শেয়ারবাজার দীর্ঘ
১৯ বছর পর রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন (বিএসসি) নতুন জাহাজ কেনার উদ্যোগ নিয়েছে। তবে আর্থিক সংকটের কারণে প্রথমবারের মতো জয়েন্ট ভেঞ্চারে জাহাজ কিনছে বিএসসি।
যৌথ উদ্যোগে জাহাজ ক্রয়ের বিষয়টি স্বীকার করে বিএসসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমোডর মকসুমুল কাদের বাংলানিউজকে বলেন, ‘সরকারি-বেসরকারি যৌথ অংশিদারিত্বে জাহাজ ক্রয় করে পরিচালনার সিদ্ধান্তটি আমাদের একটি ভিন্ন ট্যাকটিস। এতে বিএসসি লাভবান হবে বলে আমরা মনে করছি।’
প্রসঙ্গত যৌথভাবে জাহাজ ক্রয় এবং পরিচালনার জন্য দেশি-বিদেশি আগ্রহী প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে এক্সপ্রেশন অব ইন্টারেস্ট (ইওআই) চেয়ে গত বুধবার জাতীয় একটি দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বিএসসি। আগামী ২১ জুন হচ্ছে ইওআই বিক্রির শেষ তারিখ।
উল্লেখ্য, দু’টি লাইটারেজ ট্যাংকার, ১০টি বহুমূখী পণ্যবাহী জাহাজ এবং একটি কনটেইনার জাহাজসহ বিএসসি’র বহরে বর্তমানে জাহাজ আছে মাত্র ১৩টি।
কয়েক বছর ধরে বিএসসি আমদানিকৃত জ্বালানি তেল পরিবহনের জন্য একটি মাদার ট্যাংকার কেনার জন্য নানাভাবে চেষ্টা তদবির করলেও আর্থিক সহায়তা মেলেনি। ফলে ১৯৮২ সাল থেকে বিদেশি জাহাজ ভাড়া করে বাংলাদেশ পেট্র্রোলিয়াম কর্পোরেশনের (বিপিসি) জন্য তেল পরিবহন করছে বিএসসি। এতে বছরে সরকারকে প্রায় চার’শ কোটি টাকা ব্যয় করতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিএসসি’র কর্মকর্তারা।
এর আগে ১৯৭৭ সালে বিএসসি প্রথম ‘বাংলার নূর’ নামে একটি মাদার ট্যাংকার কিনলেও অলাভজনক বলে ১৯৮২ সালেই সেটি বিক্রি করে দেওয়া হয়।
এর আওতায় এক লাখ থেকে এক লাখ ২৫ হাজার টন ধারণক্ষমতা স¤পন্ন অনধিক ১০ বছরের পুরনো মাদার ট্যাংকার কেনা হবে। পত্রিকায় প্রকাশিত বিএসসি’র বিজ্ঞপ্তিুে জাহাজের সম্ভাব্য কোনো মূল্য উল্লেখ করা না হলেও সেটা চার থেকে পাঁচশ’ কোটি টাকা হতে পারে বলে বিএসসি’র কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে বিএসসি’র এমডি মকসুমুল কাদের বাংলানিউজকে জানান, ‘যৌথ অংশিদারিত্বে জাহাজ ক্রয় এবং পরিচালনার ক্ষেত্রে বিএসসি ৩০ শতাংশ অর্থ দেবে। বাকীটা নির্বাচিত আগ্রহী প্রতিষ্ঠান বহন করবে। একইভাবে জাহাজ পরিচালনা বাবদ লাভের ক্ষেত্রে বিএসসি পাবে ৪০ শতাংশ এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পাবে ৬০ শতাংশ।’
তবে কৌশলগত কারণে জাহাজের সম্ভাব্য মূল্য প্রকাশ করতে চাননি তিনি।
উল্লেখ্য, ১৯৭২সালে ‘বাংলার দুত’ এবং ‘বাংলার সম্পদ’ নামে দুটি জাহাজ নিয়ে যাত্রা শুরু করে বিএসসি। পরবর্তীতে বিএসসির বহরে ২৬টি জাহাজ সংযুক্ত হলেও ক্রমাগত লোকসানের মুখে বিক্রী করে দিতে হয় ১৩টি জাহাজ। সর্বশেষ ১৯৯১ সালে বিএসসি’র বহরে যুক্ত হয় এমভি বাংলার শিখা নামে একটি কার্গো জাহাজ।
পত্রিকায় প্রকাশিত মাদার ট্যাংকার কেনার জন্য প্রকাশিত ইওআই-তে বলা হয়েছে আন্তর্জাতিকভাবে জাহাজ পরিচালনা, জাহাজ ক্রয় এবং ব্যবস্থাপনায় দক্ষ এবং প্রতিষ্ঠিত যেকোনো কোম্পানি সংস্থার ঢাকার মতিঝিলস্থ অফিস, চট্টগ্রামের সল্টগোলাস্থ হেড অফিস এবং সিঙ্গাপুরে কলইয়ার শিপিং লিমিটেড কোম্পানি থেকে ইওআই ক্রয় করতে পারবেন। ২২ জুন সল্টগোলা বিএসসি ভবনে হিসাবরক্ষণ শাখার মহাব্যবস্থাপক বরাবর সেটি জমা দিতে হবে।
১৯ বছর পর রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন (বিএসসি) নতুন জাহাজ কেনার উদ্যোগ নিয়েছে। তবে আর্থিক সংকটের কারণে প্রথমবারের মতো জয়েন্ট ভেঞ্চারে জাহাজ কিনছে বিএসসি।
যৌথ উদ্যোগে জাহাজ ক্রয়ের বিষয়টি স্বীকার করে বিএসসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমোডর মকসুমুল কাদের বাংলানিউজকে বলেন, ‘সরকারি-বেসরকারি যৌথ অংশিদারিত্বে জাহাজ ক্রয় করে পরিচালনার সিদ্ধান্তটি আমাদের একটি ভিন্ন ট্যাকটিস। এতে বিএসসি লাভবান হবে বলে আমরা মনে করছি।’
প্রসঙ্গত যৌথভাবে জাহাজ ক্রয় এবং পরিচালনার জন্য দেশি-বিদেশি আগ্রহী প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে এক্সপ্রেশন অব ইন্টারেস্ট (ইওআই) চেয়ে গত বুধবার জাতীয় একটি দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বিএসসি। আগামী ২১ জুন হচ্ছে ইওআই বিক্রির শেষ তারিখ।
উল্লেখ্য, দু’টি লাইটারেজ ট্যাংকার, ১০টি বহুমূখী পণ্যবাহী জাহাজ এবং একটি কনটেইনার জাহাজসহ বিএসসি’র বহরে বর্তমানে জাহাজ আছে মাত্র ১৩টি।
কয়েক বছর ধরে বিএসসি আমদানিকৃত জ্বালানি তেল পরিবহনের জন্য একটি মাদার ট্যাংকার কেনার জন্য নানাভাবে চেষ্টা তদবির করলেও আর্থিক সহায়তা মেলেনি। ফলে ১৯৮২ সাল থেকে বিদেশি জাহাজ ভাড়া করে বাংলাদেশ পেট্র্রোলিয়াম কর্পোরেশনের (বিপিসি) জন্য তেল পরিবহন করছে বিএসসি। এতে বছরে সরকারকে প্রায় চার’শ কোটি টাকা ব্যয় করতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিএসসি’র কর্মকর্তারা।
এর আগে ১৯৭৭ সালে বিএসসি প্রথম ‘বাংলার নূর’ নামে একটি মাদার ট্যাংকার কিনলেও অলাভজনক বলে ১৯৮২ সালেই সেটি বিক্রি করে দেওয়া হয়।
এর আওতায় এক লাখ থেকে এক লাখ ২৫ হাজার টন ধারণক্ষমতা স¤পন্ন অনধিক ১০ বছরের পুরনো মাদার ট্যাংকার কেনা হবে। পত্রিকায় প্রকাশিত বিএসসি’র বিজ্ঞপ্তিুে জাহাজের সম্ভাব্য কোনো মূল্য উল্লেখ করা না হলেও সেটা চার থেকে পাঁচশ’ কোটি টাকা হতে পারে বলে বিএসসি’র কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে বিএসসি’র এমডি মকসুমুল কাদের বাংলানিউজকে জানান, ‘যৌথ অংশিদারিত্বে জাহাজ ক্রয় এবং পরিচালনার ক্ষেত্রে বিএসসি ৩০ শতাংশ অর্থ দেবে। বাকীটা নির্বাচিত আগ্রহী প্রতিষ্ঠান বহন করবে। একইভাবে জাহাজ পরিচালনা বাবদ লাভের ক্ষেত্রে বিএসসি পাবে ৪০ শতাংশ এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পাবে ৬০ শতাংশ।’
তবে কৌশলগত কারণে জাহাজের সম্ভাব্য মূল্য প্রকাশ করতে চাননি তিনি।
উল্লেখ্য, ১৯৭২সালে ‘বাংলার দুত’ এবং ‘বাংলার সম্পদ’ নামে দুটি জাহাজ নিয়ে যাত্রা শুরু করে বিএসসি। পরবর্তীতে বিএসসির বহরে ২৬টি জাহাজ সংযুক্ত হলেও ক্রমাগত লোকসানের মুখে বিক্রী করে দিতে হয় ১৩টি জাহাজ। সর্বশেষ ১৯৯১ সালে বিএসসি’র বহরে যুক্ত হয় এমভি বাংলার শিখা নামে একটি কার্গো জাহাজ।
পত্রিকায় প্রকাশিত মাদার ট্যাংকার কেনার জন্য প্রকাশিত ইওআই-তে বলা হয়েছে আন্তর্জাতিকভাবে জাহাজ পরিচালনা, জাহাজ ক্রয় এবং ব্যবস্থাপনায় দক্ষ এবং প্রতিষ্ঠিত যেকোনো কোম্পানি সংস্থার ঢাকার মতিঝিলস্থ অফিস, চট্টগ্রামের সল্টগোলাস্থ হেড অফিস এবং সিঙ্গাপুরে কলইয়ার শিপিং লিমিটেড কোম্পানি থেকে ইওআই ক্রয় করতে পারবেন। ২২ জুন সল্টগোলা বিএসসি ভবনে হিসাবরক্ষণ শাখার মহাব্যবস্থাপক বরাবর সেটি জমা দিতে হবে।