শেয়ারবাজার বাংলাদেশ
ফান্ডের বিনিয়োগ কার্যক্রম বৃহস্পতিবার সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে।
এদিন সকাল সাড়ে ১০ টায় ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ’র (আইসিবি) চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন এর উদ্বোধন করেন।
এ সময় তিনি ৮৩২ টাকা করে তিতাস গ্যাস’র ৫০টি শেয়ার কেনেন।
উদ্বোধনকালে খায়রুল হোসেন বলেন, ‘পুঁজিবাজারে তারল্যসঙ্কট ছিল। বাংলাদেশ ফান্ডের বিনিয়োগ কার্যক্রমের মাধ্যমের এর কিছুটা সমাধান হচ্ছে।’
এ সময় তিনি বাংলাদেশ ফান্ডের এ বিনিয়োগ কার্যক্রমকে পুঁজিবাজারের ইতিহাসে অন্যতম মাইলফলক হিসাবে মন্তব্য করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আইসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফায়েকুজ্জামান, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের যুগ্ম সচিব কাজী শফিউল আজম, সেনাকল্যাণ ভবনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আরিফ আহমেদ চৌধুরী, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক আবু মো. রাজি হাসান প্রমুখ।
বাংলাদেশ ফান্ডে’র বিষয়ে আইসিবির এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশ ফান্ডের পোর্টফোলিও পরিচালনার জন্য একটি বেসিক গাইডলাইন এরই মধ্যে নির্ধারণ করা হয়েছে। গাইডলাইন অনুযায়ী বাংলাদেশ ফান্ডের পোর্টফোলিওতে শেয়ার ক্রয় করার জন্য ব্যাংক ও লিজিং খাত ব্যতিত প্রাথমিক ভিত্তি হিসেবে শেয়ারপ্রতি আয় (পিই) অনুপাত ২০ নির্ধারণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমান বাজার অনুযায়ী যেসব কোম্পানির শেয়ারের পিই অনুপাত ২০, এ ফান্ডের পোর্টফোলিওতে সেসব কোম্পানির শেয়ারই ক্রয় করা হবে। তবে ব্যাংকের ক্ষেত্রে প্রাথমিক ভিত্তি হিসেবে পিই ১০ এবং লিজিং কোম্পানির ক্ষেত্রে পিই ১৫ নির্ধারণ করা হয়েছে।
মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ক্ষেত্রে যেসব ফান্ড নিট অ্যাসেট ভ্যালুর (নেভ) নীচে রয়েছে, সেসব মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার বাংলাদেশ ফান্ডের পোর্টফোলিওতে ক্রয় করা হবে।
উল্লেখ্য, পুঁজিবাজারে বিশ্বব্যাপী সাধারণত পিই ২০ নীচে থাকা কোম্পানির শেয়ারকে ভাল শেয়ার হিসেবে গণ্য করা হয়। আর পিই ১৫ এর নীচে থাকা কোম্পানির শেয়ারকে মৌলভিত্তির শেয়ার হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
বর্তমানে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে নিবন্ধিত কোম্পানির সংখ্যা প্রায় ২৭০টি।
নিবন্ধিত কোম্পানির মধ্যে ব্যাংক খাতে ৩০টি, লিজিং খাতে ২০টি, মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতে ৩৩টি । এছাড়া ঔষধ, জ্বালানি, বস্ত্র, প্রকৌশল, বীমা, তথ্য প্রযুক্তি, সিমেন্ট ও সেবাসহ অন্যান্য খাতের কোম্পানির সংখ্যা প্রায় ১৮৭টি।
ব্যাংক খাতে ৩০টি কোম্পানির মধ্যে পিই ১০ এর নীচে ১৬টি এবং লিজিং খাতে পিই ১৫ এর নীচে ৪টি কোম্পানির শেয়ার অবস্থান করছে।
এছাড়া ব্যাংক ও লিজিং খাত ব্যতীত অন্যান্য খাতে ১৮৭টি কোম্পানির মধ্যে পিই ২০ এর নীচে মাত্র ২৪টি কোম্পানি রয়েছে।
এ ২৪টি কোম্পানির মধ্যে বস্ত্র খাতে ৫টি, জ্বালনি খাতে ৪টি, ঔষধ খাতে ৪টি, খাদ্য খাতে ২টি, বীমা খাতে ২টি, সিমেন্ট খাতে ১টি এবং অন্যান্য খাতে ৭টি কোম্পানির শেয়ার রয়েছে।
প্রকৌশল, তথ্য প্রযুক্তি, পাট, পেপার এন্ড প্যাকেজিং এবং সেবাখাতে পিই ২০ এর নীচে কোন কোম্পানীর শেয়ার বর্তমানে নেই।
উল্লেখ্য, গত ১৮ এপ্রিল এসইসি বাংলাদেশ ফান্ড নামে ৫ হাজার কোটি টাকার মেয়াদহীন মিউচ্যুয়াল ফান্ড অনুমোদন করে। ফান্ডের ট্রাস্টি ও কাস্টডিয়ান হিসেবে কাজ করছে আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড। সম্পদ ব্যবস্থাপক হিসেবে রয়েছে আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড।
এর আগে পুঁজিবাজারের পতনের ধারা রোধ করতে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ৫ হাজার কোটি টাকার ফান্ড গঠন করার সিদ্ধান্ত নেয় আইসিবি।
কয়েক দফা আলোচনার পর ৬ মার্চ এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে।
গত ২৯ মার্চ এসইসিতে ফান্ড নিবন্ধনের আবেদন জমা দেওয়া হয়।
১৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত কমিশন সভায় এই ফান্ড অনুমোদন করা হয়। গত ২৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ফান্ডের নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়।
বাংলাদেশ ফান্ডের আকার হবে ৫ হাজার কোটি টাকা।
এর মধ্যে আটটি উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান দেড় হাজার কোটি টাকা যোগান দিয়েছে। এর মধ্যে আইসিবি ৫০০ কোটি টাকা, অগ্রণী ব্যাংক ২৫০ কোটি টাকা, সোনালী ব্যাংক ২০০ কোটি টাকা, জনতা ব্যাংক ২০০ কোটি টাকা, সাধারণ বীমা করপোরেশন ১০০ কোটি টাকা, রূপালী ব্যাংক ১০০ কোটি টাকা, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক ১০০ কোটি টাকা এবং জীবন বীমা কর্পোরেশন ৫০ কোটি টাকা দিয়েছে।
ফান্ডের সম্পদ ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে আইসিবি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি। এছাড়া আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি বাংলাদেশ ফান্ডের ট্রাস্টি ও কাস্টডিয়ানের দায়িত্ব পালন করছে।
মেয়াদহীন (ওপেন এন্ড) মিউচ্যুয়াল ফান্ড হিসেবে গঠিত এই বাংলাদেশ ফান্ডের মোট অর্থের ৭৫ শতাংশ পুঁজিবাজারে এবং বাকি ২৫ শতাংশ মুদ্রাবাজারের অন্যান্য ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করা হবে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তহবিলের আকার বাড়ানো যাবে।
ফান্ডের বিনিয়োগ কার্যক্রম বৃহস্পতিবার সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে।
এদিন সকাল সাড়ে ১০ টায় ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ’র (আইসিবি) চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন এর উদ্বোধন করেন।
এ সময় তিনি ৮৩২ টাকা করে তিতাস গ্যাস’র ৫০টি শেয়ার কেনেন।
উদ্বোধনকালে খায়রুল হোসেন বলেন, ‘পুঁজিবাজারে তারল্যসঙ্কট ছিল। বাংলাদেশ ফান্ডের বিনিয়োগ কার্যক্রমের মাধ্যমের এর কিছুটা সমাধান হচ্ছে।’
এ সময় তিনি বাংলাদেশ ফান্ডের এ বিনিয়োগ কার্যক্রমকে পুঁজিবাজারের ইতিহাসে অন্যতম মাইলফলক হিসাবে মন্তব্য করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আইসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফায়েকুজ্জামান, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের যুগ্ম সচিব কাজী শফিউল আজম, সেনাকল্যাণ ভবনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আরিফ আহমেদ চৌধুরী, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক আবু মো. রাজি হাসান প্রমুখ।
বাংলাদেশ ফান্ডে’র বিষয়ে আইসিবির এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশ ফান্ডের পোর্টফোলিও পরিচালনার জন্য একটি বেসিক গাইডলাইন এরই মধ্যে নির্ধারণ করা হয়েছে। গাইডলাইন অনুযায়ী বাংলাদেশ ফান্ডের পোর্টফোলিওতে শেয়ার ক্রয় করার জন্য ব্যাংক ও লিজিং খাত ব্যতিত প্রাথমিক ভিত্তি হিসেবে শেয়ারপ্রতি আয় (পিই) অনুপাত ২০ নির্ধারণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমান বাজার অনুযায়ী যেসব কোম্পানির শেয়ারের পিই অনুপাত ২০, এ ফান্ডের পোর্টফোলিওতে সেসব কোম্পানির শেয়ারই ক্রয় করা হবে। তবে ব্যাংকের ক্ষেত্রে প্রাথমিক ভিত্তি হিসেবে পিই ১০ এবং লিজিং কোম্পানির ক্ষেত্রে পিই ১৫ নির্ধারণ করা হয়েছে।
মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ক্ষেত্রে যেসব ফান্ড নিট অ্যাসেট ভ্যালুর (নেভ) নীচে রয়েছে, সেসব মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার বাংলাদেশ ফান্ডের পোর্টফোলিওতে ক্রয় করা হবে।
উল্লেখ্য, পুঁজিবাজারে বিশ্বব্যাপী সাধারণত পিই ২০ নীচে থাকা কোম্পানির শেয়ারকে ভাল শেয়ার হিসেবে গণ্য করা হয়। আর পিই ১৫ এর নীচে থাকা কোম্পানির শেয়ারকে মৌলভিত্তির শেয়ার হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
বর্তমানে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে নিবন্ধিত কোম্পানির সংখ্যা প্রায় ২৭০টি।
নিবন্ধিত কোম্পানির মধ্যে ব্যাংক খাতে ৩০টি, লিজিং খাতে ২০টি, মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতে ৩৩টি । এছাড়া ঔষধ, জ্বালানি, বস্ত্র, প্রকৌশল, বীমা, তথ্য প্রযুক্তি, সিমেন্ট ও সেবাসহ অন্যান্য খাতের কোম্পানির সংখ্যা প্রায় ১৮৭টি।
ব্যাংক খাতে ৩০টি কোম্পানির মধ্যে পিই ১০ এর নীচে ১৬টি এবং লিজিং খাতে পিই ১৫ এর নীচে ৪টি কোম্পানির শেয়ার অবস্থান করছে।
এছাড়া ব্যাংক ও লিজিং খাত ব্যতীত অন্যান্য খাতে ১৮৭টি কোম্পানির মধ্যে পিই ২০ এর নীচে মাত্র ২৪টি কোম্পানি রয়েছে।
এ ২৪টি কোম্পানির মধ্যে বস্ত্র খাতে ৫টি, জ্বালনি খাতে ৪টি, ঔষধ খাতে ৪টি, খাদ্য খাতে ২টি, বীমা খাতে ২টি, সিমেন্ট খাতে ১টি এবং অন্যান্য খাতে ৭টি কোম্পানির শেয়ার রয়েছে।
প্রকৌশল, তথ্য প্রযুক্তি, পাট, পেপার এন্ড প্যাকেজিং এবং সেবাখাতে পিই ২০ এর নীচে কোন কোম্পানীর শেয়ার বর্তমানে নেই।
উল্লেখ্য, গত ১৮ এপ্রিল এসইসি বাংলাদেশ ফান্ড নামে ৫ হাজার কোটি টাকার মেয়াদহীন মিউচ্যুয়াল ফান্ড অনুমোদন করে। ফান্ডের ট্রাস্টি ও কাস্টডিয়ান হিসেবে কাজ করছে আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড। সম্পদ ব্যবস্থাপক হিসেবে রয়েছে আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড।
এর আগে পুঁজিবাজারের পতনের ধারা রোধ করতে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ৫ হাজার কোটি টাকার ফান্ড গঠন করার সিদ্ধান্ত নেয় আইসিবি।
কয়েক দফা আলোচনার পর ৬ মার্চ এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে।
গত ২৯ মার্চ এসইসিতে ফান্ড নিবন্ধনের আবেদন জমা দেওয়া হয়।
১৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত কমিশন সভায় এই ফান্ড অনুমোদন করা হয়। গত ২৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ফান্ডের নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়।
বাংলাদেশ ফান্ডের আকার হবে ৫ হাজার কোটি টাকা।
এর মধ্যে আটটি উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান দেড় হাজার কোটি টাকা যোগান দিয়েছে। এর মধ্যে আইসিবি ৫০০ কোটি টাকা, অগ্রণী ব্যাংক ২৫০ কোটি টাকা, সোনালী ব্যাংক ২০০ কোটি টাকা, জনতা ব্যাংক ২০০ কোটি টাকা, সাধারণ বীমা করপোরেশন ১০০ কোটি টাকা, রূপালী ব্যাংক ১০০ কোটি টাকা, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক ১০০ কোটি টাকা এবং জীবন বীমা কর্পোরেশন ৫০ কোটি টাকা দিয়েছে।
ফান্ডের সম্পদ ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে আইসিবি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি। এছাড়া আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি বাংলাদেশ ফান্ডের ট্রাস্টি ও কাস্টডিয়ানের দায়িত্ব পালন করছে।
মেয়াদহীন (ওপেন এন্ড) মিউচ্যুয়াল ফান্ড হিসেবে গঠিত এই বাংলাদেশ ফান্ডের মোট অর্থের ৭৫ শতাংশ পুঁজিবাজারে এবং বাকি ২৫ শতাংশ মুদ্রাবাজারের অন্যান্য ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করা হবে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তহবিলের আকার বাড়ানো যাবে।