মোবাইল অপারেটর কোম্পানিগুলোকে বাণিজ্যিক স্বাধীনতা

Saturday, October 05, 2013 Other

টেলিযোগাযোগ খাতকে ব্যবসাবান্ধব করা দরকার। খাতটিতে এমন পরিবেশ গড়ে তোলা দরকার যাতে আরও বিদেশি বিনিয়োগ আসে। মোবাইল অপারেটর কোম্পানিগুলোকে বাণিজ্যিক স্বাধীনতা দিতে হবে। এদের ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণও থাকবে, কিন্তু তা হতে হবে সমঝোতা ও সহযোগিতামূলক। সিরডাপ মিলনায়তনে গতকাল রোববার বাংলাদেশ উন্নয়ন পরিষদ (বিইউপি) আয়োজিত ‘বাণিজ্যিক স্বাধীনতা: মোবাইল টেলিযোগাযোগশিল্পের টেকসই উন্নয়নের চাবিকাঠি’ শীর্ষক জাতীয় সংলাপে সরকারের মন্ত্রীরাই এমন অভিমত তুলে ধরেন। ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী সাহারা খাতুন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তফা ফারুক মোহাম্মদ এবং তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এতে অতিথি ছিলেন। এ ছাড়া বক্তব্য দেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান সুনীলকান্তি বোস। পিকেএসএফের চেয়ারম্যান কাজী খলীকুজ্জমান আহমদের সঞ্চালনায় সংলাপে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইনজীবী অনীক রুশদ হক। এতে বিইউপি নির্বাহী পরিচালক নীলুফার বানু স্বাগত বক্তব্য দেন। ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী সাহারা খাতুন বলেন, দেশের টেলিযোগাযোগ খাতের উন্নয়ন ও ভোক্তার স্বার্থরক্ষায় যতটুকু দরকার অপারেটরদের ততটুকুই বাণিজ্যিক স্বাধীনতা দেওয়া উচিত। তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, বাংলাদেশে খুব কম দামে টেলিযোগাযোগ সেবা পাওয়া যায়। যদিও অপারেটর কোম্পানিগুলো উচ্চ করহারে জর্জরিত। করের হার কমানো গেলে তারা আরও উন্নত সেবা দিতে পারবে। সেবার মান নিয়ন্ত্রণে বিটিআরসি ঠিকমতো কাজ করছে না উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এ খাতে নিয়ন্ত্রণ থাকা উচিত। তবে তা হতে হবে সর্বসম্মতিক্রমে। সুনীলকান্তি বোস বলেন, স্বাধীনতা চাইলেও অনেক সময় দেওয়া যায় না। কারণ, অপারেটররা এখনো গ্রাহকদের পুরোপুরি বিশ্বাস অর্জন করতে পারেনি। গ্রাহকস্বার্থ বিবেচনায় নিয়ে এবং নিয়মের মধ্যে থেকেই টেলিযোগাযোগ খাত বিকাশে অপারেটরদের বাণিজ্যিক স্বাধীনতা ভোগ করতে হবে বলে মনে করেন বিটিআরসির চেয়ারম্যান।

Blog Archive