business opportunity
পুঁজিবাজারে অস্থিরতার সময় সবচেয়ে বেশি শেয়ারের ক্রেতা ও বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে (ব্রোকারেজ হাউজ) চিহ্নিত করেছে অনিয়ম তদন্তে গঠিত কমিটি। তালিকা অনুযায়ী ওই সময়ে সবচেয়ে বেশি শেয়ার কেনাবেচা করেছে আইসিবি। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) সার্ভেইল্যান্স সফটওয়্যারের মাধ্যমে এ বিষয়টি জানতে পেরেছে তদন্ত কমিটি। ২০১০ সালের অক্টোবর থেকে ২০১১ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত সময়ে আইসিবি সিকিউরিটিজ ট্রেডিংয়ের একটি অমনিবাস অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি শেয়ার বিক্রি করা হয়েছে। এই অ্যাকাউন্টে ওই সময়ে ৯৪৩ কোটি ৫৯ লাখ ৬৩ হাজার ৯৭৮ টাকা ৫০ পয়সার শেয়ার লেনদেন হয়। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে- ব্র্যাক ইপিএল স্টক ব্রোকারেজ লিমিটেড। এ ব্রোকারেজ হাউজে ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড ৬৮০ কোটি ৯ লাখ ৫৬ হাজার ৭৭৩ টাকার শেয়ার লেনদেন করে। বিক্রির তালিকার তৃতীয় ও চতুর্থ অবস্থানেও আইসিবি সিকিউরিটিজ ট্রেডিং কোম্পানি লিমিটেডের দুটি অমনিবাস অ্যাকাউন্টের নাম এসেছে। পঞ্চম স্থানে এসেছে আবারো ব্র্যাক ইপিএল স্টক ব্রোকারেজ লিমিটেডের নাম। বিক্রির তালিকায় শীর্ষ ৫০-এ কয়েকজন ব্যক্তিরও নাম এসেছে। এর মধ্যে মোহাম্মদ হেলাল মিয়া নামের একজন হযরত আমানত শাহ সিকিউরিটিজের মাধ্যমে ১৮০ কোটি ৪৬ লাখ ৯৪ হাজার ৬২১ কোটি টাকার লেনদেন করেছেন। অন্য দুজনের মধ্যে তাসমিয়া আমবেরিন লংকা বাংলা সিকিউরিটিজে ১৬৮ কোটি ৪৬ লাখ ৪৪ হাজার টাকা এবং আফরোজা শারমিন মাল্টি সিকিউরিটিজ এন্ড সার্ভিসেস লিমিটেডে লেনদেন করেছেন ১৬৭ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। এদিকে ২০১০ সালের জানুয়ারি-ফেব্র"য়ারি দুই মাসে শেয়ার বাজার যখন ক্রমাগত চড়ছিল, তখন শেয়ার কেনার তালিকায় সবার ওপরে ছিল ন্যাশনাল ব্যাংক। প্রতিষ্ঠানটি এই সময়ে ৪২৪ কোটি টাকার শেয়ার কিনেছে। ওই দুই মাসে আইসিবি অমনিবাস (এসওবি) কিনেছে ৩৬৮ কোটি টাকার শেয়ার। আর আইসিবি অমনিবাস (আইসিএমএল) কিনেছে ২৮৭ কোটি টাকার শেয়ার। এছাড়া ব্যক্তি পর্যায়ে গোলাম মোস্তফা ১৬৮ কোটি টাকার শেয়ার কিনেছেন ২০১০ এর প্রথম দুই মাসে। সৈয়দ সিরাজুদৌল্লা কিনেছেন ১৪৫ কোটি টাকার শেয়ার। এই সময়ে উত্তরা ফিন্যান্স ও ইনভেস্টমেন্টের শেয়ার কেনার পরিমাণ ছিল ১৪৪ কোটি টাকা। এবি ব্যাংক কিনেছে ১৪২ কোটি টাকার শেয়ার। আলোচ্য সময়ে শাহজালাল ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্সের শেয়ার কেনার পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ১৩৬ কোটি, ১০৪ কোটি ও ১০৬ কোটি টাকা। কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১০ এর জানুয়ারি-ফেব্র"য়ারি সময়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাধারণ মূল্যসূচক ৪৯৪১ পয়েন্ট থেকে বেড়ে ৫৬১২ পয়েন্টে ওঠে। ওই সময় মূল্যবৃদ্ধির জন্য পরিকল্পিত ক্রয়ের নমুনা ধরে এ তালিকা তৈরি করেছে তদন্ত কমিটি।
Banks' exposure to the stockmarket came down to almost half of their legal limit but the amount of their total holding in the capital market is still above the best practices.
About the legal limit of holding shares, a stockmarket probe committee has said, if such exposure is not contained, both the capital and money markets will plunge into deeper crisis and the economy may be destabilised.
According to the Banking Companies Act, a bank can hold up to 10 percent of its liabilities (deposit) in the capital market. As per Bangladesh Bank (BB) statistics on February 28, the total holding by the banks was 3.72 percent or Tk 15,548 crore of their liabilities.
The four state-owned banks held 3.21 percent of their liabilities or Tk 3,777 crore in the share market, and 4.84 percent of the 24 private commercial banks' liabilities or Tk 9,668 crore was invested in the capital market.
Holdings of the six Islamic banks plunged to 1.97 percent of their liabilities to stand at Tk 1,342 crore.
According to BB statistics, the banks' overall holding in the capital market came below the limit, although holdings by four private banks were slightly above the ceiling. However, officials of the banks said some of the four banks have brought down their holdings by March.
The probe committee report said the banks should invest a certain percentage of their capital in the share market instead of their deposits.
Keeping the money market and capital market separate is a global practice, as an individual will invest his own capital in the capital market; the subscribers do not give a bank the right to invest their deposit in the share market, said the report of the probe committee.
Investing the subscribers' money in the capital market without their permission is unethical, the report said, adding that in India and Pakistan, the banks' investment in the capital market is determined according to the ratio with the capital instead of the deposit.
It also said: "As the big amount of banks' money entered the capital market, the market saw a liquidity surge and share prices went up abnormally, which created a crisis in the money market."
The committee recommended the central bank take punitive actions against the banks which invested in the capital market violating laws and helped swell the share prices.
A high official of BB said, since last year they have been monitoring the banks' exposure to the stockmarket to minimise their involvement in the share market.
Early this week, the central bank governor, in a meeting with the chief executives of all commercial banks, warned that punitive measures will be taken if any bank was found excessively involved in the share market.
The BB officials said they have taken initiatives to amend the legal limitations of the banks regarding investments in the capital market
পুঁজিবাজারে অস্থিরতার সময় সবচেয়ে বেশি শেয়ারের ক্রেতা ও বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে (ব্রোকারেজ হাউজ) চিহ্নিত করেছে অনিয়ম তদন্তে গঠিত কমিটি। তালিকা অনুযায়ী ওই সময়ে সবচেয়ে বেশি শেয়ার কেনাবেচা করেছে আইসিবি। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) সার্ভেইল্যান্স সফটওয়্যারের মাধ্যমে এ বিষয়টি জানতে পেরেছে তদন্ত কমিটি। ২০১০ সালের অক্টোবর থেকে ২০১১ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত সময়ে আইসিবি সিকিউরিটিজ ট্রেডিংয়ের একটি অমনিবাস অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি শেয়ার বিক্রি করা হয়েছে। এই অ্যাকাউন্টে ওই সময়ে ৯৪৩ কোটি ৫৯ লাখ ৬৩ হাজার ৯৭৮ টাকা ৫০ পয়সার শেয়ার লেনদেন হয়। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে- ব্র্যাক ইপিএল স্টক ব্রোকারেজ লিমিটেড। এ ব্রোকারেজ হাউজে ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড ৬৮০ কোটি ৯ লাখ ৫৬ হাজার ৭৭৩ টাকার শেয়ার লেনদেন করে। বিক্রির তালিকার তৃতীয় ও চতুর্থ অবস্থানেও আইসিবি সিকিউরিটিজ ট্রেডিং কোম্পানি লিমিটেডের দুটি অমনিবাস অ্যাকাউন্টের নাম এসেছে। পঞ্চম স্থানে এসেছে আবারো ব্র্যাক ইপিএল স্টক ব্রোকারেজ লিমিটেডের নাম। বিক্রির তালিকায় শীর্ষ ৫০-এ কয়েকজন ব্যক্তিরও নাম এসেছে। এর মধ্যে মোহাম্মদ হেলাল মিয়া নামের একজন হযরত আমানত শাহ সিকিউরিটিজের মাধ্যমে ১৮০ কোটি ৪৬ লাখ ৯৪ হাজার ৬২১ কোটি টাকার লেনদেন করেছেন। অন্য দুজনের মধ্যে তাসমিয়া আমবেরিন লংকা বাংলা সিকিউরিটিজে ১৬৮ কোটি ৪৬ লাখ ৪৪ হাজার টাকা এবং আফরোজা শারমিন মাল্টি সিকিউরিটিজ এন্ড সার্ভিসেস লিমিটেডে লেনদেন করেছেন ১৬৭ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। এদিকে ২০১০ সালের জানুয়ারি-ফেব্র"য়ারি দুই মাসে শেয়ার বাজার যখন ক্রমাগত চড়ছিল, তখন শেয়ার কেনার তালিকায় সবার ওপরে ছিল ন্যাশনাল ব্যাংক। প্রতিষ্ঠানটি এই সময়ে ৪২৪ কোটি টাকার শেয়ার কিনেছে। ওই দুই মাসে আইসিবি অমনিবাস (এসওবি) কিনেছে ৩৬৮ কোটি টাকার শেয়ার। আর আইসিবি অমনিবাস (আইসিএমএল) কিনেছে ২৮৭ কোটি টাকার শেয়ার। এছাড়া ব্যক্তি পর্যায়ে গোলাম মোস্তফা ১৬৮ কোটি টাকার শেয়ার কিনেছেন ২০১০ এর প্রথম দুই মাসে। সৈয়দ সিরাজুদৌল্লা কিনেছেন ১৪৫ কোটি টাকার শেয়ার। এই সময়ে উত্তরা ফিন্যান্স ও ইনভেস্টমেন্টের শেয়ার কেনার পরিমাণ ছিল ১৪৪ কোটি টাকা। এবি ব্যাংক কিনেছে ১৪২ কোটি টাকার শেয়ার। আলোচ্য সময়ে শাহজালাল ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্সের শেয়ার কেনার পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ১৩৬ কোটি, ১০৪ কোটি ও ১০৬ কোটি টাকা। কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১০ এর জানুয়ারি-ফেব্র"য়ারি সময়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাধারণ মূল্যসূচক ৪৯৪১ পয়েন্ট থেকে বেড়ে ৫৬১২ পয়েন্টে ওঠে। ওই সময় মূল্যবৃদ্ধির জন্য পরিকল্পিত ক্রয়ের নমুনা ধরে এ তালিকা তৈরি করেছে তদন্ত কমিটি।
Banks' exposure to the stockmarket came down to almost half of their legal limit but the amount of their total holding in the capital market is still above the best practices.
About the legal limit of holding shares, a stockmarket probe committee has said, if such exposure is not contained, both the capital and money markets will plunge into deeper crisis and the economy may be destabilised.
According to the Banking Companies Act, a bank can hold up to 10 percent of its liabilities (deposit) in the capital market. As per Bangladesh Bank (BB) statistics on February 28, the total holding by the banks was 3.72 percent or Tk 15,548 crore of their liabilities.
The four state-owned banks held 3.21 percent of their liabilities or Tk 3,777 crore in the share market, and 4.84 percent of the 24 private commercial banks' liabilities or Tk 9,668 crore was invested in the capital market.
Holdings of the six Islamic banks plunged to 1.97 percent of their liabilities to stand at Tk 1,342 crore.
According to BB statistics, the banks' overall holding in the capital market came below the limit, although holdings by four private banks were slightly above the ceiling. However, officials of the banks said some of the four banks have brought down their holdings by March.
The probe committee report said the banks should invest a certain percentage of their capital in the share market instead of their deposits.
Keeping the money market and capital market separate is a global practice, as an individual will invest his own capital in the capital market; the subscribers do not give a bank the right to invest their deposit in the share market, said the report of the probe committee.
Investing the subscribers' money in the capital market without their permission is unethical, the report said, adding that in India and Pakistan, the banks' investment in the capital market is determined according to the ratio with the capital instead of the deposit.
It also said: "As the big amount of banks' money entered the capital market, the market saw a liquidity surge and share prices went up abnormally, which created a crisis in the money market."
The committee recommended the central bank take punitive actions against the banks which invested in the capital market violating laws and helped swell the share prices.
A high official of BB said, since last year they have been monitoring the banks' exposure to the stockmarket to minimise their involvement in the share market.
Early this week, the central bank governor, in a meeting with the chief executives of all commercial banks, warned that punitive measures will be taken if any bank was found excessively involved in the share market.
The BB officials said they have taken initiatives to amend the legal limitations of the banks regarding investments in the capital market