ডেফারড ট্যাক্সের’ জন্য সংস্থানও রাখে না। এসইসি অতিমূল্যায়ন রোধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। অতএব, দেশে চার্টার্ড সার্ভেয়ার্স ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টদের ভ্যালুয়ারের দায়িত্ব দেওয়া উচিত। তবে ভ্যালুয়ার ও অডিটর দুটি ভিন্ন চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ফার্ম হতে হবে। প্রতিবেদনে সম্পদ কী পরিমাণে পুনর্মূল্যায়িত করা হয়েছে তার কয়েকটি উদাহরণও দেওয়া হয়েছে। যেমন, লিব্রা ইনফিউশনস পুনর্মূল্যায়ন করেছে ৩৪৭২ শতাংশ, সোনালী আঁশ ইন্ডাস্ট্রিজ ৬২৬ শতাংশ, রহিম টেক্সটাইল ৫১৮ শতাংশ, বিডি থাই অ্যালুমিনিয়াম ২৯৮ শতাংশ, ওরিয়ন ইনফিউশন ৪১৩ শতাংশ, ওশেন কনটেইনার্স ২৯৬ শতাংশ এবং শাইনপুকুর সিরামিক ১২০ শতাংশ। এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে ওরিয়ন ইনফিউশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সালমান করিম বলেন, গত আট-দশ বছরে ওরিয়ন ইনফিউশনের সম্পদ পুনর্মূল্যায়ন হয়নি। সুতরাং ৪১৩ শতাংশ সম্পদ বৃদ্ধির তথ্য কীভাবে এল তিনি বুঝতে পারছেন না। শেয়ারের অভিহিত মূল্য পরিবর্তন: কমিটি মনে করে, ১০০ টাকার শেয়ার ১০ টাকায় পরিবর্তন বাজারে মূল্যবৃদ্ধিতে অবদান রেখেছে। বিষয়টি মানসিক ভ্রমজনিত। কেননা, ১০০ টাকার শেয়ার ৮০০ টাকা হলে যতটা মূল্য বৃদ্ধি মনে হয়, ১০ টাকার শেয়ার ৮০ টাকা হলে তেমনটা হয় না। এ কারণে বাজার পুঁজীকরণ বৃদ্ধিতে ১০ টাকায় রূপান্তর করা কোম্পানিগুলোর অংশ সাড়ে ৮১ শতাংশ। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এটি অবিশ্বাস্য হলেও ঘটেছে। অতএব, এখনো ১০০ টাকার শেয়ারের যেসব কোম্পানি বাকি রয়েছে, তাদের স্বল্প সময়ের মধ্যে ১০ টাকায় রূপান্তর করে অভিহিত মূল্য একই রকম করা উচিত।
The government has held back for the time being from disclosing the names of the people allegedly involved in the recent share market scam as the probe body submitted its report on Thursday, identifying some individuals and institutions responsible for the share market plunge.
"They are very influential and powerful… we’ll have to make sure whether they were involved or not," Finance Minister AMA Muhith told a crowded press conference at the Finance Ministry conference room, apparently to take a cautious approach before taking punitive measures against the culprits.
Investors as well as stakeholders concerned have been eagerly waiting for the report as they thought it would have an impact on the market. As soon as the news spread in the stock market that the probe body had submitted the report with having no focus on the individuals, the share prices moved up.
Earlier in the morning, the investigation committee chairman Khondker Ibrahim Khaled submitted the report to the finance minister at his official residence at Minto Road.
Muhith said the committee to probe the scam has identified some individuals and institutions responsible for the stock market debacle, but preferred not to name them before confirming their involvement.
He said the report would be published after deleting some names, stimulating a volley of questions. "We just want to make sure that they are involved," said the minister, in
reply. "It would take 10-15 days," he said, replying to a supplementary about the possible date of making the report public.
Replying to another question whether he wanted to delete the names from the report," he just said, "no." The minister said he did not go through the report yet.
The minister, however, said the committee insisted him that they have identified the people responsible, but could not confirm their involvement for lack of time. They also recommended further scrutiny before taking action against the people identified. "They (culprits) must face action," he said, replying to a question.
He said the report has given the government sufficient inputs to improve the stock market. It recommended strengthening the Securities and Exchange Commission both with adequate manpower and regulations. "We’ll have to restructure the SEC," he added.
He said that the government has already created 49 posts in the Commission, which already has a law member and it now needs an accountant member and a financial analyst.
He said the report also recommended cancelling the book building method, reforming the merchant banks and re-evaluation of the assets of the listed companies.
The minister said an implementation committee or monitoring cell would be formed to implement the committee recommendation.
After submitting the report, Ibrahim Khaled, however, said the committee did not focus on individuals, but tried to find out the reasons and factors behind the stock market debacle. "We’ve no headache about any person. We identified the listed companies involved with the scam," Khaled said.
Citing an example, Khaled said nearly an amount of Tk 80 million was transacted through 19 beneficiary owners account by replacement of shares of a listed company at the same address but in different names. "We have identified a number of organisations involved with the share scam," he added.
He said the owners of some listed companies had increased prices of their shares by spreading rumours. "We have recommended measures for improving the market and make it stable," said Khaled, also the chairman of Bangladesh Krishi Bank.
He pointed out that the authorities concerned would find out the people of the organisations responsible for the stock crash.
He informed that an amount between Tk 40 billion and 50 billion (Tk 4,000 crore and Tk 5,000 crore) might have taken away from the market through manipulation.