business opportunity
মবিল যমুনা লুব্রিকেন্টের (এমজেএল) তালিকাভুক্তির অনুমোদন দিয়েছে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এঙ্চেঞ্জ কমিশন (এসইসি)। ক্ষতিপূরণের শর্ত মেনে নেওয়ায় গতকাল মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত কমিশন সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়। লেনদেন শুরুর ছয় মাসের মধ্যে প্রাথমিক শেয়ার বিক্রি করে ক্ষতিগ্রস্ত হলে তা পূরণে রাজি হয় এমজেএল। এ ক্ষেত্রে বরাদ্দ মূল্যের চেয়ে বিক্রয় মূল্যের যে পার্থক্য হবে মবিল-যমুনার পরিচালকরা সংশ্লিষ্ট শেয়ারহোল্ডারকে সেই টাকা পরিশোধ করবেন। কম্পানির পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবসহ (সোমবার) স্টক এঙ্চেঞ্জে ও এসইসিতে তালিকাভুক্তির আবেদন জমা দেওয়া হয়। গতকাল মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত কমিশন বৈঠকে তালিকাভুক্তির অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে এসইসির মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, মবিল যমুনা ক্ষতিপূরণের শর্ত মেনে নেওয়ায় এসইসি তালিকাভুক্তির অনুমোদন দিয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব স্টক এঙ্চেঞ্জকে লিস্টিং বিধি অনুযায়ী এমজেএলের তালিকাভুক্তির প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছে এসইসি।এদিকে ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, ২৪ মার্চ ঢাকা স্টক এঙ্চেঞ্জের পরিচালনা পর্ষদের (ডিএসই) বৈঠকে লেনদেন শুরুর অনুমোদন দেওয়া হতে পারে। ৩১ মার্চের মধ্যে এর লেনদেন শুরু করা হতে পারে।
জানা গেছে, এ ক্ষেত্রে প্রাথমিক শেয়ারধারীদের মধ্যে যাঁরা লোকসান দেবেন স্টক এঙ্চেঞ্জের কাছ থেকে সেই তালিকা সংগ্রহ করা হবে। এরপর সংশ্লিষ্ট শেয়ারহোল্ডারদের কাছে লোকসানের সমপরিমাণ ক্ষতিপূরণের অর্থ পাঠিয়ে দেয়া হবে। এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন কম্পানির লভ্যাংশ বিতরণ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হতে পারে। উল্লেখ্য, বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে শেয়ারের দর নির্ধারণ নিয়ে ব্যাপক কারসাজির অভিযোগ উঠায় গত ২০ জানুয়ারি এ পদ্ধতিটি অর্থমন্ত্রীর নির্দেশে স্থগিত করে এসইসি। ২৩ জানুয়ারি মবিল যমুনা ও এমআই সিমেন্টের আইপিও প্রক্রিয়া স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু তার আগে ১ জানুয়ারি বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে আইপিওর মাধ্যমে টাকা সংগ্রহ করে ফেলে এমজিএল। এজন্য আইনি জটিলতা এড়াতে শর্তসাপেক্ষে এমজিএলকে আইপিও লটারি অনুষ্ঠানের অনুমতি দেওয়া হয়।