আইনি শর্ত পূরণের জন্য আমেরিকান লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানির (মেটলাইফ আলিকো) মুনাফা থেকে ৩০ কোটি টাকা কেটে রেখেছে বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)। বিদেশি এ জীবনবিমা কোম্পানিটি কোনো বিনিয়োগ ছাড়াই বাংলাদেশে ব্যবসা করে আসছিল। বিদ্যমান বিমা আইন অনুযায়ী, বিদেশে নিবন্ধিত কোনো জীবনবিমা কোম্পানি বাংলাদেশে ব্যবসা করতে চাইলে ন্যূনতম ৩০ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধন রাখতে হবে। মেটলাইফ আলিকো যুক্তরাষ্ট্রের নিবন্ধিত কোম্পানি। আইডিআরএ জানায়, আইনানুযায়ী বাধ্যতামূলক পরিশোধিত মূলধনই আলিকোর মুনাফা থেকে কেটে রাখা হয়েছে। তা ছাড়া আগামী দুই বছরের মধ্যে কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ১৫০ কোটি টাকায় উন্নীত করতে হবে। ভবিষ্যতে তা-ও কোম্পানিটির মুনাফা থেকেই কেটে রাখা হবে। আইডিআরএ সূত্রমতে, ২০০০ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত আলিকো ৫০০ কোটি টাকার সমপরিমাণ ডলার মুনাফা বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠিয়েছে। ২০১০ সালের মোট মুনাফা থেকে ৪০ কোটি ৮৬ লাখ ৮২ হাজার টাকা পাঠানোর জন্য ২০১১ সালের নভেম্বরে এবং ২০১১ সালের মোট মুনাফা থেকে ৫৭ কোটি ৬৫ লাখ টাকা পাঠানোর জন্য ২০১২ সালের মার্চে আইডিআরএর কাছে ভিন্ন দুটি আবেদন করে আলিকো। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের উইলমিংটনে অবস্থিত প্রধান কার্যালয়ে মুনাফা পাঠানোর জন্য আলিকোকে এবার ঢালাও অনুমতি দেয়নি আইডিআরএ। সংস্থাটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সম্প্রতি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ২০১০ সালের মুনাফা থেকে ৩০ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধন কেটে রাখার পর বাকি ১০ কোটি ৮৬ লাখ ৮২ হাজার টাকা পাঠাতে পারবে আলিকো। এই সিদ্ধান্ত আলিকোকে এক চিঠিতে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে আইডিআরএ চেয়ারম্যান এম শেফাক আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘সলভেন্সি মার্জিনের জন্য আলিকোকে বিপুল পরিমাণ অর্থ জমা রাখতে হবে। সে হিসাবে ২০১১ সালের মুনাফা থেকে ২৫ শতাংশ হারে অর্থ রাখার জন্য কোম্পানিটিকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। একই কারণে পরের দুই বছরের মুনাফা থেকেও ২৫ শতাংশ হারে অর্থ জমা রাখতে হবে আলিকোকে।’ পরিশোধিত মূলধন কেটে রাখার বিষয়ে আইডিআরএর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন মেটলাইফ আলিকোর মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা ও দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের জ্যেষ্ঠ ভাইস প্রেসিডেন্ট নুরুল ইসলাম। যোগাযোগ করলে প্রথম আলোকে তিনি জানান, ‘আইনের শর্ত পূরণে ৩০ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধন কেটে রাখায় আমরা নাখোশ নই। তবে অনুরোধ করেছিলাম ২০১১ সালের মুনাফা থেকে রাখার জন্য। আইডিআরএ রেখেছে ২০১০ সালের মুনাফা থেকে।’ বিমা আইন অনুসারে বাংলাদেশের বাইরে থেকে তহবিল স্থানান্তরের মাধ্যমে বাংলাদেশে টাকা জমা করার কথা, যা মেটলাইফ আলিকো করেনি। এ বিষয়ে ব্যাখ্যা জানতে চাইলে আইডিআরএর সদস্য নবগোপাল বণিক প্রথম আলোকে বলেন, ‘মুনাফা যা দেশের বাইরে নিয়ে যেত, তা থেকে একটা অংশ কেটে রাখা হয়েছে। এটা কোনো সমস্যা নয়।’ এদিকে অর্থ মন্ত্রণালয়কে প্রতিবেদন-সংবলিত একটি চিঠি পাঠিয়েছে আইডিআরএ। এতে বলা হয়, ব্যবসা করতে আলিকো এক পয়সাও বাংলাদেশে নিয়ে আসেনি। কোটি কোটি ডলার মুনাফা নিয়ে গেলেও বিমা খাতে দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে কোনো ভূমিকা রাখছে না কোম্পানিটি। আর এটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত। অথচ বাংলাদেশে পুঁজিবাজারের বাইরে কোম্পানিটি।
৩০ কোটি টাকা কেটে রেখেছে বিমা-MetLife Fined 30 Crores
আইনি শর্ত পূরণের জন্য আমেরিকান লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানির (মেটলাইফ আলিকো) মুনাফা থেকে ৩০ কোটি টাকা কেটে রেখেছে বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)। বিদেশি এ জীবনবিমা কোম্পানিটি কোনো বিনিয়োগ ছাড়াই বাংলাদেশে ব্যবসা করে আসছিল। বিদ্যমান বিমা আইন অনুযায়ী, বিদেশে নিবন্ধিত কোনো জীবনবিমা কোম্পানি বাংলাদেশে ব্যবসা করতে চাইলে ন্যূনতম ৩০ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধন রাখতে হবে। মেটলাইফ আলিকো যুক্তরাষ্ট্রের নিবন্ধিত কোম্পানি। আইডিআরএ জানায়, আইনানুযায়ী বাধ্যতামূলক পরিশোধিত মূলধনই আলিকোর মুনাফা থেকে কেটে রাখা হয়েছে। তা ছাড়া আগামী দুই বছরের মধ্যে কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ১৫০ কোটি টাকায় উন্নীত করতে হবে। ভবিষ্যতে তা-ও কোম্পানিটির মুনাফা থেকেই কেটে রাখা হবে। আইডিআরএ সূত্রমতে, ২০০০ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত আলিকো ৫০০ কোটি টাকার সমপরিমাণ ডলার মুনাফা বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠিয়েছে। ২০১০ সালের মোট মুনাফা থেকে ৪০ কোটি ৮৬ লাখ ৮২ হাজার টাকা পাঠানোর জন্য ২০১১ সালের নভেম্বরে এবং ২০১১ সালের মোট মুনাফা থেকে ৫৭ কোটি ৬৫ লাখ টাকা পাঠানোর জন্য ২০১২ সালের মার্চে আইডিআরএর কাছে ভিন্ন দুটি আবেদন করে আলিকো। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের উইলমিংটনে অবস্থিত প্রধান কার্যালয়ে মুনাফা পাঠানোর জন্য আলিকোকে এবার ঢালাও অনুমতি দেয়নি আইডিআরএ। সংস্থাটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সম্প্রতি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ২০১০ সালের মুনাফা থেকে ৩০ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধন কেটে রাখার পর বাকি ১০ কোটি ৮৬ লাখ ৮২ হাজার টাকা পাঠাতে পারবে আলিকো। এই সিদ্ধান্ত আলিকোকে এক চিঠিতে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে আইডিআরএ চেয়ারম্যান এম শেফাক আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘সলভেন্সি মার্জিনের জন্য আলিকোকে বিপুল পরিমাণ অর্থ জমা রাখতে হবে। সে হিসাবে ২০১১ সালের মুনাফা থেকে ২৫ শতাংশ হারে অর্থ রাখার জন্য কোম্পানিটিকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। একই কারণে পরের দুই বছরের মুনাফা থেকেও ২৫ শতাংশ হারে অর্থ জমা রাখতে হবে আলিকোকে।’ পরিশোধিত মূলধন কেটে রাখার বিষয়ে আইডিআরএর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন মেটলাইফ আলিকোর মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা ও দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের জ্যেষ্ঠ ভাইস প্রেসিডেন্ট নুরুল ইসলাম। যোগাযোগ করলে প্রথম আলোকে তিনি জানান, ‘আইনের শর্ত পূরণে ৩০ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধন কেটে রাখায় আমরা নাখোশ নই। তবে অনুরোধ করেছিলাম ২০১১ সালের মুনাফা থেকে রাখার জন্য। আইডিআরএ রেখেছে ২০১০ সালের মুনাফা থেকে।’ বিমা আইন অনুসারে বাংলাদেশের বাইরে থেকে তহবিল স্থানান্তরের মাধ্যমে বাংলাদেশে টাকা জমা করার কথা, যা মেটলাইফ আলিকো করেনি। এ বিষয়ে ব্যাখ্যা জানতে চাইলে আইডিআরএর সদস্য নবগোপাল বণিক প্রথম আলোকে বলেন, ‘মুনাফা যা দেশের বাইরে নিয়ে যেত, তা থেকে একটা অংশ কেটে রাখা হয়েছে। এটা কোনো সমস্যা নয়।’ এদিকে অর্থ মন্ত্রণালয়কে প্রতিবেদন-সংবলিত একটি চিঠি পাঠিয়েছে আইডিআরএ। এতে বলা হয়, ব্যবসা করতে আলিকো এক পয়সাও বাংলাদেশে নিয়ে আসেনি। কোটি কোটি ডলার মুনাফা নিয়ে গেলেও বিমা খাতে দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে কোনো ভূমিকা রাখছে না কোম্পানিটি। আর এটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত। অথচ বাংলাদেশে পুঁজিবাজারের বাইরে কোম্পানিটি।