business opportunity
ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) প্রস্তাবিত ৫ হাজার কোটি টাকার মেয়াদহীন (ওপেন এন্ডেড) মিউচ্যুয়াল ফান্ডটি আজ সোমবার অনুমোদন দিতে পারে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি)।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এসইসি'র এক শীর্ষ কর্মকর্তা এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে বাংলাদেশ ফান্ডের মূল উদ্যোক্তা আইসিবি ফান্ডটির অনুমোদনের জন্য গত ২৯ মার্চ এসইসিতে পাঠায়।
তবে ফান্ডটি এসইসি অনুমোদন দিলেও তা কতদিনের মধ্যে বাজারে আসতে সক্ষম হবে এ নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। এছাড়া ফান্ডটি গঠনের ক্ষেত্রে এ পর্যন্ত বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে এক হাজার ২০০ কোটি টাকার আশ্বাস পাওয়া গিয়েছে। যা বাংলাদেশ ফান্ডের প্রস্তাবিত আকারের চেয়ে ৩ হাজার ৮শ কোটি টাকা কম। বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে মৌখিকভাবে বাংলাদেশ ফান্ড গঠনে অর্থ প্রদানের বিষয়ে আশ্বাস পাওয়া গিয়েছে বলে আইসিবি'র পক্ষ থেকে জানানো হয়। তবে এ অর্থ কত দিনের মধ্যে হস্তান্তর করা হবে তা এখন পর্যন্ত স্পষ্ট নয়।
ফান্ডটি গঠনের ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি বিষয়ে ছাড় চেয়েছে ফান্ডটির উদ্যোক্তা আইসিবি। যে সকল বিষয়ে ছাড় চাওয়া হয়েছে সেগুলো হচ্ছে, মিউচ্যুয়াল ফান্ড বিধিমালা- ২০০১'র কিছু বিধির বিষয়ে ছাড়, ফান্ডে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ উৎস জানতে না চাওয়া, কর অব্যাহতি এবং রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানির শেয়ারের জন্য কোটা দাবির মতো কিছু বিষয়ে ছাড়। এ ছাড়গুলোর বিষয়ে সরকারের নীতি-নির্ধারণী বিষয় জড়িত থাকায় অর্থ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এ বিষয়ে মতামত চাওয়া হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা আরো জানান, আইসিবি যে সকল বিষয়ে ছাড় চেয়েছে, সেগুলোর মধ্যে কিছু জায়গাতে এসইসি ছাড় নাও দিতে পারে। সকল বিষয়ে ছাড় দেয়া হবে এটি আইসিবি আশা করতে পারে না। তবে বাংলাদেশ ফান্ড অনুমোদন দেয়ার ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রক সংস্থার পক্ষ থেকে কোনো ইচ্ছার অভাব নেই বলেও জানান তিনি।
এদিকে বাংলাদেশ ফান্ড গঠনের ক্ষেত্রে ট্রাস্টি, কাস্টোডিয়ান, আন্ডারাইটার ও স্পন্সর একই প্রতিষ্ঠানে হওয়াতে এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কারণ আইসিবির বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। যার প্রতিফলন ঘটেছে কারসাজির নেপথ্যের নায়কদের খুঁজে বের করতে গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্টে। এর আগে আইসিবি সরকার কর্তৃক প্রদত্ত ছয়শ কোটি টাকা বাজারে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে সক্ষম হয়নি বলেও অভিযোগ রয়েছে। তাই নতুন করে বড় আকারের একটি ফান্ড আইসিবি'র হাতে চলে গেলে তা আইসিবি সঠিকভাবে ব্যবহার করতে সক্ষম হবে কি-না এ বিষয়ে সন্দেহ থেকে যায়।
এদিকে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) মিউচ্যুয়াল ফান্ড বিধিমালা- ২০০১ অনুযায়ী অনুমোদন পাওয়ার পর, বাংলাদেশ ফান্ডের টার্গেট সাইজ বা পরিকল্পিত বিনিয়োগ আকার ৫ হাজার কোটি টাকার ৬০ ভাগ বা ৩ হাজার কোটি টাকা নির্ধারিত ৪৫ দিনের মধ্যে সংগ্রহ করতে সক্ষম নাও হতে পারে। এমন আশঙ্কা থেকে আইসিবি মিউচুয়াল ফান্ড বিধিমালার ৫৬ ধারা থেকে এ ফান্ডটিকে অব্যাহতি বা ছাড় দেয়ার আবেদন করেছে। কেননা ওই বিধিতে, অনুমোদন পাওয়ার ৪৫ দিনের মধ্যে পরিকল্পিত বিনিয়োগ আকারের অন্তত ৬০ শতাংশ বা বাংলাদেশ ফান্ড গঠনের ক্ষেত্রে ৩ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু এ পর্যন্ত বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে বাংলাদেশ ফান্ডের জন্য ১ হাজার ২শ কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছে। তাই ওই বিধিতে যদি ছাড় না দেয়া হয় তাহলে অনুমোদন পরবর্তী ৪৫ দিনের মধ্যে বাকি ১ হাজার ৮শ কোটি টাকা জোগাড় করতে সক্ষম হবে কি-না এ বিষয়ে সন্দেহ রয়েছে
ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) প্রস্তাবিত ৫ হাজার কোটি টাকার মেয়াদহীন (ওপেন এন্ডেড) মিউচ্যুয়াল ফান্ডটি আজ সোমবার অনুমোদন দিতে পারে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি)।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এসইসি'র এক শীর্ষ কর্মকর্তা এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে বাংলাদেশ ফান্ডের মূল উদ্যোক্তা আইসিবি ফান্ডটির অনুমোদনের জন্য গত ২৯ মার্চ এসইসিতে পাঠায়।
তবে ফান্ডটি এসইসি অনুমোদন দিলেও তা কতদিনের মধ্যে বাজারে আসতে সক্ষম হবে এ নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। এছাড়া ফান্ডটি গঠনের ক্ষেত্রে এ পর্যন্ত বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে এক হাজার ২০০ কোটি টাকার আশ্বাস পাওয়া গিয়েছে। যা বাংলাদেশ ফান্ডের প্রস্তাবিত আকারের চেয়ে ৩ হাজার ৮শ কোটি টাকা কম। বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে মৌখিকভাবে বাংলাদেশ ফান্ড গঠনে অর্থ প্রদানের বিষয়ে আশ্বাস পাওয়া গিয়েছে বলে আইসিবি'র পক্ষ থেকে জানানো হয়। তবে এ অর্থ কত দিনের মধ্যে হস্তান্তর করা হবে তা এখন পর্যন্ত স্পষ্ট নয়।
ফান্ডটি গঠনের ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি বিষয়ে ছাড় চেয়েছে ফান্ডটির উদ্যোক্তা আইসিবি। যে সকল বিষয়ে ছাড় চাওয়া হয়েছে সেগুলো হচ্ছে, মিউচ্যুয়াল ফান্ড বিধিমালা- ২০০১'র কিছু বিধির বিষয়ে ছাড়, ফান্ডে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ উৎস জানতে না চাওয়া, কর অব্যাহতি এবং রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানির শেয়ারের জন্য কোটা দাবির মতো কিছু বিষয়ে ছাড়। এ ছাড়গুলোর বিষয়ে সরকারের নীতি-নির্ধারণী বিষয় জড়িত থাকায় অর্থ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এ বিষয়ে মতামত চাওয়া হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা আরো জানান, আইসিবি যে সকল বিষয়ে ছাড় চেয়েছে, সেগুলোর মধ্যে কিছু জায়গাতে এসইসি ছাড় নাও দিতে পারে। সকল বিষয়ে ছাড় দেয়া হবে এটি আইসিবি আশা করতে পারে না। তবে বাংলাদেশ ফান্ড অনুমোদন দেয়ার ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রক সংস্থার পক্ষ থেকে কোনো ইচ্ছার অভাব নেই বলেও জানান তিনি।
এদিকে বাংলাদেশ ফান্ড গঠনের ক্ষেত্রে ট্রাস্টি, কাস্টোডিয়ান, আন্ডারাইটার ও স্পন্সর একই প্রতিষ্ঠানে হওয়াতে এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কারণ আইসিবির বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। যার প্রতিফলন ঘটেছে কারসাজির নেপথ্যের নায়কদের খুঁজে বের করতে গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্টে। এর আগে আইসিবি সরকার কর্তৃক প্রদত্ত ছয়শ কোটি টাকা বাজারে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে সক্ষম হয়নি বলেও অভিযোগ রয়েছে। তাই নতুন করে বড় আকারের একটি ফান্ড আইসিবি'র হাতে চলে গেলে তা আইসিবি সঠিকভাবে ব্যবহার করতে সক্ষম হবে কি-না এ বিষয়ে সন্দেহ থেকে যায়।
এদিকে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) মিউচ্যুয়াল ফান্ড বিধিমালা- ২০০১ অনুযায়ী অনুমোদন পাওয়ার পর, বাংলাদেশ ফান্ডের টার্গেট সাইজ বা পরিকল্পিত বিনিয়োগ আকার ৫ হাজার কোটি টাকার ৬০ ভাগ বা ৩ হাজার কোটি টাকা নির্ধারিত ৪৫ দিনের মধ্যে সংগ্রহ করতে সক্ষম নাও হতে পারে। এমন আশঙ্কা থেকে আইসিবি মিউচুয়াল ফান্ড বিধিমালার ৫৬ ধারা থেকে এ ফান্ডটিকে অব্যাহতি বা ছাড় দেয়ার আবেদন করেছে। কেননা ওই বিধিতে, অনুমোদন পাওয়ার ৪৫ দিনের মধ্যে পরিকল্পিত বিনিয়োগ আকারের অন্তত ৬০ শতাংশ বা বাংলাদেশ ফান্ড গঠনের ক্ষেত্রে ৩ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু এ পর্যন্ত বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে বাংলাদেশ ফান্ডের জন্য ১ হাজার ২শ কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছে। তাই ওই বিধিতে যদি ছাড় না দেয়া হয় তাহলে অনুমোদন পরবর্তী ৪৫ দিনের মধ্যে বাকি ১ হাজার ৮শ কোটি টাকা জোগাড় করতে সক্ষম হবে কি-না এ বিষয়ে সন্দেহ রয়েছে