শেয়ারবাজার :::: স্কয়ার হাসপাতালে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকা পপগুরু আজম খানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বসছে মেডিকেল বোর্ড।
শনিবার বিকাল ৩টায় ছয় সদস্যের ওই মেডিকেল বোর্ড বৈঠক করবে বলে স্কয়ার হাসপাতালে আজম খানের চিকিৎসা ব্যবস্থার তদারককারী ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ কামরুজ্জামান চৌধুরী জানিয়েছেন।
এদিকে পপগুরুর অসুস্থতার খবরে হাসপাতালে ভিড় জমিয়েছে তার ভক্তকূল। রয়েছে আত্মীয়-স্বজনরাও।
আজম খানের মেয়ে ইমা খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন, সকালে কিছু সময়ের জন্য সংজ্ঞা ফিরেছিলো তার বাবার।
"সাড়ে ১০টার দিকে কিছু ক্ষণের জন্য জ্ঞান ফিরে পেয়েছিলেন তিনি। কয়েকটি শব্দও উচ্চারণ করেছিলেন তিনি। আমার ছোট বোন তখন পাশে ছিলো। তবে বাবা কী বলেছেন, তা সে বুঝতে পারেনি", বলেন ইমা।
ব্যান্ড দল উচ্চারণ গড়ার মধ্য দিয়ে সঙ্গীতাঙ্গনে আত্মপ্রকাশকারী আজম খান ২০১০ সাল থেকে মুখগহ্বরের ক্যান্সারে ভুগছেন। এজন্য দুবার তাকে সিঙ্গাপুরে নিয়েও চিকিৎসা করানো হয়।
তবে গত নভেম্বরে সিঙ্গাপুরে শেষ বারের চিকিৎসা সম্পূর্ণ না করেই আজম খান ফিরে আসেন বলে ডা. কামরুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান। তিনি বলেন, এখন তা মুখ থেকে ফুসফুস, যকৃৎ ও হাড়েও ছড়িয়ে পড়েছে।
জীবন নিয়ে উদাসীন আজম খান নিজের চিকিৎসা নিয়েও বরাবর উদাসীন ছিলেন বলে ডা. কামরুজ্জামান জানান। "আমি তাকে অনেকবার বলেছি- আপনি হাসপাতালে আসেন। কিন্তু তিনি 'আসবো-আসবো' বলে আর আসেননি", বলেন তিনি।
মুক্তিযোদ্ধা আজম খান গত ২২ মে থেকে স্কয়ার হাসপাতালে লড়ছেন মৃত্যুর সঙ্গে।
১৯৫০ সালের ২৮ ফেব্র"য়ারি ঢাকার আজিমপুরে জন্ম নেওয়া মাহবুবুল হক খান সঙ্গীতাঙ্গনে পরিচিত হয়ে ওঠেন আজম খান নামে।
২১ বছর বয়সে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া এ সঙ্গীত শিল্পী স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে 'উচ্চারণ' ব্যান্ড দল গঠন করেন। বাংলাদেশ টেলিভিশনে তার প্রথম কনসার্ট প্রচারিত হয় ১৯৭২ সালে। ১৯৭৪-৭৫ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনে 'রেললাইনের ওই বস্তিতে' গেয়ে স্থান করে নেন বাংলার মানুষর হৃদয়ে।
বাংলাদেশে পপ সঙ্গীতের জনপ্রিয়তা আজম খানের হাত ধরেই। দেশে এ জগতে কিংবদন্তী মনে করা হয় তাকে। আজম খানের কণ্ঠে 'ওরে সালেকা, ওরো মালেকা', 'আলাল ও দুলাল', 'অনামিকা', 'অভিমানী, 'আসি আসি বলে' গানগুলো এখনো ফেরে মানুষের মুখে মুখে।
শনিবার বিকাল ৩টায় ছয় সদস্যের ওই মেডিকেল বোর্ড বৈঠক করবে বলে স্কয়ার হাসপাতালে আজম খানের চিকিৎসা ব্যবস্থার তদারককারী ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ কামরুজ্জামান চৌধুরী জানিয়েছেন।
এদিকে পপগুরুর অসুস্থতার খবরে হাসপাতালে ভিড় জমিয়েছে তার ভক্তকূল। রয়েছে আত্মীয়-স্বজনরাও।
আজম খানের মেয়ে ইমা খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন, সকালে কিছু সময়ের জন্য সংজ্ঞা ফিরেছিলো তার বাবার।
"সাড়ে ১০টার দিকে কিছু ক্ষণের জন্য জ্ঞান ফিরে পেয়েছিলেন তিনি। কয়েকটি শব্দও উচ্চারণ করেছিলেন তিনি। আমার ছোট বোন তখন পাশে ছিলো। তবে বাবা কী বলেছেন, তা সে বুঝতে পারেনি", বলেন ইমা।
ব্যান্ড দল উচ্চারণ গড়ার মধ্য দিয়ে সঙ্গীতাঙ্গনে আত্মপ্রকাশকারী আজম খান ২০১০ সাল থেকে মুখগহ্বরের ক্যান্সারে ভুগছেন। এজন্য দুবার তাকে সিঙ্গাপুরে নিয়েও চিকিৎসা করানো হয়।
তবে গত নভেম্বরে সিঙ্গাপুরে শেষ বারের চিকিৎসা সম্পূর্ণ না করেই আজম খান ফিরে আসেন বলে ডা. কামরুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান। তিনি বলেন, এখন তা মুখ থেকে ফুসফুস, যকৃৎ ও হাড়েও ছড়িয়ে পড়েছে।
জীবন নিয়ে উদাসীন আজম খান নিজের চিকিৎসা নিয়েও বরাবর উদাসীন ছিলেন বলে ডা. কামরুজ্জামান জানান। "আমি তাকে অনেকবার বলেছি- আপনি হাসপাতালে আসেন। কিন্তু তিনি 'আসবো-আসবো' বলে আর আসেননি", বলেন তিনি।
মুক্তিযোদ্ধা আজম খান গত ২২ মে থেকে স্কয়ার হাসপাতালে লড়ছেন মৃত্যুর সঙ্গে।
১৯৫০ সালের ২৮ ফেব্র"য়ারি ঢাকার আজিমপুরে জন্ম নেওয়া মাহবুবুল হক খান সঙ্গীতাঙ্গনে পরিচিত হয়ে ওঠেন আজম খান নামে।
২১ বছর বয়সে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া এ সঙ্গীত শিল্পী স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে 'উচ্চারণ' ব্যান্ড দল গঠন করেন। বাংলাদেশ টেলিভিশনে তার প্রথম কনসার্ট প্রচারিত হয় ১৯৭২ সালে। ১৯৭৪-৭৫ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনে 'রেললাইনের ওই বস্তিতে' গেয়ে স্থান করে নেন বাংলার মানুষর হৃদয়ে।
বাংলাদেশে পপ সঙ্গীতের জনপ্রিয়তা আজম খানের হাত ধরেই। দেশে এ জগতে কিংবদন্তী মনে করা হয় তাকে। আজম খানের কণ্ঠে 'ওরে সালেকা, ওরো মালেকা', 'আলাল ও দুলাল', 'অনামিকা', 'অভিমানী, 'আসি আসি বলে' গানগুলো এখনো ফেরে মানুষের মুখে মুখে।