অর্থনিতি :::: দেশীয় শিল্প সুরক্ষা এবং ভোক্তার স্বার্থ বিবেচনায় ১৮টি পণ্যের ওপর শুল্ক হ্রাস বা বৃদ্ধির সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন। কমিশন মনে করছে, এসব পণ্যে শুল্ক হার পুনর্বিন্যাস করা হলে সংশ্লিষ্ট দেশীয় খাতগুলো আরও সুসংহত হবে, স্থানীয় শিল্প শক্তিশালী হবে।
আগামী ২০১০-১১ অর্থবছরের বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য সম্প্রতি এ-সংক্রান্ত সুপারিশমালা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) জমা দিয়েছে ট্যারিফ কমিশন।
ট্যারিফ কমিশনের প্রস্তাবনা অনুযায়ী, হাসপাতালের আসবাব আমদানিতে বিদ্যমান শুল্ক হার ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১২ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। কমিশনের যুক্তি হলো, দেশে বর্তমানে এক হাজারের বেশি হাসপাতালের আসবাব তৈরির কারখানা রয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো ভালো মানের আসবাবও তৈরি করছে। তাই হাসপাতালের আসবাবের আমদানি শুল্ক বাড়ানো হলে স্বাস্থ্য খাতে কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না।
টুথপিক আমদানির জন্য এইচএস কোড নির্দিষ্টকরণের সুপারিশ করেছে ট্যারিফ কমিশন। কেননা, মিথ্যা ঘোষণার মাধ্যমে চীন থেকে টুথপিক আমদানি বেড়ে যাওয়ার ফলে শুল্ক ফাঁকি দেওয়া হচ্ছে। এতে স্থানীয় শিল্প অসম প্রতিযোগিতার মুখে পড়ছে।
একইভাবে তেঁতুলের জুসকে অন্যান্য জুস থেকে আলাদা করে স্বতন্ত্র এইচএস কোড নির্ধারণ ও এর ভিত্তিতে শুল্কায়নের সুপারিশ করা হয়েছে। কমিশন বলছে, তেঁতুলের জুস মানবদেহে রক্তের কোলেস্টরেল কমাতে সহায়তা করে এবং হূদ্যন্ত্রের সবলতা বৃদ্ধি করে।
ট্যারিফ কমিশন পিভিসি পাইপ প্রস্তুতকারী দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে আগের মতো আগামী দুই বছর টার্নওভার করের আওতায় আনার সুপারিশ করেছে। এই সুবিধা পাওয়ার জন্য শর্ত হিসেবে প্রতিষ্ঠানগুলোকে পিভিসি প্রস্তুতকারক সমিতির সদস্য হতে হবে।
ফাইবার অপটিক কেবল উৎপাদনে কাঁচামালের শুল্ক প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হয়েছে। এর স্বপক্ষে যুক্তিটা এ রকম যে ক্রমহ্রাসমান ল্যান্ডফোনের চাহিদার কারণে টেলিফোনের তারের প্রয়োজনীয়তা কমেছে। এমন প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ কেবল শিল্প লিমিটেড ভূ-উপরিস্থ তারের বদলে ফাইবার অপটিক কেবল উৎপাদনের পরিকল্পনা করছে। তাই উৎপাদনের খরচ কমাতে সংশ্লিষ্ট কাঁচামালের ওপর শুল্ক প্রত্যাহার করা দরকার।
বাজারে সরিষার তেলের দাম কমাতে এর কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহূত রেপ সিড ও ক্যানোলা সিড আমদানিকারকদের অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহার করা প্রয়োজন বলেও মনে করে ট্যারিফ কমিশন।
বাংলাদেশে বলপেনের কালি উৎপাদনকারী কোনো প্রতিষ্ঠান নেই। ফলে তা আমদানি করতে হয়। তবে শিক্ষার উপরকরণ হিসেবে বলপেনের কালির ওপর আরোপিত শুল্ক ১২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করার সুপারিশ করেছে ট্যারিফ কমিশন।
আবার বিশ্ববাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয় বাজারে দাম স্থিতিশীল রাখতে বিস্কুটশিল্পের কাঁচামাল (আরবিডি পাম কার্নেল অয়েল) এবং ব্যাটারিশিল্পের ম্যাংগানিজ ডাই-অক্সাইড জিংক ক্যালটসের ওপর শুল্ক কমানোর প্রস্তাব রয়েছে।
চশমার প্লাস্টিক ও মেটাল ফ্রেমের ওপর পিসপ্রতি শুল্ক যথাক্রমে ২০ টাকা ও ৩০ টাকা ধার্য করার প্রস্তাব করেছে ট্যারিফ কমিশন। বর্তমানে এই ফ্রেম আমদানি করতে যথাক্রমে এক মার্কিন ডলার ও দেড় মার্কিন ডলার শুল্ক দিতে হয়। তবে সানগ্লাসের ফ্রেমের ওপর বাড়তি ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের সুপারিশ করা হয়েছে।
কমিশন রঙিন ঢেউটিন আমদানির ক্ষেত্রে আলাদা এইচএস কোডের প্রস্তাব করেছে। একই সঙ্গে শুল্ক হার ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১২ শতাংশে নামানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
আগামী ২০১০-১১ অর্থবছরের বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য সম্প্রতি এ-সংক্রান্ত সুপারিশমালা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) জমা দিয়েছে ট্যারিফ কমিশন।
ট্যারিফ কমিশনের প্রস্তাবনা অনুযায়ী, হাসপাতালের আসবাব আমদানিতে বিদ্যমান শুল্ক হার ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১২ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। কমিশনের যুক্তি হলো, দেশে বর্তমানে এক হাজারের বেশি হাসপাতালের আসবাব তৈরির কারখানা রয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো ভালো মানের আসবাবও তৈরি করছে। তাই হাসপাতালের আসবাবের আমদানি শুল্ক বাড়ানো হলে স্বাস্থ্য খাতে কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না।
টুথপিক আমদানির জন্য এইচএস কোড নির্দিষ্টকরণের সুপারিশ করেছে ট্যারিফ কমিশন। কেননা, মিথ্যা ঘোষণার মাধ্যমে চীন থেকে টুথপিক আমদানি বেড়ে যাওয়ার ফলে শুল্ক ফাঁকি দেওয়া হচ্ছে। এতে স্থানীয় শিল্প অসম প্রতিযোগিতার মুখে পড়ছে।
একইভাবে তেঁতুলের জুসকে অন্যান্য জুস থেকে আলাদা করে স্বতন্ত্র এইচএস কোড নির্ধারণ ও এর ভিত্তিতে শুল্কায়নের সুপারিশ করা হয়েছে। কমিশন বলছে, তেঁতুলের জুস মানবদেহে রক্তের কোলেস্টরেল কমাতে সহায়তা করে এবং হূদ্যন্ত্রের সবলতা বৃদ্ধি করে।
ট্যারিফ কমিশন পিভিসি পাইপ প্রস্তুতকারী দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে আগের মতো আগামী দুই বছর টার্নওভার করের আওতায় আনার সুপারিশ করেছে। এই সুবিধা পাওয়ার জন্য শর্ত হিসেবে প্রতিষ্ঠানগুলোকে পিভিসি প্রস্তুতকারক সমিতির সদস্য হতে হবে।
ফাইবার অপটিক কেবল উৎপাদনে কাঁচামালের শুল্ক প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হয়েছে। এর স্বপক্ষে যুক্তিটা এ রকম যে ক্রমহ্রাসমান ল্যান্ডফোনের চাহিদার কারণে টেলিফোনের তারের প্রয়োজনীয়তা কমেছে। এমন প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ কেবল শিল্প লিমিটেড ভূ-উপরিস্থ তারের বদলে ফাইবার অপটিক কেবল উৎপাদনের পরিকল্পনা করছে। তাই উৎপাদনের খরচ কমাতে সংশ্লিষ্ট কাঁচামালের ওপর শুল্ক প্রত্যাহার করা দরকার।
বাজারে সরিষার তেলের দাম কমাতে এর কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহূত রেপ সিড ও ক্যানোলা সিড আমদানিকারকদের অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহার করা প্রয়োজন বলেও মনে করে ট্যারিফ কমিশন।
বাংলাদেশে বলপেনের কালি উৎপাদনকারী কোনো প্রতিষ্ঠান নেই। ফলে তা আমদানি করতে হয়। তবে শিক্ষার উপরকরণ হিসেবে বলপেনের কালির ওপর আরোপিত শুল্ক ১২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করার সুপারিশ করেছে ট্যারিফ কমিশন।
আবার বিশ্ববাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয় বাজারে দাম স্থিতিশীল রাখতে বিস্কুটশিল্পের কাঁচামাল (আরবিডি পাম কার্নেল অয়েল) এবং ব্যাটারিশিল্পের ম্যাংগানিজ ডাই-অক্সাইড জিংক ক্যালটসের ওপর শুল্ক কমানোর প্রস্তাব রয়েছে।
চশমার প্লাস্টিক ও মেটাল ফ্রেমের ওপর পিসপ্রতি শুল্ক যথাক্রমে ২০ টাকা ও ৩০ টাকা ধার্য করার প্রস্তাব করেছে ট্যারিফ কমিশন। বর্তমানে এই ফ্রেম আমদানি করতে যথাক্রমে এক মার্কিন ডলার ও দেড় মার্কিন ডলার শুল্ক দিতে হয়। তবে সানগ্লাসের ফ্রেমের ওপর বাড়তি ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের সুপারিশ করা হয়েছে।
কমিশন রঙিন ঢেউটিন আমদানির ক্ষেত্রে আলাদা এইচএস কোডের প্রস্তাব করেছে। একই সঙ্গে শুল্ক হার ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১২ শতাংশে নামানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।