জাতীয় সংসদে সবার অংশগ্রহণে হরতালকে চিরদিনের জন্য বন্ধের আইন চান দেশের
ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন
(এফবিসিসিআই)।
এফবিসিসিআই সভাপতি এ কে আজাদ বলেছেন, ‘আমরা চাইছি, সংসদে সবার অংশগ্রহণে হরতালকে চিরদিনের জন্য বন্ধের আইন পাস হোক।’
রাজধানীর মতিঝিলে ফেডারেশন ভবনে গতকাল বৃহস্পতিবার এফবিসিসিআইয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন এ কে আজাদ।
বিএনপির নিখোঁজ নেতা ইলিয়াস আলীর সন্ধান দাবিতে দুই দফায় বিএনপির পাঁচ দিনের হরতালের পর উদ্ভূত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে হরতাল বন্ধের এই দাবি জানাল এফবিসিসিআই।
এফবিসিসিআইয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয়েছে, বোর্ডের সদস্য ও অন্যান্য ব্যবসায়ীর সঙ্গে আলোচনা করে এফবিসিসিআই একটা কার্যতালিকা প্রণয়ন করবে। তাতে প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মতবিনিময় করার বিষয়টিও থাকতে পারে।
এ কে আজাদ বলেন, হরতালের কারণে বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে, দেশের বিনিয়োগকারীরাও শঙ্কিত হচ্ছেন। আর দেশীয় বিনিয়োগকারীরা যখন বিনিয়োগ করবেন না, তখন বিদেশি বিনিয়োগও আসবে না। এতে বাংলাদেশ আরও শত বছর পিছিয়ে যাবে।
ইলিয়াস আলীর নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় উদ্বিগ্ন ব্যবসায়ীরা সমাধান খোঁজার লক্ষ্যে গত বুধবার রাজধানীতে একটি বৈঠকে বসেন। এফবিসিসিআইয়ের সাবেক কয়েকজন সভাপতি বৈঠকে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন।
এ বিষয়ে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘গতকালের আগেও আমরা বসেছিলাম। এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতিরা আমাকে ডেকেছিলেন। সবাই উদ্বিগ্ন।’
এ কে আজাদ বলেন, ‘আমাদের মতো একটি দরিদ্র দেশে এভাবে হরতাল চলতে পারে না। দেশে বেকার মানুষের সংখ্যা তিন কোটি। প্রতিবছর ২০ লাখ লোক কর্মবাজারে প্রবেশ করছে। তাই দেশের অর্থনীতি, কর্মসংস্থান ও জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে হরতালের মতো সহিংস কর্মসূচি থেকে সব রাজনৈতিক দলকে বেরিয়ে আসতে হবে।’
আজাদ বলেন, বিনিয়োগ সম্ভাবনা দেখার জন্য দুটি জাপানি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে এসেছিল। জাপান শুধু চীন থেকে ১০০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করে। কিন্তু চীনে শ্রমের দাম বেড়ে যাওয়ায় পণ্যের ব্যয় বেড়ে গেছে। তাই জাপান চায় চীনের পাশাপাশি আরেকটি দেশে বিনিয়োগ করতে, যেখান থেকে তারা পণ্য আমদানি করবে। এ জন্যই জাপানের উপপ্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে এসেছেন। এরই মধ্যে চীনের রাষ্ট্রদূত দুবার এফবিসিসিআই সভাপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। দুবারই তিনি এ দেশের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কথা জানিয়েছেন।
এভাবে রাজনৈতিক অস্থিরতা চলতে থাকলে জাপানিরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ আছে উল্লেখ করে বলা হয়, বাংলাদেশের বিকল্প হিসেবে তারা এখন মিয়ানমারকে নিয়ে ভাবছে।
আজাদ বলেন, বোর্ডের অনেক সদস্যই হরতাল বন্ধে আদালতে যাওয়া, মৌন মিছিল করা কিংবা বিভিন্ন পেশার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময়ের প্রস্তাব করেছেন। রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে ব্যবসায়ীরা কী প্রস্তাব নিয়ে যাবেন, সে বিষয়ে একটি কার্যতালিকাও তৈরি করা হবে।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘কেউই হরতাল পছন্দ করে না। আমরা বিভিন্ন পেশার লোক যারা ভোট দিয়ে সরকার নির্বাচিত করব, তারা ঐক্যবদ্ধ হলে আমার বিশ্বাস, রাজনীতিবিদেরা আমাদের কথা শুনবেন।’
এ কে আজাদ আরও বলেন, ‘দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশিদের হস্তক্ষেপ কাম্য নয়। আমরা আমাদের সমস্যা সমাধান করব, বরং অন্য কেউ হস্তক্ষেপ করতে এলে আমরা বিরোধিতা করব। কারণ, এটি আমাদের আত্মমর্যাদা ও সার্বভৌমত্বের বিষয়।’
এফবিসিসিআই সভাপতি এ কে আজাদ বলেছেন, ‘আমরা চাইছি, সংসদে সবার অংশগ্রহণে হরতালকে চিরদিনের জন্য বন্ধের আইন পাস হোক।’
রাজধানীর মতিঝিলে ফেডারেশন ভবনে গতকাল বৃহস্পতিবার এফবিসিসিআইয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন এ কে আজাদ।
বিএনপির নিখোঁজ নেতা ইলিয়াস আলীর সন্ধান দাবিতে দুই দফায় বিএনপির পাঁচ দিনের হরতালের পর উদ্ভূত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে হরতাল বন্ধের এই দাবি জানাল এফবিসিসিআই।
এফবিসিসিআইয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয়েছে, বোর্ডের সদস্য ও অন্যান্য ব্যবসায়ীর সঙ্গে আলোচনা করে এফবিসিসিআই একটা কার্যতালিকা প্রণয়ন করবে। তাতে প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মতবিনিময় করার বিষয়টিও থাকতে পারে।
এ কে আজাদ বলেন, হরতালের কারণে বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে, দেশের বিনিয়োগকারীরাও শঙ্কিত হচ্ছেন। আর দেশীয় বিনিয়োগকারীরা যখন বিনিয়োগ করবেন না, তখন বিদেশি বিনিয়োগও আসবে না। এতে বাংলাদেশ আরও শত বছর পিছিয়ে যাবে।
ইলিয়াস আলীর নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় উদ্বিগ্ন ব্যবসায়ীরা সমাধান খোঁজার লক্ষ্যে গত বুধবার রাজধানীতে একটি বৈঠকে বসেন। এফবিসিসিআইয়ের সাবেক কয়েকজন সভাপতি বৈঠকে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন।
এ বিষয়ে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘গতকালের আগেও আমরা বসেছিলাম। এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতিরা আমাকে ডেকেছিলেন। সবাই উদ্বিগ্ন।’
এ কে আজাদ বলেন, ‘আমাদের মতো একটি দরিদ্র দেশে এভাবে হরতাল চলতে পারে না। দেশে বেকার মানুষের সংখ্যা তিন কোটি। প্রতিবছর ২০ লাখ লোক কর্মবাজারে প্রবেশ করছে। তাই দেশের অর্থনীতি, কর্মসংস্থান ও জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে হরতালের মতো সহিংস কর্মসূচি থেকে সব রাজনৈতিক দলকে বেরিয়ে আসতে হবে।’
আজাদ বলেন, বিনিয়োগ সম্ভাবনা দেখার জন্য দুটি জাপানি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে এসেছিল। জাপান শুধু চীন থেকে ১০০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করে। কিন্তু চীনে শ্রমের দাম বেড়ে যাওয়ায় পণ্যের ব্যয় বেড়ে গেছে। তাই জাপান চায় চীনের পাশাপাশি আরেকটি দেশে বিনিয়োগ করতে, যেখান থেকে তারা পণ্য আমদানি করবে। এ জন্যই জাপানের উপপ্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে এসেছেন। এরই মধ্যে চীনের রাষ্ট্রদূত দুবার এফবিসিসিআই সভাপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। দুবারই তিনি এ দেশের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কথা জানিয়েছেন।
এভাবে রাজনৈতিক অস্থিরতা চলতে থাকলে জাপানিরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ আছে উল্লেখ করে বলা হয়, বাংলাদেশের বিকল্প হিসেবে তারা এখন মিয়ানমারকে নিয়ে ভাবছে।
আজাদ বলেন, বোর্ডের অনেক সদস্যই হরতাল বন্ধে আদালতে যাওয়া, মৌন মিছিল করা কিংবা বিভিন্ন পেশার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময়ের প্রস্তাব করেছেন। রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে ব্যবসায়ীরা কী প্রস্তাব নিয়ে যাবেন, সে বিষয়ে একটি কার্যতালিকাও তৈরি করা হবে।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘কেউই হরতাল পছন্দ করে না। আমরা বিভিন্ন পেশার লোক যারা ভোট দিয়ে সরকার নির্বাচিত করব, তারা ঐক্যবদ্ধ হলে আমার বিশ্বাস, রাজনীতিবিদেরা আমাদের কথা শুনবেন।’
এ কে আজাদ আরও বলেন, ‘দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশিদের হস্তক্ষেপ কাম্য নয়। আমরা আমাদের সমস্যা সমাধান করব, বরং অন্য কেউ হস্তক্ষেপ করতে এলে আমরা বিরোধিতা করব। কারণ, এটি আমাদের আত্মমর্যাদা ও সার্বভৌমত্বের বিষয়।’