শেয়ারবাজার :::: ক্ষমতাসীন মহাজোটকে মধ্যবর্তী নির্বাচনে বাধ্য করতে লাগাতার আন্দোলনে যাচ্ছে বিএনপি। এরই অংশ হিসেবে আগামী ৫ জুনের পর চলতি মাসেই আরো এক দফা হরতাল ডাকার চিন্তা করছে দলটির হাই কমান্ড।
এরপর পর্যায়ক্রমে আরো হরতাল, অবরোধ, ঘেরাও, লঙ মার্চ, রোড মার্চ, এমনকি থাইল্যান্ডের ‘রেড শার্ট মুভমেন্ট’ এর আদলেও আন্দোলন জমানোর পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
দলের নীতি নীর্ধারণী পর্যায়ের নেতারা বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, চার দলীয় জোটের শরিক ও সমমনা দল ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষকে নিয়েই লাগাতার আন্দোলন শুরু করতে চায় বিএনপি। মাঠে নামাতে চায় পুঁজিবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারী, এনজিও প্রতিনিধি আর নানা কারণে বিদেশ ফেরত শ্রমিকদেরও।
এজন্য দলটির পক্ষ থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও শ্রেণী-পেশার মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ চলছে। খোদ চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অনেকের সঙ্গে যোগাযোগ চালাচ্ছেন।
এছাড়া দলীয় প্রধান খালেদা জিয়া শিগগিরই গুলশানে তার রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক মতবিনিময় করবেন বলে জানিয়েছে দলীয় সূত্র।
সূত্র আরো জানিয়েছে, সম্ভাব্য সকল উপায়ে সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের মধ্যে লাগাতার আন্দোলনের পক্ষে প্রবল জনমত তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন খালেদা জিয়া। পাশাপাশি বড় ধরনের, এমনকি প্রয়োজনে লাগাতার আন্দোলনের জন্য জেলা ও থানা পর্যায়ের নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য বাংলানিউজকে বলেন, ‘ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) তার সাম্প্রতিক যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র সফরেও সরকার পতনের আন্দোলন নিয়ে প্রবাসী নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। প্রবাসেও বিক্ষোভ আর সমাবেশের মতো কর্মসূচি পালনের জন্য পস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।’
এ প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বাংলানিউজকে বলেন, ‘সরকার তত্ত্বাবধায়ক পদ্ধতি বাতিল করে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখার ষড়যন্ত্র করছে। এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয়ে গেছে। এ আন্দোলন কোথায় গিয়ে থামবে তা এখনই বলা মুশকিল। আমাদের কর্মসূচির ধারাবাহিকতা এক সময় লাগাতার আন্দোলনে পরিণত হতে পারে।’
তিনি আরো বলেন, ‘বিএনপি বহুদলীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। তাই গণতন্ত্রকামী দলগুলোর সঙ্গে সবসময়ই যোগাযোগ রাখছে। আমরা জনগণ ও দেশের জন্য যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত হচ্ছি।’
স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, ‘এ সরকারের পতনের জন্য যে ধরনের দরকার সে ধরনেরই আন্দোলন করবে বিএনপি। আমাদের আর পিছিয়ে যাওয়ার কোন উপায় নেই। দেশ, জাতি ও দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য এ সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবো।
স্থায়ী কমিটির আর এক সদস্য সাবেক সেনাপ্রধান লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ‘সরকার দেশকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এর শেষ কোথায় গিয়ে হবে- তা এ মুহূর্তে বলা মুশকিল। তবে দেশের পরিস্থিতি খুব খারাপ দিকে যাচ্ছে।’
‘আগামীতে পরিণতি খুব ভয়াবহ হবে’ বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘বিএনপি গণতন্ত্রের পক্ষে ও স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে সব সময়ই আন্দোলন করছে। করে যাবে।’
জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সভাপতি শফিউল আলম প্রধান বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমাদের আন্দোলন শুরু হয়েছে। এ সরকারের পতনের জন্য আমরা লাগাতার আন্দোলন করবো।’
প্রসঙ্গত, দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতি, পুঁজিবাজার কারসাজি, ভারতের সঙ্গে করা জাতীয় স্বার্থবিরোধী চুক্তি, খালেদা জিয়াকে সেনানিবাসের বাসভবন থেকে উচ্ছেদ, তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোর নামে মামলা, দলীয় নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা-মামলা-নির্যাতন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, একতরফাভাবে সংবিধান সংশোধনের উদ্যোগ ইত্যাদি ইস্যুতে বেশ আগে থেকেই আন্দোলন চালিয়ে আসছে বিএনপি। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিলের ঘোষণা দেওয়ার পর বিএনপি তাদের আন্দোলন আরো বেগবান করে তোলে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিলের প্রতিবাদে দলটির পক্ষ থেকে আগামী ৫ জুন দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা হরতাল আহবান করা হয়েছে। একই দিন হরতাল ডেকেছে চার দলীয় জোটে বিএনপির অন্যতম শরিক জামায়াতে ইসলামী ও খেলাফত মজলিশ।
এদিকে ৫ জুনের হরতালকে লাগাতার আন্দোলনেরই প্রাক প্রস্তুতি বলে আলোচনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক পরিম-লে।
এরপর পর্যায়ক্রমে আরো হরতাল, অবরোধ, ঘেরাও, লঙ মার্চ, রোড মার্চ, এমনকি থাইল্যান্ডের ‘রেড শার্ট মুভমেন্ট’ এর আদলেও আন্দোলন জমানোর পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
দলের নীতি নীর্ধারণী পর্যায়ের নেতারা বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, চার দলীয় জোটের শরিক ও সমমনা দল ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষকে নিয়েই লাগাতার আন্দোলন শুরু করতে চায় বিএনপি। মাঠে নামাতে চায় পুঁজিবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারী, এনজিও প্রতিনিধি আর নানা কারণে বিদেশ ফেরত শ্রমিকদেরও।
এজন্য দলটির পক্ষ থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও শ্রেণী-পেশার মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ চলছে। খোদ চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অনেকের সঙ্গে যোগাযোগ চালাচ্ছেন।
এছাড়া দলীয় প্রধান খালেদা জিয়া শিগগিরই গুলশানে তার রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক মতবিনিময় করবেন বলে জানিয়েছে দলীয় সূত্র।
সূত্র আরো জানিয়েছে, সম্ভাব্য সকল উপায়ে সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের মধ্যে লাগাতার আন্দোলনের পক্ষে প্রবল জনমত তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন খালেদা জিয়া। পাশাপাশি বড় ধরনের, এমনকি প্রয়োজনে লাগাতার আন্দোলনের জন্য জেলা ও থানা পর্যায়ের নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য বাংলানিউজকে বলেন, ‘ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) তার সাম্প্রতিক যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র সফরেও সরকার পতনের আন্দোলন নিয়ে প্রবাসী নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। প্রবাসেও বিক্ষোভ আর সমাবেশের মতো কর্মসূচি পালনের জন্য পস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।’
এ প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বাংলানিউজকে বলেন, ‘সরকার তত্ত্বাবধায়ক পদ্ধতি বাতিল করে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখার ষড়যন্ত্র করছে। এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয়ে গেছে। এ আন্দোলন কোথায় গিয়ে থামবে তা এখনই বলা মুশকিল। আমাদের কর্মসূচির ধারাবাহিকতা এক সময় লাগাতার আন্দোলনে পরিণত হতে পারে।’
তিনি আরো বলেন, ‘বিএনপি বহুদলীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। তাই গণতন্ত্রকামী দলগুলোর সঙ্গে সবসময়ই যোগাযোগ রাখছে। আমরা জনগণ ও দেশের জন্য যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত হচ্ছি।’
স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, ‘এ সরকারের পতনের জন্য যে ধরনের দরকার সে ধরনেরই আন্দোলন করবে বিএনপি। আমাদের আর পিছিয়ে যাওয়ার কোন উপায় নেই। দেশ, জাতি ও দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য এ সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবো।
স্থায়ী কমিটির আর এক সদস্য সাবেক সেনাপ্রধান লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ‘সরকার দেশকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এর শেষ কোথায় গিয়ে হবে- তা এ মুহূর্তে বলা মুশকিল। তবে দেশের পরিস্থিতি খুব খারাপ দিকে যাচ্ছে।’
‘আগামীতে পরিণতি খুব ভয়াবহ হবে’ বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘বিএনপি গণতন্ত্রের পক্ষে ও স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে সব সময়ই আন্দোলন করছে। করে যাবে।’
জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সভাপতি শফিউল আলম প্রধান বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমাদের আন্দোলন শুরু হয়েছে। এ সরকারের পতনের জন্য আমরা লাগাতার আন্দোলন করবো।’
প্রসঙ্গত, দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতি, পুঁজিবাজার কারসাজি, ভারতের সঙ্গে করা জাতীয় স্বার্থবিরোধী চুক্তি, খালেদা জিয়াকে সেনানিবাসের বাসভবন থেকে উচ্ছেদ, তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোর নামে মামলা, দলীয় নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা-মামলা-নির্যাতন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, একতরফাভাবে সংবিধান সংশোধনের উদ্যোগ ইত্যাদি ইস্যুতে বেশ আগে থেকেই আন্দোলন চালিয়ে আসছে বিএনপি। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিলের ঘোষণা দেওয়ার পর বিএনপি তাদের আন্দোলন আরো বেগবান করে তোলে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিলের প্রতিবাদে দলটির পক্ষ থেকে আগামী ৫ জুন দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা হরতাল আহবান করা হয়েছে। একই দিন হরতাল ডেকেছে চার দলীয় জোটে বিএনপির অন্যতম শরিক জামায়াতে ইসলামী ও খেলাফত মজলিশ।
এদিকে ৫ জুনের হরতালকে লাগাতার আন্দোলনেরই প্রাক প্রস্তুতি বলে আলোচনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক পরিম-লে।