প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিওর মাধ্যমে সংগৃহীত টাকা সহযোগী কোম্পানিতে বিনিয়োগের সুযোগ পুনর্বহাল করা হয়েছে।
সম্প্রতি পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর আগে গত বছর কমিশনের ৪০১তম সভায় এসইসি আইপিওর টাকা সহযোগী (সাবসিডিয়ারি) ও একই গ্রুপের স্বতন্ত্র অন্য কোম্পানিতে (সিস্টার কনসার্ন) বিনিয়োগ করতে পারবে না বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অর্থাৎ যে কোম্পানি বাজারে তালিকাভুক্ত হবে, আইপিওর অর্থ কেবল সেই কোম্পানিতেই বিনিয়োগ করতে হবে। এর ফলে বেশকিছু কোম্পানির আইপিও প্রস্তাব আটকে যায়।
এ প্রেক্ষিতে গত মার্চ মাসে এসইসি দুই সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে। কমিটিকে আইপিওর টাকা কোন কোন খাতে ব্যবহার করা যাবে, এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবসহ কমিশনের কাছে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়।
এসইসির নির্বাহী পরিচালক ফরহাদ আহমেদ এবং এ টি এম তারিকুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত কমিটি সম্প্রতি কমিশনের কাছে তাদের প্রতিবেদন দাখিল করে। কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে কমিশন এরই মধ্যে তাদের আগের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে আইপিওর টাকা সহযোগী বা একই গ্রুপের অন্য কোম্পানিতে বিনিয়োগের সুযোগ পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যদি আইপিওর টাকা সহযোগী বা একই গ্রুপের অপর প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের সুযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়, তাহলে সেটি নতুন কোম্পানি বাজারে আসার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে। একই সঙ্গে তা তালিকাভুক্ত কোম্পানির ব্যবসা সম্প্রসারণ বা প্রবৃদ্ধির পথেও বাধা হয়ে দাঁড়াবে।
পাশাপাশি কমিটি আইপিওর টাকার যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে আরও কয়েকটি সুপারিশ তুলে ধরে। কমিটি বলেছে, যদি কোনো তালিকাভুক্ত কোম্পানি আইপিওর টাকা তার সহযোগী প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করে থাকে, তাহলে সহযোগী ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মকাণ্ডও নিয়ন্ত্রক সংস্থার তদারকির আওতায় থাকবে।
যদি সহযোগী প্রতিষ্ঠানটি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত না থাকে, তার পরও নিয়ন্ত্রক সংস্থার নিয়ন্ত্রণ থাকবে ওই প্রতিষ্ঠানের ওপর। একইভাবে যদি সহযোগী প্রতিষ্ঠানের কোনো ব্যবসায়িক সাফল্য, পরিকল্পনা বা পরিবর্তন, যা তালিকাভুক্ত মূল কোম্পানির শেয়ারের দামকে প্রভাবিত করবে, সেসব তথ্য বা পরিবর্তনকেও মূল্য সংবেদনশীল তথ্য হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
এরই মধ্যে কমিশন সভায় এসব সুপারিশও নেওয়া হয়েছে। ফলে তালিকাভুক্ত নয়, এমন কোনো কোম্পানিতে যদি তালিকাভুক্ত কোম্পানির কোনো বিনিয়োগ থাকে, তাহলে ওই কোম্পানির গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও এখন থেকে মূল্য সংবেদনশীল তথ্য হিসেবে বিবেচনা হবে। সেই সঙ্গে সহযোগী কোম্পানির কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রক সংস্থা এসইসির তদারকির আওতায় থাকবে।
দীর্ঘদিনের প্রচলিত বিধান অনুযায়ী, আইপিও প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সংগৃহীত টাকা অনেক সময় কোম্পানিগুলো তাদের সহযোগী ও একই গ্রুপভুক্ত স্বতন্ত্র অন্য কোম্পানিতে বিনিয়োগ করত।
প্রচলিত এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে তালিকাভুক্ত অনেক কোম্পানি আইপিওর টাকা সহযোগী কোম্পানিতে (যেগুলো বাজারে তালিকাভুক্ত নয়) বিনিয়োগের নামে নানাভাবে অপব্যবহার করেছে। এতে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
তালিকাভুক্ত কোম্পানির ব্যবসা সম্প্রসারণ বা ব্যবসায়িক অগ্রগতির সুযোগ তৈরির জন্য মূলত সহযোগী কোম্পানিতে বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়া হয়। বাংলাদেশের বাস্তবতায় এই সুযোগের ব্যাপক অপব্যবহার হয়েছে ইতিপূর্বে। এ কারণে বর্তমান কমিশন দায়িত্ব গ্রহণের পর সেই অপব্যবহার রোধে আইপিওর টাকা সহযোগী কোম্পানিতে বিনিয়োগের সুযোগ না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
সম্প্রতি পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর আগে গত বছর কমিশনের ৪০১তম সভায় এসইসি আইপিওর টাকা সহযোগী (সাবসিডিয়ারি) ও একই গ্রুপের স্বতন্ত্র অন্য কোম্পানিতে (সিস্টার কনসার্ন) বিনিয়োগ করতে পারবে না বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অর্থাৎ যে কোম্পানি বাজারে তালিকাভুক্ত হবে, আইপিওর অর্থ কেবল সেই কোম্পানিতেই বিনিয়োগ করতে হবে। এর ফলে বেশকিছু কোম্পানির আইপিও প্রস্তাব আটকে যায়।
এ প্রেক্ষিতে গত মার্চ মাসে এসইসি দুই সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে। কমিটিকে আইপিওর টাকা কোন কোন খাতে ব্যবহার করা যাবে, এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবসহ কমিশনের কাছে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়।
এসইসির নির্বাহী পরিচালক ফরহাদ আহমেদ এবং এ টি এম তারিকুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত কমিটি সম্প্রতি কমিশনের কাছে তাদের প্রতিবেদন দাখিল করে। কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে কমিশন এরই মধ্যে তাদের আগের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে আইপিওর টাকা সহযোগী বা একই গ্রুপের অন্য কোম্পানিতে বিনিয়োগের সুযোগ পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যদি আইপিওর টাকা সহযোগী বা একই গ্রুপের অপর প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের সুযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়, তাহলে সেটি নতুন কোম্পানি বাজারে আসার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে। একই সঙ্গে তা তালিকাভুক্ত কোম্পানির ব্যবসা সম্প্রসারণ বা প্রবৃদ্ধির পথেও বাধা হয়ে দাঁড়াবে।
পাশাপাশি কমিটি আইপিওর টাকার যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে আরও কয়েকটি সুপারিশ তুলে ধরে। কমিটি বলেছে, যদি কোনো তালিকাভুক্ত কোম্পানি আইপিওর টাকা তার সহযোগী প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করে থাকে, তাহলে সহযোগী ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মকাণ্ডও নিয়ন্ত্রক সংস্থার তদারকির আওতায় থাকবে।
যদি সহযোগী প্রতিষ্ঠানটি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত না থাকে, তার পরও নিয়ন্ত্রক সংস্থার নিয়ন্ত্রণ থাকবে ওই প্রতিষ্ঠানের ওপর। একইভাবে যদি সহযোগী প্রতিষ্ঠানের কোনো ব্যবসায়িক সাফল্য, পরিকল্পনা বা পরিবর্তন, যা তালিকাভুক্ত মূল কোম্পানির শেয়ারের দামকে প্রভাবিত করবে, সেসব তথ্য বা পরিবর্তনকেও মূল্য সংবেদনশীল তথ্য হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
এরই মধ্যে কমিশন সভায় এসব সুপারিশও নেওয়া হয়েছে। ফলে তালিকাভুক্ত নয়, এমন কোনো কোম্পানিতে যদি তালিকাভুক্ত কোম্পানির কোনো বিনিয়োগ থাকে, তাহলে ওই কোম্পানির গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও এখন থেকে মূল্য সংবেদনশীল তথ্য হিসেবে বিবেচনা হবে। সেই সঙ্গে সহযোগী কোম্পানির কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রক সংস্থা এসইসির তদারকির আওতায় থাকবে।
দীর্ঘদিনের প্রচলিত বিধান অনুযায়ী, আইপিও প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সংগৃহীত টাকা অনেক সময় কোম্পানিগুলো তাদের সহযোগী ও একই গ্রুপভুক্ত স্বতন্ত্র অন্য কোম্পানিতে বিনিয়োগ করত।
প্রচলিত এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে তালিকাভুক্ত অনেক কোম্পানি আইপিওর টাকা সহযোগী কোম্পানিতে (যেগুলো বাজারে তালিকাভুক্ত নয়) বিনিয়োগের নামে নানাভাবে অপব্যবহার করেছে। এতে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
তালিকাভুক্ত কোম্পানির ব্যবসা সম্প্রসারণ বা ব্যবসায়িক অগ্রগতির সুযোগ তৈরির জন্য মূলত সহযোগী কোম্পানিতে বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়া হয়। বাংলাদেশের বাস্তবতায় এই সুযোগের ব্যাপক অপব্যবহার হয়েছে ইতিপূর্বে। এ কারণে বর্তমান কমিশন দায়িত্ব গ্রহণের পর সেই অপব্যবহার রোধে আইপিওর টাকা সহযোগী কোম্পানিতে বিনিয়োগের সুযোগ না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।