get up and go
পুঁজিবাজারে অস্থিরতার পেছনে জড়িতদের বিচার কেবল মার্শাল ল' তে সম্ভব- খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের এই বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে আইন মন্ত্রী শফিক আহমেদ বলেছেন, যেহেতু মার্শল ল' কোনো আইন নয়, সেহেতু এর আওতায় কারো বিচার করাও সম্ভব নয়।
ডিউক অব ওয়েলিংটনের উদ্বৃতি টেনে মন্ত্রী বলেন, "মার্শাল ল'র কোনো আইনগত ভিত্তি নেই। এটি হলো সামরিক শাসকের শাসন, এ ব্যবস্থায় তার ইচ্ছাতেই রাষ্ট্র চলে।"
কিন্তু "সংবিধানে স্পষ্ট বলা হয়েছে, রাষ্ট্র পরিচালিত হবে সংবিধান ও আইন দিয়ে," যোগ করেন তিনি।
শেয়ার বাজারে অস্থিরতার পেছনে জড়িতদের বিচার প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে পুঁজিবাজার তদন্ত কমিটির প্রধান ইব্রাহিম খালেদ বৃহস্পতিবার টেলিভিশন চ্যানেল বাংলাভিশনকে বলেন, "যদি মনে করেন যে, ধরে ধরে শাস্তি দিলে হবে- ধরে শাস্তি দেওয়া তো এতো সোজা না। আদালত আছে। আদালত তো সব সময় আসামির পক্ষে। কোর্ট কখনো নালিশকারীর পক্ষে থাকে না। '৯৬ সালে তো মামলা হয়েছিলো। একটারও তো জাজমেন্ট হয়নি।"
কৃষি ব্যাংকের চেয়ারম্যান ইব্রাহিম খালেদ আরো বলেন, এ ধরনের অপরাধের বিচার সেনা শাসনের সময়ই দ্রুত সম্ভব হয়।
"এটা মার্শাল ল' তে হয়। ধরে এনে, বিচার করে শাস্তি দেওয়া যায়। এটা তো ডেমোক্রেসিতে হয় না।"
ইব্রাহিম খালেদের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় আইন মন্ত্রী বলেন, "উনি বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে ভুল করেছেন কি না জানি না। তবে ফৌজদারী মামলার নিয়ম হলো, কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হলে সেই অভিযোগ প্রমাণের দায়িত্ব রাষ্ট্রপক্ষের। এ কারণে এ সংক্রান্ত মামলায় প্রথমেই আসামিকে জিজ্ঞেস করা হয়- তিনি দোষী না নির্দোষ।"
অবশ্য শফিক আহমেদ মনে করেন, উদ্যোগ নিলেই ১৯৯৬ সালে পুঁজিবাজারে ধসের মামলাগুলোর নিস্পত্তি সম্ভব।
"১৯৯৬ সালের ঘটনা নিয়ে অনেকগুলো মামলা আপিল বিভাগে স্থগিত হয়ে আছে। উদ্যোগ নিলে এর বিচার করা যেতো।"
ইব্রাহিম খালেদের বক্তব্যের সমালোচনা করে ব্যারিস্টার রফিক-উল হক ও আনিসুল হকের মতো শীর্ষ আইনজীবীরাও বলেছেন, ওই বক্তব্য 'উস্কানিমূলক' ও 'দায়িত্বজ্ঞানহীন'।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য টেলিফোনে ইব্রাহিম খালেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটমককে বলেন, "আমি আপনাদের সঙ্গে কোনো কথা বলবো না।"
গত ডিসেম্বর-জানুয়ারি সময়ে পুঁজিবাজার হঠাৎ ফুল ফেঁপে ওঠার পর ব্যাপক পতনের কারণ অনুসন্ধানে গঠিত চার সদস্যের কমিটি গত ৭ এপ্রিল অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের কাছে প্রতিবেদন দেয়। তিন শতাধিক পৃষ্ঠার ওই প্রতিবেদন তৈরি হয়েছে মূলত শেয়ার বাজার সংশ্লিষ্টদের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে।
সরকারের ভেতর ও বাইরে থেকে তদন্ত প্রতিবেদনটি অনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করার দাবি উঠলেও সরকার এখনো তা করেনি। তবে ওই প্রতিবেদনের একটি অনুলিপি হাতে পেয়েছে এবং তা ওয়েবসাইটে 'প্রকাশ' করা হয়েছে।
The law minister has dismissed Khondoker Ibrahim Khaled's suggestion that trial only under martial law can ensure justice for alleged share market manipulators.
"There is no scope to hold the trial under martial law since it is not a law at all," Shafique Ahmed told.
"I differ with his [Khaled's] suggestion," the minister said, a day after the four-member inquiry panel chief Khaled came up with the suggestion in an interview with a private television station.
Quoting the Duke of Wellington Shafique, a barrister by training, said, "Martial law has no legal basis. It's a military dictator's rule. The state runs by his dictates in this system."
"Martial law," the Duke of Wellington told the British parliament "is neither more nor less than the will of the General who commands the army. In fact, martial law means no law at all."
"But it is clearly stated in the constitution" Shafique said "that state will be run in line with the constitution and the laws of the land."
Khaled told the Banglavision reporter on Thursday, "It's not easy to fast-track such trials. There are courts, and the court is always in favour of the accused."
"The court is never in favour of the accuser."
"Only martial law can fast-track such trials," he said in the interview. "You can take (them) into custody and hold summary trials. You cannot do that in a democracy."
The investigation chief pointed out that cases were also filed regarding the 1996 share scam but no judgement was passed.
Reacting to these remarks, Shafique said, "I don't know whether he made a mistake in explaining the matter. But criminal cases require that the responsibility lies with the state to prove any charge brought against anyone.
"So in such cases, the accused gets asked first to plead guilty or not guilty to the charges."
The minister said proceedings of several cases on the 1996 share market debacle have been frozen at the Appellate Division of the Supreme Court.
He, however, thinks that these cases could be disposed of if the right initiatives were taken.
Top lawyers Barrister Rafique-ul Haque and Advocate Anisul Huq fiercely criticised Khaled's remarks terming those "seditious" and "irresponsible".
When contacted, Khaled, also the Bangladesh Krishi Bank chairman, declined to comment on the law minister's remarks.
Khaled submitted his 300-page report on Apr 7 which the government decided not to publish immediately, leading to calls that the findings be made public.
Three days later, which got hold of a copy, uploaded the report on its site.
The Dec-Jan stock market bubble-and-burst saw investors riot in the streets for days as the Dhaka Stock Exchange lost more than 40 percent, or $16 billion, in value
পুঁজিবাজারে অস্থিরতার পেছনে জড়িতদের বিচার কেবল মার্শাল ল' তে সম্ভব- খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের এই বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে আইন মন্ত্রী শফিক আহমেদ বলেছেন, যেহেতু মার্শল ল' কোনো আইন নয়, সেহেতু এর আওতায় কারো বিচার করাও সম্ভব নয়।
ডিউক অব ওয়েলিংটনের উদ্বৃতি টেনে মন্ত্রী বলেন, "মার্শাল ল'র কোনো আইনগত ভিত্তি নেই। এটি হলো সামরিক শাসকের শাসন, এ ব্যবস্থায় তার ইচ্ছাতেই রাষ্ট্র চলে।"
কিন্তু "সংবিধানে স্পষ্ট বলা হয়েছে, রাষ্ট্র পরিচালিত হবে সংবিধান ও আইন দিয়ে," যোগ করেন তিনি।
শেয়ার বাজারে অস্থিরতার পেছনে জড়িতদের বিচার প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে পুঁজিবাজার তদন্ত কমিটির প্রধান ইব্রাহিম খালেদ বৃহস্পতিবার টেলিভিশন চ্যানেল বাংলাভিশনকে বলেন, "যদি মনে করেন যে, ধরে ধরে শাস্তি দিলে হবে- ধরে শাস্তি দেওয়া তো এতো সোজা না। আদালত আছে। আদালত তো সব সময় আসামির পক্ষে। কোর্ট কখনো নালিশকারীর পক্ষে থাকে না। '৯৬ সালে তো মামলা হয়েছিলো। একটারও তো জাজমেন্ট হয়নি।"
কৃষি ব্যাংকের চেয়ারম্যান ইব্রাহিম খালেদ আরো বলেন, এ ধরনের অপরাধের বিচার সেনা শাসনের সময়ই দ্রুত সম্ভব হয়।
"এটা মার্শাল ল' তে হয়। ধরে এনে, বিচার করে শাস্তি দেওয়া যায়। এটা তো ডেমোক্রেসিতে হয় না।"
ইব্রাহিম খালেদের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় আইন মন্ত্রী বলেন, "উনি বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে ভুল করেছেন কি না জানি না। তবে ফৌজদারী মামলার নিয়ম হলো, কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হলে সেই অভিযোগ প্রমাণের দায়িত্ব রাষ্ট্রপক্ষের। এ কারণে এ সংক্রান্ত মামলায় প্রথমেই আসামিকে জিজ্ঞেস করা হয়- তিনি দোষী না নির্দোষ।"
অবশ্য শফিক আহমেদ মনে করেন, উদ্যোগ নিলেই ১৯৯৬ সালে পুঁজিবাজারে ধসের মামলাগুলোর নিস্পত্তি সম্ভব।
"১৯৯৬ সালের ঘটনা নিয়ে অনেকগুলো মামলা আপিল বিভাগে স্থগিত হয়ে আছে। উদ্যোগ নিলে এর বিচার করা যেতো।"
ইব্রাহিম খালেদের বক্তব্যের সমালোচনা করে ব্যারিস্টার রফিক-উল হক ও আনিসুল হকের মতো শীর্ষ আইনজীবীরাও বলেছেন, ওই বক্তব্য 'উস্কানিমূলক' ও 'দায়িত্বজ্ঞানহীন'।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য টেলিফোনে ইব্রাহিম খালেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটমককে বলেন, "আমি আপনাদের সঙ্গে কোনো কথা বলবো না।"
গত ডিসেম্বর-জানুয়ারি সময়ে পুঁজিবাজার হঠাৎ ফুল ফেঁপে ওঠার পর ব্যাপক পতনের কারণ অনুসন্ধানে গঠিত চার সদস্যের কমিটি গত ৭ এপ্রিল অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের কাছে প্রতিবেদন দেয়। তিন শতাধিক পৃষ্ঠার ওই প্রতিবেদন তৈরি হয়েছে মূলত শেয়ার বাজার সংশ্লিষ্টদের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে।
সরকারের ভেতর ও বাইরে থেকে তদন্ত প্রতিবেদনটি অনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করার দাবি উঠলেও সরকার এখনো তা করেনি। তবে ওই প্রতিবেদনের একটি অনুলিপি হাতে পেয়েছে এবং তা ওয়েবসাইটে 'প্রকাশ' করা হয়েছে।
The law minister has dismissed Khondoker Ibrahim Khaled's suggestion that trial only under martial law can ensure justice for alleged share market manipulators.
"There is no scope to hold the trial under martial law since it is not a law at all," Shafique Ahmed told.
"I differ with his [Khaled's] suggestion," the minister said, a day after the four-member inquiry panel chief Khaled came up with the suggestion in an interview with a private television station.
Quoting the Duke of Wellington Shafique, a barrister by training, said, "Martial law has no legal basis. It's a military dictator's rule. The state runs by his dictates in this system."
"Martial law," the Duke of Wellington told the British parliament "is neither more nor less than the will of the General who commands the army. In fact, martial law means no law at all."
"But it is clearly stated in the constitution" Shafique said "that state will be run in line with the constitution and the laws of the land."
Khaled told the Banglavision reporter on Thursday, "It's not easy to fast-track such trials. There are courts, and the court is always in favour of the accused."
"The court is never in favour of the accuser."
"Only martial law can fast-track such trials," he said in the interview. "You can take (them) into custody and hold summary trials. You cannot do that in a democracy."
The investigation chief pointed out that cases were also filed regarding the 1996 share scam but no judgement was passed.
Reacting to these remarks, Shafique said, "I don't know whether he made a mistake in explaining the matter. But criminal cases require that the responsibility lies with the state to prove any charge brought against anyone.
"So in such cases, the accused gets asked first to plead guilty or not guilty to the charges."
The minister said proceedings of several cases on the 1996 share market debacle have been frozen at the Appellate Division of the Supreme Court.
He, however, thinks that these cases could be disposed of if the right initiatives were taken.
Top lawyers Barrister Rafique-ul Haque and Advocate Anisul Huq fiercely criticised Khaled's remarks terming those "seditious" and "irresponsible".
When contacted, Khaled, also the Bangladesh Krishi Bank chairman, declined to comment on the law minister's remarks.
Khaled submitted his 300-page report on Apr 7 which the government decided not to publish immediately, leading to calls that the findings be made public.
Three days later, which got hold of a copy, uploaded the report on its site.
The Dec-Jan stock market bubble-and-burst saw investors riot in the streets for days as the Dhaka Stock Exchange lost more than 40 percent, or $16 billion, in value