অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে মানুষের কিডনি হাতিয়ে নেওয়ার কাজে জড়িত দালাল চক্রের স্থানীয় প্রধানসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাতভর জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার কয়েকটি গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতেরা হলেন—উপজেলার বহুতি গ্রামের গোলাম মোস্তফা ও আবদুর রহিম ওরফে ফোরকান এবং বহুতি মাদ্রাসার নৈশপ্রহরী আবদুস সাত্তার। গ্রেপ্তারকৃতদের আজ দুপুরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি করতে জয়পুরহাটের পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হক তাঁর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন।
কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফজলুল করিম প্রথম আলোকে জানান, উপজেলার কয়েকটি গ্রামে কিডনি বেচাকেনা নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার হওয়ায় তা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরে আসে। এরপর কিডনি ব্যবসায়ী দালাল চক্রকে ধরতে ওই এলাকায় গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়। গোয়েন্দা তথ্যে পুলিশ নিশ্চিত হয়, স্থানীয় ৮-১০ জন এবং ঢাকার কয়েকজন দালাল অভাবীদের অর্থের টোপ দিয়ে কয়েক বছর ধরে কিডনি হাতিয়ে নেওয়ার এ তত্পরতা চালিয়ে আসছে। এ দালাল চক্রকে ধরতে পুলিশ গতকাল সন্ধ্যা থেকে রাতভর বিভিন্ন গ্রামে অভিযান চালায়। অভিযানে পুলিশের হাতে প্রথমে স্থানীয় দালাল চক্রের সদস্য উপজেলার বহুতি গ্রামের ফ্লেক্সিলোড ব্যবসায়ী গোলাম মোস্তফা ধরা পড়েন। তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এ চক্রের হোতা ও নৈশপ্রহরী আবদুস সাত্তারকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ধরা পড়ে দালাল চক্রের আরেক সদস্য ফোরকান। অভিযানের খবর পেয়ে অন্য দালালেরা গা ঢাকা দেয়।
গ্রেপ্তারকৃতেরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে, এ এলাকার প্রায় ২০০ অভাবী মানুষ ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে গিয়ে কিডনি বিক্রি করেছেন। পুলিশ এ পর্যন্ত ৫০-৬০ জন কিডনি বিক্রেতার নাম-পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছেন। তবে গ্রেপ্তারকৃতেরা জানান, অনেকেই আসল পরিচয় গোপন করে ভুয়া নাম-ঠিকানা ব্যবহার করে কিডনি বিক্রি করেছে। বারডেম, কিডনি ফাউন্ডেশন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল, ইউনাইটেড হাসপাতাল এমনকি বিদেশে গিয়েও কিডনি প্রতিস্থাপনের অস্ত্রোপচার করেছেন।
ওসি ফজলুল করিম বলেন, গ্রেপ্তারকৃত দালাল চক্রের তিন সদস্য ও গা ঢাকা দেওয়া কয়েকজনসহ এ চক্রের শীর্ষ নেতা ঢাকার তারেক, সাইফুল ও রানার বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে।
গ্রেপ্তারকৃতেরা হলেন—উপজেলার বহুতি গ্রামের গোলাম মোস্তফা ও আবদুর রহিম ওরফে ফোরকান এবং বহুতি মাদ্রাসার নৈশপ্রহরী আবদুস সাত্তার। গ্রেপ্তারকৃতদের আজ দুপুরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি করতে জয়পুরহাটের পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হক তাঁর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন।
কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফজলুল করিম প্রথম আলোকে জানান, উপজেলার কয়েকটি গ্রামে কিডনি বেচাকেনা নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার হওয়ায় তা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরে আসে। এরপর কিডনি ব্যবসায়ী দালাল চক্রকে ধরতে ওই এলাকায় গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়। গোয়েন্দা তথ্যে পুলিশ নিশ্চিত হয়, স্থানীয় ৮-১০ জন এবং ঢাকার কয়েকজন দালাল অভাবীদের অর্থের টোপ দিয়ে কয়েক বছর ধরে কিডনি হাতিয়ে নেওয়ার এ তত্পরতা চালিয়ে আসছে। এ দালাল চক্রকে ধরতে পুলিশ গতকাল সন্ধ্যা থেকে রাতভর বিভিন্ন গ্রামে অভিযান চালায়। অভিযানে পুলিশের হাতে প্রথমে স্থানীয় দালাল চক্রের সদস্য উপজেলার বহুতি গ্রামের ফ্লেক্সিলোড ব্যবসায়ী গোলাম মোস্তফা ধরা পড়েন। তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এ চক্রের হোতা ও নৈশপ্রহরী আবদুস সাত্তারকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ধরা পড়ে দালাল চক্রের আরেক সদস্য ফোরকান। অভিযানের খবর পেয়ে অন্য দালালেরা গা ঢাকা দেয়।
গ্রেপ্তারকৃতেরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে, এ এলাকার প্রায় ২০০ অভাবী মানুষ ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে গিয়ে কিডনি বিক্রি করেছেন। পুলিশ এ পর্যন্ত ৫০-৬০ জন কিডনি বিক্রেতার নাম-পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছেন। তবে গ্রেপ্তারকৃতেরা জানান, অনেকেই আসল পরিচয় গোপন করে ভুয়া নাম-ঠিকানা ব্যবহার করে কিডনি বিক্রি করেছে। বারডেম, কিডনি ফাউন্ডেশন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল, ইউনাইটেড হাসপাতাল এমনকি বিদেশে গিয়েও কিডনি প্রতিস্থাপনের অস্ত্রোপচার করেছেন।
ওসি ফজলুল করিম বলেন, গ্রেপ্তারকৃত দালাল চক্রের তিন সদস্য ও গা ঢাকা দেওয়া কয়েকজনসহ এ চক্রের শীর্ষ নেতা ঢাকার তারেক, সাইফুল ও রানার বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে।