বাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন, তদন্ত প্রতিবেদন-পরবর্তী সরকারের পদক্ষেপ নিয়ে সংশয়, তারল্য সংকটসহ নানা কারণে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীরা আস্থার সংকটে ভুগছেন। এ পরিস্থিতিতে তাঁদের অনেকেই একটু সুযোগ পেলে শেয়ার বিক্রি করে দিয়ে ভালো সময়ের জন্য অপেক্ষা করার নীতি গ্রহণ করছেন।
এ ধরনের বিনিয়োগকারীরাই বাংলাদেশ ফান্ডের কার্যক্রম শুরু হওয়াটাকে শেয়ার বিক্রির জন্য একটি সুযোগ হিসেবে কাজে লাগিয়েছেন বলে বিশ্লেষকেরা মনে করেন। তাঁরা বলেন, বাংলাদেশ ফান্ড এলে শেয়ারের দাম বাড়বে। গত কয়েক দিন বাজারে এ গুঞ্জন ছিল। তাই সকালে যখন দাম বেড়েছে, তখনই প্রচুর বিক্রির চাপ চলে আসে। যা দরপতনকেই ত্বরান্বিত করে।
আবার বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ লোকসান সমন্বয় করতে নিটিংয়ের (আর্থিক সমন্বয় সুবিধার) দিকে ঝুঁকে পড়েছেন। তাঁদের অনেকে সকালে শেয়ার কিনেছিলেন, বাংলাদেশ ফান্ডের কারণে দাম বাড়লে বিকেলে হাতে থাকা অন্য শেয়ার বিক্রি করে লেনদেন সমন্বয় করবেন এ আশায়।
কিন্তু দাম না বাড়লেও বিকেলে তাঁদের শেয়ার বিক্রি করে সমন্বয় করতে হয়েছে, যা বিক্রির চাপ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। আর এসব কারণেই গতকাল লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে।