খসড়া নীতিমালায় অনেকগুলো ধারা নিয়ে বিপাকে চার মুঠোফোন কোম্পানি। কেবল তরঙ্গ বরাদ্দ পেতেই দিতে হবে ১৪ হাজার কোটি টাকা নবায়নের সময় বাড়াতে বলেছে উদ্বিগ্ন বিশ্বব্যাংক
অস্থিরতা চলছে দেশের মুঠোফোন খাতে। লাইসেন্স নবায়নের জন্য তৈরি করা খসড়া নীতিমালার অনেকগুলো ধারার কারণে বিপাকে পড়েছে চারটি মুঠোফোন কোম্পানি। বিপুল অর্থের দায় চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে তাদের ওপর। সব মিলিয়ে দেশের অন্যতম সম্ভাবনাময় এই খাত চরম সংকটে।
মুঠোফোন কোম্পানিগুলো বলছে, কেবল তরঙ্গ (স্পেকট্রাম) বরাদ্দের জন্যই ১৪ হাজার কোটি টাকা দিতে হলে ভবিষ্যৎ বিনিয়োগের জন্য তাদের হাতে আর অর্থ থাকবে না। এ ছাড়া রয়েছে আরও অনেকগুলো প্রতিকূল ধারা। ফলে সরকার এককালীন লাভবান হলেও ভবিষ্যৎ হবে সংকটময়।
বিশ্বব্যাংকও এ নিয়ে উদ্বিগ্ন। অর্থমন্ত্রী এ এম এ মুহিতকে জরুরি চিঠি দিয়ে তারা বলেছে, লাইসেন্স নবায়নের খসড়া নীতিমালাটি বাস্তবায়িত হলে টেলিযোগাযোগ খাতে বাংলাদেশের অর্জন নষ্ট হয়ে যাবে এবং দেশটির অর্থনৈতিক ও সামাজিক অগ্রগতি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। চিঠি দেওয়ার পাশাপাশি বিষয়টি নিয়ে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর এলেন গোল্ডস্টেইন অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে দেখাও করেছেন।
গ্রামীণফোনের সিইও টোরে ইয়ানসন এ প্রসঙ্গে প্রথম আলোকে বলেন, ‘খসড়া লাইসেন্স নবায়ন নীতিমালা প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে মুঠোফোনশিল্প কিছুটা অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল। তবে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সম্প্রতি একটি ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। আমরা আশাবাদী, সরকার যুক্তিসংগতভাবে ফি ও নিয়মনীতি নির্ধারণ করবে।’
টেলিযোগাযোগ খাতকে সংকট থেকে উদ্ধারের জন্য চার মুঠোফোন কোম্পানির বিদ্যমান লাইসেন্সের মেয়াদ সাময়িকভাবে বাড়ানোর সুপারিশ করেছে বিশ্বব্যাংক। দাতা সংস্থাটি মনে করে, বিশ্বব্যাপী যে পদ্ধতিটি সবচেয়ে ভালো, সেভাবে লাইসেন্স নবায়ন করা প্রয়োজন এবং এ জন্য সরকারের উচিত হবে প্রয়োজনীয় সময় নেওয়া। লিখিত সুপারিশে বিশ্বব্যাংক আরও বলেছে, তরঙ্গ ব্যবহারের ফি কত হবে তা নির্ধারণের জন্য সরকার একটি স্বচ্ছ নিলাম পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারে। আর নিলাম পদ্ধতি সম্ভব না হলে একটি বিশ্বাসযোগ্য ও গ্রহণীয় ভিত্তি নির্ধারণ করা উচিত হবে।
গ্রামীণফোন, বাংলালিংক, রবি ও সিটিসেলের ১৫ বছর মেয়াদি টু-জি (দ্বিতীয় প্রজন্মের প্রযুক্তি) লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হবে আগামী ১১ নভেম্বর। লাইসেন্স নবায়নের জন্য একটি খসড়া নীতিমালা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) গত ১৯ জানুয়ারি প্রকাশ করেছে। এই নীতিমালার ওপর ৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে মতামত দিতে বলেছিল বিটিআরসি। সে অনুযায়ী মতামত দেওয়া হলেও এর ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে বলে জানা গেছে।
অস্থিরতা চলছে দেশের মুঠোফোন খাতে। লাইসেন্স নবায়নের জন্য তৈরি করা খসড়া নীতিমালার অনেকগুলো ধারার কারণে বিপাকে পড়েছে চারটি মুঠোফোন কোম্পানি। বিপুল অর্থের দায় চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে তাদের ওপর। সব মিলিয়ে দেশের অন্যতম সম্ভাবনাময় এই খাত চরম সংকটে।
মুঠোফোন কোম্পানিগুলো বলছে, কেবল তরঙ্গ (স্পেকট্রাম) বরাদ্দের জন্যই ১৪ হাজার কোটি টাকা দিতে হলে ভবিষ্যৎ বিনিয়োগের জন্য তাদের হাতে আর অর্থ থাকবে না। এ ছাড়া রয়েছে আরও অনেকগুলো প্রতিকূল ধারা। ফলে সরকার এককালীন লাভবান হলেও ভবিষ্যৎ হবে সংকটময়।
বিশ্বব্যাংকও এ নিয়ে উদ্বিগ্ন। অর্থমন্ত্রী এ এম এ মুহিতকে জরুরি চিঠি দিয়ে তারা বলেছে, লাইসেন্স নবায়নের খসড়া নীতিমালাটি বাস্তবায়িত হলে টেলিযোগাযোগ খাতে বাংলাদেশের অর্জন নষ্ট হয়ে যাবে এবং দেশটির অর্থনৈতিক ও সামাজিক অগ্রগতি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। চিঠি দেওয়ার পাশাপাশি বিষয়টি নিয়ে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর এলেন গোল্ডস্টেইন অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে দেখাও করেছেন।
গ্রামীণফোনের সিইও টোরে ইয়ানসন এ প্রসঙ্গে প্রথম আলোকে বলেন, ‘খসড়া লাইসেন্স নবায়ন নীতিমালা প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে মুঠোফোনশিল্প কিছুটা অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল। তবে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সম্প্রতি একটি ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। আমরা আশাবাদী, সরকার যুক্তিসংগতভাবে ফি ও নিয়মনীতি নির্ধারণ করবে।’
টেলিযোগাযোগ খাতকে সংকট থেকে উদ্ধারের জন্য চার মুঠোফোন কোম্পানির বিদ্যমান লাইসেন্সের মেয়াদ সাময়িকভাবে বাড়ানোর সুপারিশ করেছে বিশ্বব্যাংক। দাতা সংস্থাটি মনে করে, বিশ্বব্যাপী যে পদ্ধতিটি সবচেয়ে ভালো, সেভাবে লাইসেন্স নবায়ন করা প্রয়োজন এবং এ জন্য সরকারের উচিত হবে প্রয়োজনীয় সময় নেওয়া। লিখিত সুপারিশে বিশ্বব্যাংক আরও বলেছে, তরঙ্গ ব্যবহারের ফি কত হবে তা নির্ধারণের জন্য সরকার একটি স্বচ্ছ নিলাম পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারে। আর নিলাম পদ্ধতি সম্ভব না হলে একটি বিশ্বাসযোগ্য ও গ্রহণীয় ভিত্তি নির্ধারণ করা উচিত হবে।
গ্রামীণফোন, বাংলালিংক, রবি ও সিটিসেলের ১৫ বছর মেয়াদি টু-জি (দ্বিতীয় প্রজন্মের প্রযুক্তি) লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হবে আগামী ১১ নভেম্বর। লাইসেন্স নবায়নের জন্য একটি খসড়া নীতিমালা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) গত ১৯ জানুয়ারি প্রকাশ করেছে। এই নীতিমালার ওপর ৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে মতামত দিতে বলেছিল বিটিআরসি। সে অনুযায়ী মতামত দেওয়া হলেও এর ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে বলে জানা গেছে।