বেশি লাভের আশায় শেয়ারবাজারে লগি্ন করেছিলেন দুই কোটি টাকা। কমতে কমতে তা এখন এসে ঠেকেছে ৫০ লাখে। নিজের নামটা বলতে চাইলেন না ভদ্রলোক। বললেন, এখন কান্নাকাটি করা ছাড়া আর কিছুই করার নেই তাঁর। বিক্ষোভ মিছিলে সামিল হয়ে যে কিছুটা হালকা হবেন, সামাজিক মর্যাদার কথা ভেবে তাও করতে পারলেন না তিনি। তখন দুপুর সাড়ে ১২টা। সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনেও পুঁজিবাজারে দরপতনের প্রতিবাদে মতিঝিল ডিএসই ভবনের সামনের রাস্তায় চলছে লগি্নকারীদের বিক্ষোভ। হরতালের পিকেটার আর পুঁজি হারানো লগি্নকারী যেন একাকার হয়ে গেছে রাজধানীর মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা।
রবিবার ৪০৬ পয়েন্ট কমার পর গতকাল ৩২৪ পয়েন্ট পড়ে ঢাকা স্টক এঙ্চেঞ্জের (ডিএসই) সূচক ৬৩৯৪ দশমিক ৫৩ এ দাঁড়িয়েছে। সারা দিনে প্রায় ৬১০ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। আর ২৪১টি কম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। বেড়েছে ১২টির। আর অপরিবর্তিত আছে দুটি কম্পানির শেয়ারের দাম। বেশির ভাগ কম্পানির শেয়ারের দাম কমে যাওয়ায় গতকাল সোমবার দুপুর ১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত মতিঝিলের ডিএসই ভবনের সামনে বিক্ষোভ করেছে বিনিয়োগকারীরা।
স্বপন নামের এক লগি্নকারী বলেন, 'প্রায় দুই মাস ধরে রাস্তায় বিক্ষোভ করলেও দেশের নীতিনির্ধারক পর্যায়ের কাউকে সামনে পেলাম না যে দুটি আশার বাণী, ভরসার কথা শোনাতে পারবে।' বিনিয়োগকারীদের পাশে কেউ নেই বলে তিনি মন্তব্য করেন।
মেহেদী নামের অপর একজন জানান, যখন বাজার ভালো ছিল তখন টেলিভিশনের টক শোতে অনেকেই বলেছে, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ বেড়েছে। কিন্তু আজ যখন বাজার পড়ছে তখন তারাই আবার বলছে, শেয়ারবাজারে এতো বিনিয়োগ করা উচিত ছিল না। আরেক লগি্নকারী কাজী নজরুল ইসলাম বলেন, শেয়ারবাজার থেকে যারা হাজার কোটি টাকা নিয়ে সরে পড়েছে, সরকার তাদের কিছুই করতে পারছে না। এখনো বাজারে অদৃশ্য কারসাজি চলছে বলে মন্তব্য করেছেন কেউ কেউ। তাদের মতে, সরকারের ভিতর ঘাপটি মেরে বসে থাকা একটি শ্রেণী প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রীকে ভুল বুঝিয়ে বাজার থেকে কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। তদন্ত কমিটি হওয়ার পরও কী করে আবারও দরপতন হচ্ছে, সেই প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। অনেকে নিয়ন্ত্রক সংস্থার বিভিন্ন সিদ্ধান্তকে দায়ী করছেন ধারাবাহিক দরপতনের জন্য।
রবিবার ৪০৬ পয়েন্ট কমার পর গতকাল ৩২৪ পয়েন্ট পড়ে ঢাকা স্টক এঙ্চেঞ্জের (ডিএসই) সূচক ৬৩৯৪ দশমিক ৫৩ এ দাঁড়িয়েছে। সারা দিনে প্রায় ৬১০ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। আর ২৪১টি কম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। বেড়েছে ১২টির। আর অপরিবর্তিত আছে দুটি কম্পানির শেয়ারের দাম। বেশির ভাগ কম্পানির শেয়ারের দাম কমে যাওয়ায় গতকাল সোমবার দুপুর ১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত মতিঝিলের ডিএসই ভবনের সামনে বিক্ষোভ করেছে বিনিয়োগকারীরা।
স্বপন নামের এক লগি্নকারী বলেন, 'প্রায় দুই মাস ধরে রাস্তায় বিক্ষোভ করলেও দেশের নীতিনির্ধারক পর্যায়ের কাউকে সামনে পেলাম না যে দুটি আশার বাণী, ভরসার কথা শোনাতে পারবে।' বিনিয়োগকারীদের পাশে কেউ নেই বলে তিনি মন্তব্য করেন।
মেহেদী নামের অপর একজন জানান, যখন বাজার ভালো ছিল তখন টেলিভিশনের টক শোতে অনেকেই বলেছে, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ বেড়েছে। কিন্তু আজ যখন বাজার পড়ছে তখন তারাই আবার বলছে, শেয়ারবাজারে এতো বিনিয়োগ করা উচিত ছিল না। আরেক লগি্নকারী কাজী নজরুল ইসলাম বলেন, শেয়ারবাজার থেকে যারা হাজার কোটি টাকা নিয়ে সরে পড়েছে, সরকার তাদের কিছুই করতে পারছে না। এখনো বাজারে অদৃশ্য কারসাজি চলছে বলে মন্তব্য করেছেন কেউ কেউ। তাদের মতে, সরকারের ভিতর ঘাপটি মেরে বসে থাকা একটি শ্রেণী প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রীকে ভুল বুঝিয়ে বাজার থেকে কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। তদন্ত কমিটি হওয়ার পরও কী করে আবারও দরপতন হচ্ছে, সেই প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। অনেকে নিয়ন্ত্রক সংস্থার বিভিন্ন সিদ্ধান্তকে দায়ী করছেন ধারাবাহিক দরপতনের জন্য।