GET UP AND GO
ব্যাংক কর্মকর্তারা যাতে কর্মঘণ্টা ফাঁকি দিয়ে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে না পারেন এ লক্ষ্যে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরই অংশ হিসেবে এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অভ্যন্তরে মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। দফায় দফায় নজরদারী বাড়ানোর পাশাপাশি শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক ছাড়াও তফসিলি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যাতে কর্মঘণ্টা নষ্ট করে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে না পারে এবং ব্যাংকিং খাতের গতি আরও বাড়ে এ লক্ষ্যেই হার্ড লাইনে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এসব বিষয় উল্লেখ করে খুব শিগগিরই ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে চিঠি পাঠানো হতে পারে বলেও জানা গেছে।
এ ব্যাপারে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে লক্ষ্য করা যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একাধিক মহাব্যবস্থাপক, উপ-মহাব্যবস্থাপক, যুগ্ম-পরিচালক, সহকারী পরিচালক, উপ-পরিচালক থেকে এমএলএসএস পর্যন্ত অধিকাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারী ওয়ার্কিং ডেতে কর্মঘণ্টা ফাঁকি দিয়ে শেয়ার ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত থাকেন।’
এতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজে বিঘœ ঘটে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এসব বিষয় বিবেচনা করেই বাংলাদেশ ব্যাংকের অভ্যন্তরে মনিটিরং ব্যবস্থা জোরদার করার পাশাপাশি তাৎক্ষণিক পরিদর্শন করাও হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের পাশাপাশি তফসিলি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা বা কর্মচারীরা যাতে কর্মঘণ্টা ফাঁকি দিয়ে শেয়ার ব্যবসা না করেন এ লক্ষ্যে খুব শিগগিরই চিঠি পাঠানো হতে পারে।’
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রায় ২০ ভাগ কর্মকর্তা তাদের নির্দিষ্ট কাজ রেখে বিভিন্ন অযুহাতে পুঁজিবাজারে যাচ্ছেন শেয়ারে বিনিয়োগ করতে। যারা যাচ্ছেন না তারাও কম্পিউটার ওপেন করে শেয়ারের সার্বিক তথ্য নিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্রোকারেজ হাউজ বা মার্চেন্ট ব্যাংকের ট্রেডার বা অথোরাইজকে তাদের পছন্দের কোম্পানির শেয়ার ক্রয় বা বিক্রি করার নির্দেশ দিচ্ছেন। এছাড়া অনেক কর্মকর্তা কাজের অধিকাংশ সময়ই ব্যাংকের বাইরে থাকছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
এসব বিষয় নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গবর্নর (ডিজিদের) মধ্যে বিভিন্নভাবে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি নির্বাহী পরিচালকদের (ইডি) মধ্যে বৈঠকও হয়েছে।
আরো পড়ুন
Blog Archive
- ► 2011 (2088)